Ipecac (ইপিকাক): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

Ipecac (ইপিকাক)।
DHMS ( 1st year).
♣ সমনামঃ ইপিকাক, ইপিকাক রুট, ডিসেন্টেরিকা।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, টিউবারকুলার।
♣ সাইডঃ ডানপাশ, ওপরে ডানপাশ নিচে বামপাশ।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ স্তনদুগ্ধপায়ী শিশু, জৈব উত্তাপের অভাব, প্রতিক্রিয়ার অভাব, হজম সংক্রান্ত লক্ষণের প্রাধান্য থাকে যেক্ষেত্রে সেই ক্ষেত্রে উপযোগী। যে সকল শিশু মোটাসোটা এবং যে সকল যুবক দুর্বল এবং শীতাতাপের পরিবর্তনে ও গরম, ভেজা আবহাওয়ায় সহজেই সর্দিতে আক্রান্ত হয় তাদের পক্ষে বিশেষ উপযোগী ওষুধ।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ মিউকাস মেমব্রেন, পরিপাক সংক্রান্ত, পাকস্হলী, শ্বাসযন্ত্র, ফুসফুস, নার্ভস, নিউমোগ্যাসট্রিক, স্পাইন্যাল ও চামড়া সংক্রান্ত, নাভিদেশ।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ ইপিকাকে এমেটিন নামক এক প্রকার ভেষজ পদার্থ রয়েছেে। সেই পদার্থগুণ হতেই ইপিকাকের বমি ভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইপিকাকের মাঝে একপ্রকার অম্ল ও একপ্রকার দুর্গন্ধ উদ্বায়ী তেলও রয়েছে। সম্ভবতঃ এ তেল রয়েছে বলেই ইপিকাক নিউমোগ্যাস্ট্রিকস্নায়ুতে ক্রিয়া প্রদর্শন করে এবং শ্বাসরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ইপিকাক বিশেষতঃ নিউমোগ্যাস্ট্রিকস্নায়ুতে ও শৈষ্মিক ঝিল্লিতে ক্রিয়া করে। শৈষ্মিক ঝিল্লির মাঝে বায়ুনালীর ও অন্ননালির শৈষ্মিক ঝিল্লির সাথেই ইপিকাকের বিশেষ সম্বন্ধ দেখা যায়। বমি বমি ভাব এবং তারপর বমি উৎপাদক ইপিকাকের একটি বিশেষ লক্ষণ। এ অবস্হার সাথে দেখা যায় জিহ্বা পরিষ্কার অথবা তেমন একটা ময়লা থাকে না।
♣ সারসংক্ষেপঃ যে সকল শিশু মোটাসোটা এবং দুর্বল যুবক; হজম সংক্রান্ত লক্ষণের প্রাধান্য থাকে। বমি ও বমনেচ্ছাসহ পরিষ্কার জিব এবং বেশি পরিমাণে লালা বেরোয়। ক্ষুধাহীনতা, তৃষ্ণাহীনতা ও ঠান্ডা বা গরমের প্রতি অসহিষ্ণু ভাব। রাতে, সাধারণভাবে ঠান্ডায়, চেপে শুলে, ঘুমের পরে ও জাগরণে, খোলা বাতাসে ও সামনের দিকে ঝুকে বসলে কমে। খিটখিটে ভাব, ক্রোধ: ঘৃণাভাবসহ, দাম্ভিক, অধৈর্যভাব, সকল কাজে ছন্দপতন, ভ্রান্ত বিশ্বাস, উচ্চ চিৎকার করে: আক্ষেপের আগে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে, স্নায়বিকতা ও অস্হিরতা। কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে অধৈর্যভাব। যে কোনো রোগলক্ষণের সাথে বমি বমি ভাব থাকবেই।
♣ অনুভূতিঃ পাকস্হলীতে একটা বিশেষ লক্ষণ রয়েছে তা হচ্ছে এ রিমেডির বৈশিষ্ট্য অনুভূতি ” যেন পাকস্হলী ঢিলা হয়ে নিচে ঝুলছে।”
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) কাশির সময় মাংসপেশির আড়ষ্টতা। ২) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শ্বাসরোধকর কাশি হয়। ৩) জ্বরের আগে বুকে চাপ বোধ হয়। ৪) অজীর্ণ হতে আক্ষেপ বা খেঁচুনি।
