Hamamellis (হ্যামামেলিস): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

Hamamellis (হ্যামামেলিস)।
DHMS (2nd year).
♣ সমনামঃ হ্যাজেল নাট, হ্যামামেলিস ডায়োয়িকা।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক ও সিফিলিটিক।
♣ কাতরতাঃ গরমকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ দেহের যে কোনো পথ হতে যেমন নাক, ফুসফুস, অন্ত্র, জরায়ু, মূত্রথলী হতে, শিরা হতে রক্তস্রাব হলে উপযোগী।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ শিরা ( মলাশয়, জননাঙ্গ, গলা, হাত-পা, রক্তজমা), যকৃত, উদর, বুকের দেয়াল, গর্ভাশয়, মূত্রাশয়, অন্ত্র, নাক, ফুসফুস,রক্ত।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ হ্যামামেলিসে “প্রখর টাটানি ব্যথা” হচ্ছে একটি মূলসুর যে অঙ্গ থেকে রক্ত প্রবাহ হয় সেখানে টাটানি ব্যথা ও থ্যাঁতলানো আঘাত অনুভুতি।
আর্নিকা ব্যর্থ হলেই হ্যামামেলিস আরোগ্য করে কিন্তু দুটি ওষুধের মাঝে প্রধান পার্থক্য হলো- “আর্নিকা কৈশিকনাড়ির বা ক্যাপিলারির” ওপর অধিক ক্রিয়া প্রকাশ করে এবং সে জন্য তাদের শিথিলতা জন্মে ও কালো দাগ বা কালশিরে প্রকাশ পায়; আর হ্যামামেলিসের ক্রিয়া জন্মে শিরার ওপরে; তাই শিরা অতিশয় পূর্ণ, বিবর্ধিত ও ব্যথাযুক্ত।
♣ ফিজিওলজিক্যাল কাজঃ ০১. এটি শিরার রক্তাধিক্য এবং প্রদাহ উৎপন্ন করে, শিরার আয়তন ছোট করে শিরাগুলো বাঁকা, টেরা আকারে পরিণত করে এবং শিরা হতে কালো বর্ণ রক্তস্রাব করিয়ে থাকে। ০২. এটি কোষরজ্জুর প্রদাহ, একশিরা ও অন্ডকোষের স্ফীতি উৎপন্ন করে থাকে। ০৩. এটি স্ত্রীজননেন্দ্রিয়ের কপাটের শিরার ওপর কাজ করে প্রদাহ, স্ফীতি এবং রক্তস্রাব আনয়ন করে।
♣ সারসংক্ষেপঃ দেহের যে কোনো পথ হতে কালো বর্ণের রক্তস্রাব, শিরাস্ফীতি ( বড়শিরা) সে সাথে “প্রখর টাটানি ব্যথা”। বাহ্য অঙ্গের কৃষ্ণবর্ণতা, রক্ত সঞ্চয়, পূর্ণতাবোধ : অভ্যন্তরীণভাবে, আক্রান্ত অংশ থ্যাঁতলে যাওয়ার মতো ব্যথা। আঘাত ( শারীরিক ও মানসিক), স্রাব অবরুদ্ধে, নড়াচড়ায়, পরিশ্রমে ও গরমে বাড়ে। শান্তভাবে শয়নে ও রাতে কমে। “সকলে আমাকে সম্মান প্রদর্শন করুক” এরূপ প্রত্যাশা, ভুলোমন, খিটখিটে মেজাজ ও বিষণ্নতা। গুণের যথাযথ মূল্যায়ন না করা হতে রোগোৎপত্তি। সর্বক্ষণ সে তার রোগের কথা চিন্তা করতে থাকে। নাক হতে রক্তস্রাব এবং অর্শ বা শিরার প্রদাহের যুগপৎ সম্মিলন ।
♣ অনুভূতিঃ বাম চোখের ওপর হাতুড়ির আঘাতের অনুভুতির সাথে ভ্রান্তবিশ্বাস যেনো তার মস্তিষক বিকৃত হয়ে যাবে ।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) অতিমাত্রায় কাজ করা বা কঠোর পরিশ্রম হতে উত্তেজনাপ্রবণতা। ২) রক্তকাশি হলে মানসিকভাবে শান্ত বোধ হয়। কিন্তু নাক হতে রক্তক্ষরণ হলে নাকের লক্ষণ বেড়ে যায়।
< বৃদ্ধিঃ আঘাত (শারীরিক ও মানসিক), থ্যাঁতলে গেলে, চাপে, নড়াচড়ায়, শুকরের মাংসে, ঝাঁকুনি লাগায়, গাড়িতে চড়লে, গরমে, আর্দ্র বায়ুতে, বৃষ্টির দিনে, পরিশ্রমে, স্রাব অবরুদ্ধে, স্পর্শে, বেদনা দিনের বেলায়, বিশ্রামে, গরম জলীয় বাতাসে
> হ্রাসঃ শান্তভাবে শয়নে, রাতে।
