Hypericum Perfo (হাইপেরিকাম পার্ফ): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

Hypericum Perfo (হাইপেরিকাম পার্ফ)।
DHMS (2nd year).
♣ সমনামঃ হাইপেরিকাম অফিসিন্যালিস, সেন্ট জন্স ওয়ার্ট।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ মেরুদন্ডে আঘাত, মেরুদণ্ডে ও মস্তিষ্ক স্নায়ুতে আঘাত লাগার কুফলে, কক্সিস এ পড়ে গিয়ে আঘাত লেগে যন্ত্রণা হলে ব্যবহার্য। পেরেক, ছুঁচ, পিন বা গোঁজার ( খোঁটা) ওপর পা পড়ে ঘা হলে, ইঁদুরের কামড়ে ঘা, এসবে উপযোগী। এই ওষুধে টিটেনাস হয়ে চোয়াল শক্ত হওয়া নিবারণ করে।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ
♣ বৈশিষ্ট্যঃ হাইপেরিকামের বিভিন্ন প্রজাতির পাতায় ছোট ফোঁটা তার সাথে স্বচ্ছ বিন্দু এবং কালো গ্রান্ড যাতে এসেনসিয়াল অয়েল থাকে। পাতা অধিকন্তু বল্লমের অগ্রভাগের মতো। হাইপেরিকাম অ্যান্ড্রোসিনাম এর পাতাকে সাধারণত টুইসান বলে যা প্রাচীনকালে বিশুদ্ধ আঘাতে প্রয়োগ করা হতো। যেসব আঘাতের ক্ষেত্রে হাইপেরিকাম ভালো কাজ করে তা হলো স্নায়ু, মস্তিষ্ক, মেরুদন্ড, ককসিকস, আঙুলের অগ্রভাগ, সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নখের আঘাত, অথবা সবরকম ফুটা হওয়া আঘাত। হাইপেরিকামের আঘাতের বৈশিষ্ট্য হলো খুব স্পর্শকাতর, লিডামের আঘাত তেমন স্পর্শকাতর নয়।
ডা. ঊষার দৃঢ়ভাবে বলেন; “ব্যথা, রক্তস্রাব ও অত্যানুভূতি ” তার নির্দেশনা। ” এটি দেখা যায় রক্তাধিক্য ধাতুতে প্রযোজ্য, তার সাথে অত্যধিক টাটানি ব্যথা “।
♣ সারসংক্ষেপঃ চেতনারক্ষাকারী স্নায়ুমন্ডলীতে আঘাত। “ওপরে শূন্যে উড়ছে, তাতে উৎকন্ঠা যে নিচে পড়ে যাবে”। সাধারণভাবে ঠান্ডায়, কুয়াসাচ্ছন্ন আবহাওয়ায়, সঞ্চালনে, স্পর্শে ও আঘাতে বাড়ে। মাথা পেছন দিকে ঝোঁকালে, শুলে, গয়ার ওঠলে, ঘামে ও উত্তাপে কমে। স্নায়বিক অবসাদ, খিটখিটে, স্মৃতিশক্তির দূর্বলতা, ঘুমন্তাবস্তায় কথা বলে। ব্যথার উর্ধগামিতা ও স্পর্শকাতরতা। বাহু ওপরে ওঠালে পিঠে বা কোমরে সূ্ঁচিবেঁধামতো ব্যথা হয়। যান্ত্রিকভাবে প্রসাবের পর হতে কোমরের সেক্রাল অঞ্চলে ব্যথা। মেরুদন্ডে আঘাত লাগার পর হতে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি।
♣ অনুভূতিঃ হাতে ও পায়ে বিড়বিড়ানি অনুভূতিঃ অস্পষ্ট অনুভূতি যেনো সূঁচিবেঁধা থেকে এমন হয়।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ প্রসবের পর হতে নিতম্বদেশে ব্যথা হয়।
