Graphites (গ্রাফাইটিস): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

গ্র্যাফাইটিস (Graphites)।
DHMS (4th year).
♣ সমনামঃ ব্ল্যাক-লেড, গ্র্যাফাইট, সূর্মা।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, টিউবারকুলার, সিফিলিটিক।
♣ সাইডঃ বামপাশ, ওপরে ডানপাশ নিচে বামপাশ, ডান থেকে বামে।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ জৈব উত্তাপের অভাব। যে সব মহিলারা মোটা হতে থাকেন, যারা দিনের পর দিন কোষ্টকাঠিন্যে ভোগেন, যাদের ঋতুস্রাব দেরিতে হওয়ার ইতিহাস থাকে তাদের পক্ষে উপযোগী। সরল-সোজা ব্যক্তি। সব বিষয়ে অত্যন্ত সাবধানতা অথচ ভীতু এবং বিষাদগ্রস্ত, সর্বদা মৃত্যুচিন্তা করে। গীতবাদ্যে কান্না উপস্থিত হয়।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ মন, পরিপাকতন্ত্র, মূত্রনালি, জননেন্দ্রিয়, জরায়ু, রক্ত সঞ্চালন, চামড়া, লসিকাগ্রন্থি, সন্ধিস্হল, শৈষ্মিক ঝিল্লি, গ্রন্হি, ভাঁজের জায়গা, কান, কানের পেছনে, সঙ্কোচন সন্ধি, বহিরাঙ্গ, নখ।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – উদ্ভেদ থেকে ক্ষরিত রস মোটা, মধুর মতো তরল, এমন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উদ্ভেদ শরীরে যেখানেই হোক না কেন গ্র্যাফাইটিস তার একমাত্র রিমেডি।
♣সারসংক্ষেপঃ জৈব উত্তাপের অভাব স্থুলতা ও কোষ্ঠাবদ্ধতা। ফাটা চামড়া ও চটচটে রস। অবিরাম অনুভূতি, যেনো মুখমন্ডলে মাকড়সার জাল রয়েছেে। রাতে, ঠান্ডা লাগালে পরে, সাধারণভাবে ঠান্ডায়, ঋতুস্রাবের প্রারম্ভে, ঋতুস্রাবকালে ও ঋতুস্রাবের পরে ও গরম ঘরে বাড়ে। আহারের পরে, গরম পানাহারের, শব্দে, চলন্ত রেল গাড়িতে ( বধিরতা) ও ঢেঁকুর ওঠলে কমে। শঙ্কা ও সতর্কতা, আলস্য, উত্তেজনাপ্রবণতা, মানসিক অবসাদ ও বিষন্নতা, কাঁদে। মাছ, মাংস, মিষ্টি, লবণ ও সংগীতে অনিচ্ছা। হাঁচির কারণে চোখের পাতা খোলা রাখে বা চোখের পাতা খোলা রাখলে হাঁচি হয়।
♣ অদ্ভূদ লক্ষণঃ রোগী গোলমালে বা গাড়িতে চড়ায় ও গড়গড় শব্দে ভাল শুনতে পায়।
♣ অনুভূতিঃ ১) যেনো মুখমন্ডলে মাকড়সার জাল রয়েছেে। ২) টেনে লম্বা করার ও ঠান্ডা লাগার অনুভূতি।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) হাঁচির কারণে চোখের পাতা খোলা রাখে বা চোখের পাতা খোলা রাখলে হাঁচি হয়। ২) সহবাসের পর পায়ের শীতলতা।
< বৃদ্ধিঃ প্রাতে, রাতে, মধ্য রাতের আগে, বায়ু প্রবাহে, খোলা বাতাসে, ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা লাগালে, ঠান্ডা লাগালে পরে, আর্দ্র আবহাওয়ায়, ঠান্ডাস্থানে প্রবেশ করলে, শরৎকালে, উত্তাপে, সঙ্গমকালে ও পরে, সাধারণভাবে ঠান্ডায়, আহারের আগে ও আহারকালে, ঠান্ডা খাদ্যে, মিষ্টান্নে, উপবাসকালে, ঝাঁকুনি লাগায়, ব্যথাযুক্ত পাশে শুলে, ঋতুস্রাবের প্রারম্ভে, ঋতুস্রাবকালে ও ঋতুস্রাবের পরে, সঞ্চালনে, নিদ্রাকারক ওষুধে, ঘুমের আগে, ঘুমের শুরুতে, ঘুমের সময়ে, অনাচ্ছাদনে বাড়ে, হাঁটলে বাড়ে, বায়ুতে, বিছানায় শুলে, গরম ঘরে, আলোতে,ঠান্ডায়, ঠান্ডা ঝাপ্টায়, রাতে, বিছনার গরমে, সঙ্গীতে, গরম, গরম আবহাওয়ায়, উদ্ভেদ অবরুদ্ধে, গোসলে।