< বৃদ্ধিঃ প্রাত ১১টায়, পূর্বাহ্নে, সন্ধাকালে, রাতে, সাধারণভাবে ঠান্ডায়, মাসলাদার খাদ্যে, খাদ্যের গন্ধে, চেপে শুলে, ঋতুস্রাবের প্রারম্ভে, সঞ্চালনে, নিদ্রাকারক ওষুধে, নিদ্রাহীনতা হেতু, গুরুপাক দ্রব্য আহারে, শুষ্ক বায়ুতে, কাশলে, অতিরিক্ত আহারে, চকলেট, ফল।
> হ্রাসঃ শুয়ে থাকলে উপশম পরে বাড়ে, ঘুমের পরে ও জাগরণে, খোলা বাতাসে, বিশ্রামে, চাপে, চোখ বুজলে, ঠান্ডা পানীয়ে, খাবার সময়, সামনের দিকে ঝুকে বসলে।
♣ কারণঃ বিরক্তি, আঘাত, উদ্ভেদ চাপা পড়ে, কুইনাইন, ওপিয়াম এবং আর্সেনিকের অপব্যবহারে, সূর্যালোকে, গুরুপাক খাবার- কিচমিচ-পিঠা, ফল আহারে, ক্রোধ, সালাদ খেলে, মর্ফিনের অভ্যাস, অপাচ্য খাদ্য।
♣ ইচ্ছাঃ মিষ্টি।
♣ অনিচ্ছাঃ সব রকম খাবারে অনিচছা, গন্ধযুক্ত খাবার।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ বালসামাম, ওপিয়াম।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ অ্যালু, অ্যাপিস, আর্নি, আর্স, চায়না, তামাকের ধোয়া, ডালকা, ফেরাম, লরো, ওপি, সাল-অ্যাসি, ট্যাবে, অ্যান্টি-টা।
♣ প্রয়োগঃ হুপিং কাশিগ্রস্ত শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পানের পরেই ইপিকাক দেবেন না। তাতে কাশির আবেশে বমি করে দেবে। ঠিক বমির পরেই বা দুধপানের আগে দিলে এটি কার্যকরি হবে।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা ইপিকাক প্রয়োগ করতে পারবো।

#গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ (ক্যান্ট রেপার্টরী অনুযায়ী)
১.১) ক্রোধ: বিরক্তি প্রভৃতি পরবর্তী পীড়া হেতু-
A= অ্যাকোন, ক্যামো, ককুল, কলো, ইগ্নে, ইপি, নাক্স-ভ, ওপি, প্লাটি, স্ট্যাফি।
১.২) ক্রোধ: ঘৃণাভাবসহ- A= কলো, স্ট্যাফি।
B= অরাম, নাক্স-ভ। C= ইপি, লাইকো, মার্ক, মিউ-অ্যাসি, ন্যাট্র-মি, প্লাটি।
২.১) উচ্চ চিৎকার করে ( Shrieking) / চিৎকার ( Exclamation) – A= অ্যাপিস, ক্যাম্ফ, সাইকু, কুপ্রা, ক্যালি-কা, লাইকো, প্লাটি, স্ট্র্যামো, ভিরেট। B= অ্যানাকা, অরাম, অরাম-টি, বেল, বোরা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যান্হা, কস্টি, সিড্রন, ক্যামো, সিনা, জেলস, গ্লোন, হেলি, হায়োস, ইগ্নে, ইপি, ফস, রিউম, টিউবার, জিঙ্ক।
২.২) উচ্চ চিৎকার করে : আক্ষেপের আগে- A= সাইকু, কুপ্রা। B= অ্যামিল-নাই, অ্যাপিস, বেল, বিউফো, সিনা, ইপি, ক্যালি-ব্রো, ল্যাকে, লাইকো, ওন্যান, ওপি, সালফ, জিঙ্ক।
৩.১) দীর্ঘশ্বাস ফেলে ( Sighing) – A= ক্যাল্ক-ফস, সিমিসি, ইগ্নে। B= ব্রায়ো, ক্যামো, ইপি, রাস, সিকেলি, স্ট্র্যামো।
৩.২) দীর্ঘশ্বাস ফেলে: ঘামের সময়- A= ব্রায়ো।
B= ক্যামো, ককুল, ইগ্নে, ইপি, রাস, সিপি।
৪) কুৎসা করার প্রবৃত্তি (Slander, disposition to)-/মিথ্যা দোষারোপ (Calumniate)- B= নাক্স-ভ । C= অ্যামন-কা, অ্যানাকা, আর্স, বেল, বোরা, হায়োস, ইপি, লাইকো, নাই-অ্যাসি, পেট্রো, সিপি, স্ট্যামো, ভিরেট ।