♣ < বৃদ্ধিঃ সন্ধ্যা ৬টায়, রাতে, সাধারণভাবে ঠাণ্ডায়, ঠাণ্ডা বাতাসে, ঠাণ্ডা লাগালে, আর্দ্র আবহাওয়ায়, কুয়াসাচ্ছন্ন আবহাওয়ায়, আঘাত, ঝাকুনিতে, শক, সঞ্চালনে, আবহাওয়া পরিবর্তনে, ঝড়-বজ্রের আগে, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায়, ককসিস্ ও স্পাইনের আঘাতে, ক্ষত, স্পর্শে, চাপে, ফরসেপ ডেলিভারির পর, বন্ধ ঘরে।
♣ > হ্রাসঃ মাথা পেছন দিকে ঝোঁকালে, শুলে, চুপ চাপ থাকলে, গয়ার ওঠলে, ঘামে, উত্তাপে।
♣ কারণঃ ভয়, শক লাগায়, কামড়ান (পোকা-মাকড় , ইঁদুর), ক্ষত, আঘাত, আঘাত বিশেষতঃ স্নায়ু প্রধান স্হানে, মেরুদণ্ডের আঘাত, অস্ত্রোপচার।
♣ ইচ্ছাঃ গরম পানীয় খেতে ইচ্ছা।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ আর্স (চলাফেরায় দুর্বলতা অথবা রোগাক্রান্ত), ক্যামো (মুখমণ্ডলের ব্যথা) ।
♣ এটি ক্রিয়ানাশকঃ সালফ (মেসমেরিজমের কুফল
♣ অনুপূরক ঃ আর্নিকা।
♣ সদৃশঃ স্ট্যাফি, সিম্ফাই, ক্যালেন্ডুলা, আর্নি, রুটা।
♣ প্রয়োগঃ সূচলো অস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট ক্ষত থেকে অগ্রবর্তী খারাপ অবস্হা (ধনুষ্টঙ্কার) প্রতিষেধক কল্পে হাইপেরিকাম একটি ওষুধ। — ডা.সি.হেরিং।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা হাইপেরিকাম প্রয়োগ করতে পারবো।

#গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ (ক্যান্ট রেপার্টরী অনুযায়ী)
১) অলসভাব: মাথায় আঘাত লাগার পর- C= আর্নি, সাইকু, হাইপেরি, মার্ক, রাস।
২) ) ভয় (Fright) হতে রোগ- A= অ্যাকোন, ইগ্নে, লাইকো, ন্যাট্র-মি, ওপি, ফস-অ্যাসি, ফস, পালস, সাইলি। B= অ্যাপিস, আর্জ-নাই, আর্টিমি, অরাম, বেল, কস্টি, কফি, কুপ্রা, জেলস, গ্লোন, গ্র্যাফ, হায়োস, হাইপেরি, ল্যাকে, নাক্স-ভ, সিপি।
৩.১) ভুল করে: বানান করতে- B= লাইকো, মেডো।
C= অ্যালি-স্যা, অ্যামন-কা, ক্রোটেল, ফ্লু-অ্যাসি, হেলোনি, হাইপেরি, ল্যাক্টি-অ্যাসি, ল্যাকে, নাক্স-ম, নাক্স-ভ, স্ট্র্যামো, সালফ।
৩.২) ভুল করে: লিখতে অক্ষরগুলো বাদ পড়ে- B= হাইপেরি, ল্যাক-ক্যান, লাইকো, নাক্স-ম, থুজা।
৩.৩) ভুল করে: লিখতে শব্দ- B= ক্যানা-স্যাট, ক্যামো, লাইকো, রড়ো, থুজা।
৪) ঝড়-বজ্র, আগে বাড়ে ( Thunder storm, before) – A= রডো। C= ব্রায়ো, হাইপেরি।
৫) সন্ধ্যা ৬টায় বাড়ে- B= স্যাম্বুল। C= ব্যাপ্টি, ক্যাল্ক-ফস, কস্টি, ডিজি, হিপার, হাইপেরি, ক্যালি-আই, ল্যাকন্যান্থ।