♣ কারণঃ হস্তমৈথুন, আঘাত (শারীরিক ও মানসিক), স্রাব অবরুদ্ধে।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ অ্যামন-কার্ব, আর্নিকা, ক্যাম্ফর, চায়না, পালস দাঁতব্যথা)।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা হ্যামামে প্রয়োগ করতে পারবো।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ (ক্যান্ট রেপার্টরী অনুযায়ী)
১) প্রগাঢ় চিন্তা (Meditation) – A= কার্বো-অ্যানি। B= হায়োস, ল্যাকে, সালফ। C= অ্যামন-মি, অ্যান্টি-ক্রু, অরাম, ক্যানা-স্যাট, ক্যান্থা, চায়না, সাইকু, ক্লিমে, ককুল, কোনি, সাইক্লে, ইউজি, হ্যামামে, হেলি, ইগ্নে, ইপি, ক্যালি-নাই, ম্যাঞ্চে, মেজের, মিউ-অ্যাসি, ন্যাট্র-কা, ফ্যালেন্ড্রি, ফস, প্লাম্বা, র্যানান-বা, রাস, স্যাবাডি, সিপি, স্পাইজে, থুজা।
২) সম্ভ্রমবোধ, চারদিকস্থ ব্যক্তিদের প্রতি (Reverence for those around him)- C= হ্যামামে।
৩.১) বিষণ্নতা : শুক্র ক্ষয়ের ফলে -A= নাক্স-ভ। B= পালস। C= অরাম, ডিজি, ডায়োস্কো, হ্যামামে, ন্যাট্র-ফস, ফস-অ্যাসি, স্যাঙ্গুই, আস্টি।
৩.২) বিষণ্নতা: হস্তমৈথুন হতে- A= ফস-অ্যাসি। B= কোনি, ন্যাট্র-মি। C= অ্যাগারি, ক্যালাডি, ককুল, জেলস, হ্যামামে, ন্যাট্র-ফস, নাক্স-ভ, প্লাটি, সাইলি, স্ট্যাফি, সালফ।
৪) কাজ, মানসিক কাজে বিতৃষ্ণা (Work, aversion to mental)- A= অ্যালোজ, ব্যাপটি, চেলিডো, চায়না, ল্যাসি, নাক্স-ভ, ফস। B= অ্যাকোন, ক্যাল্ক, কার্বো-অ্যাসি, কার্ল, চিনি-আর্স, কলচি, ফেরাম, জেলস, হ্যামামে, ক্যালি-বাই, ল্যাকে, লিলি-টি, লাইকো, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, ফস-অ্যাসি, ফাইটো, পিক্রি-অ্যাসি, পালস, সিপি, সাইলি, স্ট্যাফি, থুজা।
৪.২) মানসিক কাজ: অসম্ভব- B= ক্যাল্ক, ফেরাম, জেলস, মেডো, মিলি, ফস। C= অ্যাসের, চিনি-সাল, কোপেই, সাইক্লে, ডিজি, গ্লোন, জিমনোক্লে, হ্যামামে, হায়োস, ক্যালমি, লাইকো, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-সাল, নাক্স-ভ, পিক্রি-অ্যাসি, টিলি, স্যাম্বুল, ভাইবো।
৫) বাহ্য অঙ্গের কৃষ্ণবর্ণতা (Blackness)- A= আর্স, কুপ্রা, মার্ক, ওপি, সিকেলি, ভিরেট । B= অ্যাকোন, অ্যান্হ্রা, অ্যান্টি-ক্রু আর্জ-নাই, কার্বো-অ্যানি, চায়না, কোনি, ক্রোটেল, ইচিনে, হ্যামামে, নাক্স-ভ, ফস-অ্যাসি, ফস, স্যাম্বু।
৬) রক্ত সঞ্চয় (Congestion of blood)- A= অ্যাকোন, ইস্কু, বেল, ক্যাক্টা, চায়না, ফেরাম, গ্লোন, মেলিলো, নাক্স-ভ, ফস, সালফ, ভায়োলা-ও। B= অ্যালো, অ্যালু, অ্যাপিস, আর্নি, অরাম, বোরা, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, কার্বো-সাল, কার্বো-ভে, কফি, ফেরা-আই, গ্র্যাফ, হ্যামামে, হেলি, ল্যাকে, লাইকো, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, সোরিন, র্যানান-বা, রাস, সেনেগা, সিপি, সাইলি।