৫) চমকে ওঠে: ঘুমের মাঝে- A= হায়োস, ক্যালি-কা। B= অ্যালু, অ্যাপিস, আর্জ-মে, আর্স, আর্স-হাই, অরাম, বেল, ক্যাল্ক, ক্যাম্ফ, কস্টি, ক্যামো, কলচি, কুপ্রা, ইপি, ক্যালি-সাল, ক্রিয়ো, মার্ক, মর্ফি, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ম, ওপি, ফস, পালস, র্যাটান, সালফ, ট্যাবে, জিঙ্ক।
৬) রাতে (Night) বাড়ে- A= অ্যাকোন, আর্জ-নাই, আর্নি, আর্স, আর্স-আই, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-আই, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সাল, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-সাল, ক্যামো, চায়না, সিন্নাবে, কফি, কলচি, কোনি, সাইক্লে, ডালকা, ফেরাম, ফেরা-আর্স, ফেরা-আই, গ্র্যাফ, হিপার, হায়োস, আয়োড, ইপি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-বাই, ক্যালি-কা, ক্যালি-আই, ল্যাকে, লিলি-টা, ম্যাগ-কা, ম্যাগ-মি, ম্যাঙ্গে, মার্ক, নাই-অ্যাসি, ফস, প্লাম্বা, সোরিন, পালস, রাস,রোমেক্স, সিপি, সাইলি, স্ট্রনসি, সালফ, ট্যালু, জিঙ্ক ।
৭) উৎকন্ঠা ( Anxiety) : সর্বাঙ্গীন, দৈহিক – A- আর্জ-নাই, আর্স, ক্যাম্ফ, ক্যামো, ডিজি, ইপি, নাক্স-ভ, ফস-এসিড, ফস, পালস, সালফ।
৮) সন্ন্যাস রোগ ( Apoplexy) – A= অ্যাকোন, বেল, ককুল, জেলস, ইপি, ল্যাকে, ওপি।
৯) আক্ষেপিক অঙ্গ সঞ্চালন ( Convulsive movements) – A= বেল, ক্যামো, সাইকু, ককুল, হায়োস, ইগ্নে, ইপি, ওপি, স্ট্র্যামো।
১০) রক্তস্রাব (Haemorrhage)- A= আর্নি, বেল, বোথ্রো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, ক্যান্থা, কার্বো-ভে, চায়না, ক্রোটেল, ইরিজি, ফেরাম, হ্যামামে, ইপি, মেলিলো,মিলি, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, পালস, স্যাবি, সালফ, সাল-অ্যাসি।
১১) শুয়ে থাকলে উপশম পরে বাড়ে- A= অ্যাম্রা, অরাম, ডালকা, ইপি, লাইকো, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ম, নাক্স-ভ, ওলিয়ে, প্ল্যাটি, পালস, রাস, স্যাম্বু, স্ট্রনসি।
১২.১) ব্যথা: ব্যথা হাড়গুলোতে – A= অ্যাসাফ, ইউপে-পার্ফ, ইপি, মার্ক, নাই-অ্যাসি, ফস-অ্যাসি, পালস, রুটা।
১২.২) ব্যথা: ভারবহনজনিত ( Load) – অ্যাকোন, বেল, ব্রোমি, ব্রায়ো, ইপি, নাক্স-ভ, প্যারিস, ফস, র্যানান-বা, রাস, সিপি, স্টিক্টা, সালফ।
১২.৩) হাড়ে ক্ষতের মতো মোচড়ানো ব্যথা-
A= ককুল, ইপি, রুটা।
১৩) পর্যাবৃত্তি ( Periodicity) – A- অ্যাকোন, অ্যাগারি, অ্যালু, আর্জ-মে, আর্স, সিড্রন, চায়না, চিনি-আর, চিনি-সাল, ইপি, ক্যালি-নাই, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, সিপি, সাইলি।
১৪) নাড়ির গতি অস্বাভাবিক : গতি স্বল্প ( Small) – A= অ্যাকোন, আর্স, ক্যাম্ফ, কার্বো-ভে, ডিজি, গুয়াই, ইপি, লরো, সিকেলি, সাইলি, স্ট্র্যামো, ভিরেট।
১৫) দুর্বলতা/ক্লান্তিঃ কথা বলার পরে- A= ইপি, সিকেলি। B= অ্যালু, কার্বো-ভে, চায়না, সিমিসি, ফস।