৬) সাধারণভাবে ঠান্ডায় বাড়ে (Cold in general agg)- A= আর্স, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক-আর্স, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফ্লু, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সিলি, ক্যাপসি, কস্টি, চায়না, ডালকা, গ্র্যাফ, হিপার, হাইপেরি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, লাইকো, ম্যাগ-ফস, মস্কাস, ন্যাট্র-আর্স, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, সোরিন, পাইরো, র্যানান-বা, রাস, রিউমেক্স, স্যাবাডি, সিপি, সাইলি, স্পাইজে, স্ট্রনসি।
৭) ঠান্ডা বাতাসে বাড়ে- অ্যাগারি, অ্যালি-স্যা, আর্স, অরাম, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাম্ফ, কস্টি, সিমিসি, সিস্টা, ডালকা, হেলি, হিপার, হাইপেরি, ক্যালি-কা, লাইকো, ম্যাগ-ফস, মস্কাস, নাক্স-ম, নাক্স-ভ, সোরিন, র্যানান-বা, রডো, রাস, রিউমেক্স, স্যাবাডি, সিপি, সাইলি, স্ট্রনসি।
৮.১) আক্ষেপ: ধনুষ্টংকারবৎ আড়ষ্টতা- A= সাইকু, হাইপেরি, নাক্স-ভ, পেট্রো, প্ল্যাটি, সিপি।
৮.২) আক্ষেপ: পায়ের তলা, হাতের আঙুল ও তালুতে ক্ষত হতে- A= হাইপেরি। B= বেল, লিডাম।
৯) কুয়াসাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় বাড়ে ( Foggy weather agg.)- A= হাইপেরি, রাস। B= রডো, সাইলি।
১০) প্রদাহ: স্নায়োগুলোতে- A= অ্যাকোন, বেল, ফস। B= অ্যালু-সিলি, অ্যান্টি-ক্রু, ক্যাক্টা, সাইকু, কোকা, জেলস, হিপার, হাইপেরি, ইপি, ক্যালমি, ল্যাসি, লিডাম, মার্ক, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, পালস, রাস, সাইলি।
১১.১) আঘাত (Iinjuries) চোট লাগা পড়ে যেতে থেঁতলে যাওয়াসহ (including blows falls and bruises) A= আর্নি, কোনি, হিপার, হাইপেরি, পালস, রাস, সাল-অ্যাসি।
১১.২) আঘাত: স্নায়ুতে তীব্র ব্যথাসহ- A= হাইপেরি। C= ফস।
১২) অসাড়তা (Numbness/নামবনেস) – বাহ্যিকভাবে (Externally/এক্সটারন্যালি) – A- অ্যানাকা, বার্বে, কার্বো-সাল, ককুল, কোনি, গ্রাফ, ক্যালি-কা, লাইকো, ওলিয়ে, ফস-এসিড, ফস, প্লাম্বা, সিকেলি, স্ট্র্যামো। B= অ্যাগারি, অ্যালু, অ্যাম্ব্রা, অ্যামন-কা, অ্যামন-মি, অ্যানাকা, আর্স, অ্যাসাফ, বিসমা, ক্যাল্ক, ক্যাপসি, কার্বো-ভে, কস্টি, সিড্রন, ক্যামো, চেলিডো, কলো, ডালকা, ফেরাম, ফেরা-আর্স, গ্যাম্বো, জেলস, গুয়াই, ইন্ডি, ক্যালি-বাই, ক্যালি-আই, ক্যালি-নাই, ক্রিয়ো, ম্যাগ-কা, মার্ক, মেজের, ন্যাট্র-আর, ন্যাট্র-কা, নিক্কো, নাক্স-ভ, র্যানান-বা, র্যাটা, রডে, রাস, সেলি, স্পাইজে, স্ট্র্যামো, স্ট্রনসি, ভ্যালের।
১৩) আঘাত, বিদ্যুতের মতো ( Shocks from injury) – A= অ্যাকোন, আর্নি, হাইপেরি, ল্যাকে, ভিরেট।
১৪) দুর্বলতা/ ক্লান্তিঃ জাগরণে – A= আর্স, ব্রায়ো, হাইড্রো, হাইপেরি, লাইকো।
১৫) ক্ষত: ব্যথা (painful) – A= হাইপেরি। B= অ্যাপিস, লিডাম, ন্যাট্র-মি।