৭) দৈহিক পরিশ্রমে বাড়ে (Exertion, physical, agg.)- A= অ্যালু, আর্নি, আর্স, আর্স-আই, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, ককুল, কোনি, ফেরা-আই, জেলস, আই, লরো, ন্যাট্র-আর্স , ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, পিক্রি-অ্যাসি, রাস, সেলি, সিপি, স্পাইজে, স্পঞ্জি, স্ট্যানা, স্ট্যাফি, সালফ। B= অ্যাগারি, অ্যালুমেন, অ্যাম্ব্রা, অ্যানাকা, আর্জ-নাই, বেঞ্জু-অ্যাসি, বোলে, ক্যাক্টা, ক্যাল্ক-ফস, ক্যানা-স্যা, কার্বো-ভে, কস্টি, চেলিডো, চায়না, কলচি, ক্রোটেল, ফেরাম, ফেরা-আর্স, হ্যামামে, হেলোনি, হিপার, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-বাই, ক্যালমি, ক্রিয়ো, ল্যাকে, লোবে, লাইকোপা, লাইকো, মার্ক-কর, মিউ-অ্যাসি, ন্যাট্র-ফস, নাক্স-ভ, অক্স্যা-অ্যাসি, ফস-অ্যাসি, ফস, প্লাম্বা, পডো, সোরিন, পালস, রিউম, রুটা, স্যাবি, সাইলি, ট্যারেন্টু, টিউবার, ভ্যালের।
৮) খাদ্য: শুকরের মাংসে বাড়ে- A= কার্বো-ভে, সাইক্লে, পালস, সিপি। B= অ্যান্টি-ক্রু, কলচি, ইপি, ন্যাট্র-আর্স, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি। C= অ্যাকোন, অ্যান্টি-টা, আর্স, অ্যাসাফ, বেল, কস্টি, হ্যামামে, ট্যারাক্সি, থুজা।
৯) পূর্ণতাবোধ : অভ্যন্তরীণভাবে- A= অ্যাকোন, ইস্কু, চায়না, সিমিসি, গ্লোন, মেলিলো, মস্কাস, ফস, রাস, সালফ। B= অ্যান্টি-টা, অ্যাপিস, আর্নি, অ্যাসাফ, ব্যারা-কা, বেল, ব্রায়ো, ক্যান্থা, ক্যাপসি, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-সাল, কার্বো-ভে, ক্যামো, কোনি, ক্রোটন, সাইক্লে, ডিজি, ফেরাম, গ্র্যাফ, হ্যামামে, হেলি, আইরি, ক্যালি-কা, ক্যালি-নাই, লাইকো, ন্যাট্র-আর্স, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ম, ফাইটো, সোরিন, পালস, র্যানান-স্ক্লে, স্যাবি, সিপি, ভ্যালের।
১০) রক্তস্রাব (Haemorrhage)- A= আর্নি, বেল, বোথ্রো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, ক্যান্থা, কার্বো-ভে, চায়না, ক্রোটেল, ইরিজি, ফেরাম, হ্যামামে, ইপি, মেলিলো,মিলি, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, পালস, স্যাবি, সালফ, সাল-অ্যাসি।
১১) ঝাঁকুনি লাগায় বাড়ে (Jar, stepping, agg.)- A= আর্নি, বেল, ব্রায়ো, সাইকু, কোনি, ল্যাকে, নাই-অ্যাসি, রাস, সাইলি, থেরেডি। B= অ্যাকোন, লাইকো, ম্যাগ-মি, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, ওনোস, ফস-অ্যাসি, ফস, পালস, স্যাবাডি, স্যানিকি, সিপি, স্পাইজে, সালফ, থুজা।
১২) ব্যথা: চাপ দেয়ার মতো ব্যথা অভ্যন্তরীণভাবে – A= আর্জ-নাই, আর্নি, আর্স, অ্যাসাফ, বেল, ব্রোমি, ক্যাল্ক, চায়না, ক্যান্হা, কার্বো-ভে, কলো, কুপ্রা, হ্যামামে, ল্যাকে, লিলি-টি, লাইকো, নাক্স-ভ, পেট্রা, ফস, পালস, রাস, রুটা, স্যাঙ্গুই, স্যাঙ্গু-নাই, সিকেলি, সেনেগা, সিপি, সাইলি, স্পাইজে, স্পঞ্জি, স্ট্যানা, সালফ, ভ্যালের, ভিরেট।
১৩) ক্ষতের মতো মোচড়ানো ব্যথা (Sore, bruised)- A= আর্জ-মে, আর্নি, সাইকু, সিমিসি, সিনা, কলো, ড্রসে, হ্যামামে, প্লাটি, পাইরো, রাস, রুটা, সাইলি।
১৪.১) শিরাস্ফীতি/ শিরাকুঁচকে থাকা (Varicose veins) – A= আর্নি, কার্বো-ভে, ফ্লু-অ্যাসি, হ্যামামে, লাইকোপা, পালস । B=অ্যালুমেন, অ্যান্টি-টা, আর্জ-নাই, বেল, কার্বে-অ্যানি, কস্টি, ফেরাম, গ্র্যাফ, হিপার, ক্রিয়ো, লাইকো, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, প্লাম্বা, স্যাবি, সাইলি, সালফ, জিঙ্ক, ।
১৪.২) শিরাস্ফীতি : প্রদাহজনক – B= আর্স, ক্যাল্ক, হ্যামামে, লাইকো, লাইকোপা, পালস।
১৪.৩) শিরাস্ফীতি : বেদনাদায়ক – A= পালস। B= ব্রোমি, কস্টি, হ্যামামে, লাইকো।