টিউবারকুলার মায়াজমের লক্ষণসমূহ

টিউবারকুলারের মানসিক লক্ষন: সর্ব বিষয়ে অসন্তষ্টি, পরিবর্তনশীলতা ও অস্থিরতাই ক্ষয়ধাতুর পরিচয়, বংশগত ক্ষয়দোষের কারনে আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে যেতে থাকে। কুকুর, জিব জন্তু দেখলে ভয় পায়, সামান্য পরিশ্রমে প্রচুর ঘাম হয়, মুক্ত বাতাসে ঘুড়েবেড়ালে শরীর ও মন ভাল থাকে। যাহা সেবনে রোগের বৃদ্ধি হয় তাই সেবন করতে চায়, বুদ্ধির খর্বতা, বাচালতা কথায় কথায় শপথ করে ও অভিশাপ করে।
টিউবারকুলারের সার্বদৈহিক লক্ষণ: উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা, বারবার রোগ লক্ষন ফিরে আসে, সামান্য শীতেই রোগীর ঠান্ডা লাগে, কিভাবে ঠান্ডা লাগলো সে বুঝতেই পারে না। বংশগত ক্ষয় রোগের ইতিহাস থাকে, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরেও স্বাস্থ্যের কোন পরিবর্তন হয় না দিন দিন শুকিয়ে যায়। যে কোন প্রকারে ¯্রাব হলে আরাম বোধ করে, ঘুমের মধ্যে মাথায় ঘাম হয়।
টিউবারকুলারের কথা ও কাজকর্মের প্রকৃতি: কিসে তার শরীরের ক্ষয় রোধ হবে সে জন্য সর্বদাই চিন্তিত থাকে, তাই সর্বদাই তার বেশী কথা না বললে ভাল লাগে না, এবং কাজ কসে ব্যস্ত না থাকলেও ভাল লাগে না।
টিউবারকুলারের দোষসৃষ্টির কারণ: সোরা ও সিফিলিস দোষের সংমিশ্রণে, বংশগত দোষপ্রাপ্ত হলে, টিউবারকুলার দোষপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির সন্তান গর্ভধারণ করলে, দাদ জাতীয় কোন চর্মরোগ চাপা দিলে টিউবারকুলার দোষ হতে পারে।
টিউবারকুলারের জিহ্বার স্বাদ: স্বাদ লবনাক্ত, গয়ারের স্বাদ অত্যান্ত মিষ্টি বা লবণাক্ত।
টিউবারকুলারের ক্ষুধার অবস্থা: প্রচণ্ড ক্ষুধা, ক্ষুধার সময় না খেতে পারলে মুর্ছা পায়, অনেক সময় অক্ষুধাও থাকে, প্রচুর ক্ষুধা থাকা স্বত্তেও শুকিয়ে যায়।
টিউবারকুলার খাদ্য পছন্দ অপছন্দ ও অসহ্য: গড়ম ঠান্ডা উভয়ই পছন্দ করে, লবনাক্ত খাদ্য, আলু, মাংস খেতে ভালবাসে, অখাদ্য খড়ি মাটি, ইট, ইত্যাদি খেতে চায়। দুধ অপছন্দ, যে সব খাবার খেলে রোগ বাড়ে তাই খেতে চায়।
টিউবারকুলারের শেষ আক্রমণের স্থান: শ্বাসযন্ত্র, গ্রন্থি সমুহ, অস্থি সমূহ।
টিউবারকুলারের ঘুমের অবস্থা: সর্বদাই ঘুম ঘুম ভাব থাকে কিন্তু গভীর ঘুম হয় না ও ঘুমে তৃপ্তি হয় না।
টিউবারকুলারের স্বপ্নের অবস্থা: স্বপ্নে বিবাহ করতে দেখে, চোর, ডাকাত, একসিডেন্ট ইত্যাদি।
টিউবারকুলারের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ: হস্ত, পা ভয়ানক শীতল বোধ এবং তাতে জ¦ালা, আঙ্গুলের ডগাগুলি গোড়ার তুলনায় মোটা থাকে, বাতের ব্যাথা ঘুরে বেড়ায় কিন্তু উত্তাপে ও নড়াচড়ায় উপশম বোধ করে।
টিউবারকুলারের নখসমূহ: নখগুলি ভঙ্গুর, চেরা, কোকড়ান এবং বিকৃতি ঘটে থাকে। নখে সাদা ফুল পড়াও ক্ষয়দোষের পরিচয়।
টিউবারকুলারের চর্মরোগ প্রবণতা: চর্ম রোগ বৃদ্ধিও সঙ্গে লিম্ফ গ্লান্ড এর বৃদ্ধি ঘটে। দদ্রু চর্মে সর্বদাই, কেশ দাদ এবং ছুলি, একজিমা জাতিয় চর্মরোগ বেশী দেখা যায়।
টিউবারকুলারের ঘর্ম প্রবণতা: সামান্য পরিশ্রমে প্রচুর ঘাম হয়, ঘুমের মধ্যে প্রচুর মাথা ঘামায়, প্রচন্ডশীতে ও প্রচন্ডগড়মে উভয় অবস্থাতেই বৃদ্ধি দেখাযায়।
টিউবারকুলারের দৈহিক গঠন ও আকৃতি: লম্বা, পাতলা একহারা চেহারা সংকুচিত বক্ষ, চক্ষু ২টি কোটারাগত, ঠোঁট ২টি এত লাল যেন মনে হয় রক্ত বের হবে। মুখটি মলিন বিবর্ন, শরীরের গ্লান্ড গুলি সহজেই বৃদ্ধি পায়, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরেও স্বস্থ্যের কোন পরিবর্তন নেই।
টিউবারকুলারের হ্রাস-বৃদ্ধি: সোরা সিফিলিস এরমতই বর্ষাকালে ঝড় বৃষ্টিতেও বৃদ্ধি ঘটে, মুক্ত বাতাসে ও শুস্ক আবহাওয়ায় ঘুড়েবেড়ালে উপশম ও শরীর মন ভাল থাকে। গড়ম খাবার খেলে রোগের উপশম।
টিউবারকুলারের রোগ সমূহ: যে কোন ক্ষয়রোগ, ক্রিমি, গর্ভে সন্তানের মৃত্যু, ক্রনিক টনসিলাইটিস, ম্যানেনজাইটিস, হুপিং কাশি, কানপাকা, বাতজ্বর, ভগন্দর, বহুমুত্র, কার্বাঙ্কল, যে কোন টিবি/যক্ষা ইত্যাদি
টিউবারকুলারের ঔষধ সমূহ: টিউবার, ব্যাসিলি, ক্যালি কার্ব, ক্যাল্ক কার্ব, ড্রসেরা, ফস, সাইলি, কার্বো এসি, আর্স আওড, রিউমেক্র, কেলি আওড, স্যাঙ্গুই, ব্যারাইটা, এসিড ফস, ক্রিয়োজট, এসিড ফ্লো, সিলিনি, সিপিয়া, লাইকো ইত্যাদি।