> হ্রাসঃ আহারের পরে, গরম খাদ্যে, গরম পানীয়ে, শুয়ে থাকলে, শুয়ে থাকার পরে, চুম্বক শক্তিতে, ঘামের পরে, মুক্তবাতাসে, বিছানায় শুলে, মদে, চাপে, ঠান্ডা প্রয়োগে, ভ্রমণে পর, বিশ্রামে, চলন্ত রেল গাড়িতে, গরম দুধ পানে, স্পর্শে, খাবার পর, ঢেঁকুর ওঠলে, অন্ধকারে, শব্দে, চলন্ত রেল গাড়িতে (বধিরতা), শরীর আবৃত রাখলে।
♣ কারণঃ অতিরিক্ত রতিক্রিয়া অথবা শুক্রক্ষয়, জৈব তরল পদার্থের ক্ষয়, দুঃখ, বিরক্তি, চামড়ার উদ্ভেদ অবরুদ্ধে, ভয়, শোক, ক্ষুধা, ভারি বোঝে তোলা, পেশি ও কন্ডুরাগুলোতে চাপ লাগার কুফল।
♣ ইচ্ছাঃ ঠান্ডা পানীয়ে, গরম দুধ, ঘরে শান্ত হয়ে থাকতে।
♣ অনিচ্ছাঃ মাছ, মাংস, মিষ্টি, লবণ, সংগীত ও সংগমে ( পুরুষের তুলনায় মহিলাদের অধিক) অনিচ্ছা, খাদ্যে অরুচি।
♣ অসহ্যঃ ফুলের গন্ধ, সংগীত।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ আর্স, আয়োড, লাইকো, রাস।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ সুরাসার, অ্যাকোন, আর্স, নাক্স-ভ, চায়না।
♣ এটি ক্রিয়ানাশকঃ আর্স, আই, রাস।
♣ সতর্কীকরণঃ ক্ষয়দোষযুক্ত, রোগীর ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন ( সালফ, ফস, সাইলি)। গভীর অ্যান্টি-সোরিক।
♣ প্রয়োগঃ ১) গ্র্যাফাইটিস পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ কদাচিৎ করতে হতে পারে। এমনকি মধ্যবর্তী কোনো ওষুধ ব্যবহারের পরেও।— ডা. এইচ সি মরো।
২) চর্মরোগের ইতিহাস বর্তমান থাকলে, যে কোনো রোগলক্ষণে গ্রাফাইটিসের কথা একবার চিন্তা করা প্রয়োজন।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা গ্র্যাফাইটিস প্রয়োগ করতে পারবো।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) সতর্ক ( Cautious) – C= কস্টি, গ্র্যাফ, ইগ্নে, ইপি, ম্যাগ্নে-আর্ক।
২) মৃত্যু চিন্তা (Death) ঃ-অ্যাকোন, গ্র্যাফ।
৩) ভয়( Fear) A- অ্যাকোন, আর্জ-নাই, অরাম, বেল, বোরা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, কার্বো-সাল, সাইকু, গ্র্যাফ, ক্যালি-আর্স।
৪) ভয়প্রাপ্ত সহজে (Frightened easily) – A- আর্জ-নাই, আর্স, ব্যারা-কা, বোরা, গ্র্যাফ, লাইকো, ন্যাট-আর্স, ন্যাট্র-কা, সিপি, স্ট্র্যামো।
৫.১) হাস্য করে : তিরস্কার করলে- C= গ্র্যাফ।
৫.২) হাস্য করে : সামান্য ব্যাপারে- B= ক্যানা-ই।
C= অ্যামন-কা, আর্স, গ্র্যাফ, জিঙ্ক।
৬) হাতের কাজ সুন্দর করে ( Manual work, Fine work) – C= গ্র্যাফ, আই।
৭.১) অস্হিরতা : বসে থাকাকালে যখন কাজ করতে থাকে- A= গ্র্যাফ।
৭.২) অস্হিরতা : কাজ করার সময়- A= গ্র্যাফ।
৮) কাঁদেঃ সঙ্গীত হতে A= গ্র্যাফ। B= ক্রিয়ো, ন্যাট্র-কা, থুজা।
৯) রক্তাল্পতা ( Anaemia) – A= আর্স, বোরা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, চায়না, ফেরাম, ফেরা-আর্স, গ্রাফ, হেলি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ম্যাঙ্গে, মেডো, মার্ক, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, ফস, প্লাম্বা, পালস, স্কুই, স্ট্যাফি, সালফ।
১০) সাধারণভাবে ঠান্ডায় বাড়ে (Cold in general agg)- A= আর্স, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক-আর্স, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফ্লু, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সিলি, ক্যাপসি, কস্টি, চায়না, ডালকা, গ্র্যাফ, হিপার, হাইপেরি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, লাইকো, ম্যাগ-ফস, মস্কাস, ন্যাট্র-আর্স, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, সোরিন, পাইরো, র্যানান-বা, রাস, রিউমেক্স, স্যাবাডি, সিপি, সাইলি, স্পাইজে, স্ট্রনসি।
