সাইকোসিস মায়াজমের লক্ষণসমূহ

সাইকোসিসের মানসিক লক্ষন: মেজাজ খিটখিটে, হিংসুটে, নিষ্ঠুর ও খুঁতখুঁতে স্বাভাব। প্রত্যেক কাজেই সন্দেহ করে, সব কিছু গোপন করার প্রবনতা, প্রচন্ড ভাবে স্বরন শক্তি লোপ পায়, বিশেষ করে বর্তমান ঘটনা ভুলে যায়। সর্বদাই ভাবে কোন অশরীর শক্তি তার উপর ভর করে আছে, নতুনত্ব তাহার নিকট ভাল লাগে না, কথা বলিতে শব্দ খুঁজে পায় না, মনটি সব সময় স্বাস্থ্য কিভাবে উন্নতি হয় তা নিয়ে চিন্তা করে, গান পছন্দ করে না, প্রতারণা করবার ইচ্ছা বা ভান করে অসুস্থতা দেখায়।
সাইকোসিসের সার্বদৈহিক লক্ষণ: গনোরিয়া ¯্রাব চাপা পড়ে যান্ত্রিক বা মানসিক পরিবর্তন করে রোগ সৃষ্টি করে থাকে। বাত প্রধান দেহ, আঁচিল জাতীয় এবং মাংস পিন্ডির বৃদ্ধি করে থাকে। ঝড় বৃষ্টিকে প্রচন্ড ভয় পায় এবং রোগের বৃদ্ধি ঘটে। এ জন্য সাইকোসিসকে জীবন্ত ব্যারোমিটার বলে। নড়াচড়ায় ব্যথা বেদনার সাময়িক উপশম হয়। যে কোন তরুন রোগ হইতে খুব ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করে। দেহের তুলনায় হাত, পা, সবল ও সুঠাম থাকে।
সাইকোসিসের কথা ও কাজকর্মের প্রকৃতি: সাহিত্য চর্চা তার নেশা, ইহার মনটি সব সময় সন্দেহ প্রবণ থাকায় সব কিছুতে খুঁতখুঁতে ভাব্ থাকে। কোনকিছুর মধ্যে সে বিস্বাস করতে পারে না। কোথায় যেন ভুল, অপরিস্কার, সন্দেহ বাতিক, চিকিৎসক বুঝে না বুঝে ঔষধ দিল কিনা? ইত্যাদি।
সাইকোসিসের দোষসৃষ্টির কারণ: গনোরিয়া ¯্রাব চাপা পড়ে বা বংশগত পূর্ব পুরুষ হতে প্রাপ্ত, টিকা দেওয়ার কুফলে, সাইকোটিক আক্রান্ত ব্যক্তি সন্তান গর্ভ ধারণ করলে।
সাইকোসিসের জিহ্বার স্বাদ: ভ্যাপসা বা অ্যাসটানা স্বাদ যুক্ত।
সাইকোসিসের ক্ষুধার অবস্থা: অক্ষুধা, খাবার কথা মনে হলে বমি বমি আসে, পেটে প্রচুর বায়ু জমে।
সাইকোসিসের খাদ্য পছন্দ অপছন্দ ও অসহ্য: চর্বি জাতীয়, মাংস, নারিকেল, সপারি, মিষ্টি ঝাল পছন্দ করে ও প্রচুর পরিমানে কাঁচা লবণ খায়,মদ ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পছন্দ করে। চা, কফি, টক, শাক, সবজি, পিঁয়াজ ইত্যাদি সহ্য হয় না।
সাইকোসিসের শেষ আক্রমণের স্থান: হৃদপিন্ড, কটিদেশ ও স্ত্রী-পুরুষের প্রজননযন্ত্র সমুহ
সাইকোসিসের ঘুমের অবস্থা: ঘুম দেরীতে আসে, চিন্তার জন্য ঘুম আসতে চায় না, উপড় হয়ে ঘুমাতে ভালবাসে।
সাইকোসিসের স্বপ্নের অবস্থা: স্বপ্নে নিজেকে আকাশে উড়তে এবং উপুড় হয়ে নিচে পড়তে, তুফান, মৃতদেহ, নদীতে সাঁতার কাটার স্বপ্ন দেখে ইত্যাদি।
সাইকোসিসের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ: অঙ্গপ্রতঙ্গ টাটানি, অরষ্টতা ভাব বা ব্যথা আনুভব হয়, নড়াচড়ার প্রারম্ভে বৃদ্ধি, ঝড়ের পুর্বে, বিশ্রামে, বর্ষায় ভিজা আবহাওয়ায় ও ঠান্ডায় বৃদ্ধি ঘটে।
সাইকোসিসের নখসমূহ: নখগুলো পুরু শিরতোলা থাকে, আঙ্গুলের চিপায় ঘা, আঙ্গুলহারা ও নখকুনী, সাধারনতঃ বর্ষায় বৃদ্ধি।
সাইকোসিসের চর্মরোগ প্রবণতা: চর্ম চকচকে ও মসৃণতাই সাইকোসিসের পরিচয়। নাপিতের খুরে যে চর্মরোগ সৃষ্টি হয় তাহা সাইকোসিস দোষেরই বহিঃপ্রকাশ। দদ্রু জাতীয় চর্মরোগ বর্ষায় বৃদ্ধি।আঁচিল, অবুর্দ ও অস্ত্রোপচারের পর মাংসপিন্ড বৃদ্ধি এবং একই জায়গায় গুচ্ছকারে ঊদ্ভেদ জন্মিলে সাইকোসিসের পরিচয়।
সাইকোসিসের ঘর্ম প্রবণতা: সাইকোসিস এর রোগীর ঘর্ম কম দেখা যায় এবং আবৃত স্থানে ঘাম তৈলাক্ত হয়।
সাইকোসিসের দৈহিক গঠন ও আকৃতি: স্থুল দেহ, মোটা হাঁড়যুক্ত, বাত প্রধান, মুখমন্ডলে তিল ও আঁচিল থাকে, চুলে খুসকি ও চুলে জট বাধে মাথায় গোলাকার টাক পড়ে। চুল ওঠার জায়গানয় এমন জায়গায় চুল গজায় এবং নাকটা লাল দেখায়।
সাইকোসিসের হ্রাস-বৃদ্ধি: সূর্যের তাপ বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়, ঋতু পরিবর্তনে, বর্ষাকালে, আদ্র আবহাওয়ায় ও বিশ্রামে সাইকোসিস এর বৃদ্ধি ঘটে। সঞ্চালন ও শুস্ক আবহাওয়ায় এবং শীতকালে উপশম। এ জন্য একে জীবন্ত ব্যারোমিটার বলে।
সাইকোসিসের রোগ সমূহ: আঁচিল, বাত, গনোরিয়া, হাঁপানি, অর্শ, মৃগী, দাদ, টিউমার, মুত্র ও পিত্ত পাথরী, ছানি, গাউট, হার্নিয়া, পলিপ, প্রোস্টেটবৃদ্ধি, বন্ধাত্ব, একশিরা, ডিপথেরিয়া, খর্বাকৃতি ইত্যাদি।
সাইকোসিসের ঔষধ সমূহ: থুজা, আর্স, মেডো, নেটসালফ, কষ্টি, কনি, আর্স আ, নেটআর্স, লাইকো, কেলি আ, কেলি সা, কেলি বা, মেজে, নেট্রামি, সিপিয়া, রাসট, সাইলি, ক্যাল কার্ব, ডালকা, পালস, ষ্টাফিসে ইত্যাদি।