১১.১) শীর্ণতাঃ (Emaciation) – অ্যাব্রোটে, আর্স, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক, চায়না, ফেরাম, গ্র্যাফ, হেলি, আই, লাইকো, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, প্লাম্বা, সেলি, সাইলি,স্ট্যানা, সালফ, টিউবার।
১১.২) শীর্ণতা : আক্রান্ত অঙ্গে – A= গ্র্যাফ, লিডাম, পালস, সিকেলি।
১২) ক্ষুধা হতে ( Hanger from) – A= গ্র্যাফ, আই, ক্যালি-কা, সাইলি।
১৩) আলস্য ( Lissitude) : A= অ্যালু, অ্যামন-কা, অ্যাপিস, অ্যারেনি, ক্যালাডি, ক্যাল্ক, কার্বো-সাল, কোনি, ক্রোটেল -ক্যাস্ক, কুপ্রা, ফেরাম, জেলস, গ্র্যাফ, ল্যাকে, ফস-অ্যাসি, পিক্রি-অ্যাসি, রুটা, স্যাঙ্গুই, সাইলি, সাল-অ্যাসি, ট্যারেন্টু।
১৪) জৈব তরল পদার্থের ক্ষয় ( Loss of fluids) – A= ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, কার্বো-ভে, চায়না, চিনি-সাল, গ্র্যাফ, ফস-অ্যাসি, পালস, সেলি, সিপি, স্ট্যাফি।
১৫.১) ঋতুস্রাবকালে- A= অ্যামন-কা, আর্জ-নাই, বোভি, কার্বো-সাল, ক্যামো, গ্র্যাফ, হায়োস, ক্যালি-কা, ম্যাগ-কা নাক্স-ভ, পালস, সিপি, সালফ, জিঙ্ক ।
১৫.২) ঋতুস্রাবের পরে- A= বোরা, গ্র্যাফ, ক্রিয়ো, ল্যাকে, নাক্স-ভ, সিপি ।
১৬.১) অসাড়তা (Numbness/নামবনেস) – বাহ্যিকভাবে (Externally/এক্সটারন্যালি) – A- অ্যানাকা, বার্বে, কার্বো-সাল, ককুল, কোনি, গ্রাফ, ক্যালি-কা, লাইকো, ওলিয়ে, ফস-এসিড, ফস, প্লাম্বা, সিকেলি, স্ট্র্যামো।
১৬.২) অসাড়তা: বিশেষ কোনো অঙ্গে- A= কার্বো-অ্যানি, কার্বো-সাল, ককুল, ক্রোকা, গ্র্যাফ, ক্যালি-কা, ক্যালি-নাই, লাইকো, মার্ক, পালস, রাস, সাইলি।
১৭) মেদ প্রবণতা (Obesity)/ মোটা লোকের (Fat people)- A= ক্যাল্ক, ক্যাপসি, ফেরাম, গ্র্যাফ।
১৮.১) সাধারণ ফোলা: স্ফীত বা ফোলা (puffy)- A= অ্যান্টি-ক্রু, অ্যাপিস, আর্স, ক্যাল্ক, ক্যাপসি, কুপ্রা, ডিজি, ফেরাম, গ্র্যাফ, হেলি, ওলিয়ে, স্কুই।
১৮.২) সাধারণ ফোলা: গ্রন্হিগুলোতে (glands)- A= আর্স-আই, ব্যারা-কা, ব্যারা-আই, ব্যারা-মি, বেল, ব্রোমি, ক্যাল্ক-আই, ক্যাল্ক-সাল, ক্যাপসি, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-ভে, সিস্টা, ক্লিমে, ডালকা, গ্র্যাফ, হিপার, আই, লাইকো, মার্ক, মার্ক-কর, নাই-অ্যাসি, ফস, প্লাম্বা, রাস, সাইলি, স্পঞ্জি, স্কুই, সালফ, থুজা।
১৯) কাঁপা অভ্যন্তরীণভাবে- A= ক্যাল্ক, গ্র্যাফ, আই, রাস, স্ট্যানা, স্ট্যাফি, সাল-অ্যাসি।
২০) অর্বুদ/আব (Tumors)- A= ব্যারা-কা, গ্র্যাফ, সাইলি। B= ব্রোমি, ক্যাল্ক। C= অ্যাগারি, অ্যাপিস, ক্যাল্ক-সাল, হিপার, নাই-অ্যাসি, সালফ।
২১) গরম ঘরে বাড়ে (Room agg.)- A= অ্যাপিস, ক্যাল্ক-সাল, গ্র্যাফ, ক্ল্যালি-আই, ক্যালি-সাল, লাইকো, পালস, সালফ ।
২২) দুর্বলতা/ক্লান্তি: ঘাম হতে- ব্রায়ো, ক্যাম্ফ, কার্বো-অ্যানি, চায়না, ফেরাম, ফেরা-আই, গ্র্যাফ, হায়োস, ইগ্নে, আই, লাইকো, মার্ক, ফস, সোরিন, স্যাম্বু, টিউবার।