Conium Mac (কোনিয়াম ম্যাক): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

Conium Mac (কোনিয়াম ম্যাক)।
DHMS (4th year).
♣ সমনামঃ বিষাক্ত উদ্ভিদ, পয়জন হেমলক, হেমলক বিষ।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক।
♣ সাইডঃ ডানপাশ, ওপরে বামপাশ নিচে ডানপাশ।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ বুড়ো কুমারী ও অবিবাহিত ব্যক্তি। কোনিয়ামের রোগীর চুল পাতলা, চোখের পাতা ঝুলে পড়ে, পেশিতন্তুগুলো সুদৃর, চেহারা লম্বা-পাতলা বলবান ধরনের,দেহ শোথজনিত স্ফীতিযুক্ত, গ্রন্হিগুলো বর্ধিত, শক্ত ডেলা ডেলা মতো স্ফীতি।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ মস্তিষ্ক মস্তিস্ক,পৃষ্টবংশীয়,স্নায়ুমন্তুলী এবং গিতশক্তি বিধায়ক স্নায়ুপথ, মাথাঘোরা, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, কম্পন, মূএরোগ, শুক্রতারল্য, হৃদস্পন্দন, মাংসপেশি, গ্রন্হিগুলো, স্তনগ্রন্হি (mammae-), ডিম্বশায়,জরায়ু, জননেন্দ্রিয়, শ্বাস-প্রশ্বাস।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ এটি ওপরের দিকে প্রসারণশীল পক্ষাঘাত উৎপন্ন করে অবশেষে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু ঘটায়।পরিক্ষাকালে এর অনেকগুলো বিশিষ্ট লক্ষণ পাওয়া যায়। যথা- কষ্টকৃত পদক্ষেপ, কম্পন,চলার সময় হঠাৎ শক্তিলোপ,পদদ্বয়ের যন্ত্রণাদায়ক কাঠিন্য,গ্রন্হির স্ফীতি ও অনুভূতির হ্রাস। ক্রম পরিবর্ত গতিতে ও ধীর গতিতে, নিতান্ত বিকৃতি, উন্নাদের দিকে মনটির অগ্রসর হয়ে থাকে এবং শরীরের গ্ল্যানগুলো ক্রমে ক্রমে শক্ত হয়ে ওঠে।
♣ সারসংক্ষেপঃ বুড়ো কুমারী ও অবিবাহিত ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ সঙ্গমেচ্ছার কুফুল। শয়নকালে মাথাঘোরা ও নিদ্রাকালে ঘাম।পক্ষাঘাত সদৃশ দুর্বলতা,শীতাতর্তা,শিহরিতে হওয়া,কাঁপা ও শক্তভাব। ব্যাথাঃ সূঁচফোটানো, ছিন্নকর বিদ্ধকরন ও চাপনমতো,বহির্মুখী ও উর্ধমুখী,বাহি্যকভাবে ও অভ্যন্তরীকভাবে।রাতে,আহারকালে ও পরে, মলত্যাগের পরে, দুধে,ঝাকুনি, লাগায়,শুয়ে থাকলে, বাতাসে,বসাবস্হায়,দাড়ালে,হাটলে,দৈহিক পরিশ্রমে বাড়ে।চাপে,সঞ্চালনে ও নিচে বসতে গেলে উপশম।অতিশয় অবশন্ন,উদাসীন ও বিষন্ন ভাব, মানসিক দুর্বলতা ও স্মৃৃতিশক্তির দুর্বলতা, অলসভাব, বসে থাকার প্রবৃত্তি ও ধীরতা।মাথা ব্যাথার সময় নিঃস্ফ মূএবেগ আসে।বাধাপ্রাপ্ত প্রসাব বা থেমে থেমে প্রসাব (ক্লিমেটিস,লাইকো,থুজা)।
♣ অনুভূতিঃ (১) পোকা হাঁটার মতো অনুভুতি : গ্রন্হিগুলোতে। (২) অসাড় করা অনুভুতি।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ (১) যৌন উত্তেজনা চাপা দেয়া হতে মানসিক বিষণ্নতা। (২) মাথা ব্যাথার সময় নিঃস্ফল মূত্রবেগ আসে। (৩) যে কোনো গ্রন্হিতে আঘাত লাগার পর গ্রন্হির কাঠিন্যতা বা শক্ত হয়ে যাওয়া।
< বৃদ্ধিঃ প্রাতে, অপরাহ্ন ৫টায়, সন্ধাকালে, রাতে, রাত ৩টা, খোলা বাতাসে, প্রাতরাশের পর, অবস্হান পরিবর্তনে, সাধারণভাবে, ঠাণ্ডায়, সঙ্গমকালে, সঙ্গমের পরে, ঠাণ্ডা লাগালে, ঠাণ্ডা লাগালে পরে, পদদ্বয়ে ঠাণ্ডা লাগালে, হাত বিছানার বাইরে রাখলে, নিচের দিকে নামলে, আহারকালে ও পরে, মলত্যাগের পরে, খাদ্য: ঠাণ্ডা খাদ্যে, দুধে, ঝাঁকুনি লাগায়, শুয়ে থাকলে, একপাশে চেপে শুলে, ঋতুস্রাবের আগে, প্রারম্ভে ও পরে, ঘামের পর, জাগরণে, ঘরে অধিকসংখ্যক লোকে, ঘর্ষণে, দৌড়ালে, বসাবস্হায়, ঘুমের সময়ে, নিদ্রাহীনতা হেতু, অনাচ্ছাদনে, বাতাসে, দাঁড়ালে, হাঁটলে, হাঁটলে: শুরুতে, মুক্ত বাতাসে, দ্রুত প্রকোপ বাড়ে, বায়ুতে, স্টোভ বা উনুনের গরমে, দৈহিক পরিশ্রমে, বিছানায় পাশ ফিরলে বা ওঠে বসলে, চলন্ত বস্ত দর্শনে, অ্যালকোহল পানে, হাত তুললে, পরিশ্রমে, আঘাতে, দাঁড়ালে,মাথাটি বাম পাশে ঘোরালে, বৃদ্ধ বয়সে, মাথা নিচু করে শুলে।
> হ্রাসঃ খোলা বাতাসে, গরম খাদ্যে, বিছানায় শুলে, চুম্বক শক্তিতে, চাপে, সঞ্চলনে, আক্রান্ত অঙ্গের সঞ্চলনে, নিচে বসতে গেলে, নাস্তার পর, মদে। উপবাসে, অন্ধকারে, আক্রান্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঝুলিয়ে রাখলে, ভ্রমণে, চা পানে, বসে থাকলে, চাপে, সূর্যতাপে।
♣ কারণঃ আঘাত, শোক, দুঃখ, ইন্দ্রিয়ের অপব্যহার, হস্তমৈথুন হতে পীড়া, অতিরিক্ত যৌনক্রিয়ার পর, সঙ্গম বাসনা চাপা রাখা হেতু, উত্তেজনা, বেশি পরিশ্রম, তুষার বায়ু, বসন্তকাল, ভারি বোঝা তোলা, পেশি ও কন্ডরাগুলোতে চাপ লাগার কুফল, জৈব তরল পদার্থের ক্ষয় ।
♣ ইচ্ছাঃ কফি, লবণ, অম্ল দ্রব্য।
♣ অনিচ্ছাঃ আলো, তামাক, সকালের নাস্তা ।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ সোরিন, কোপ্রাম-মেট, নাইট্রিক-অ্যাসিড, সেবাডিলা ।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ নাইট্রিস্পিরিটাস ডালসিস, অ্যাসিড-নাই, ডালকা, কফি ।
♣ এটি ক্রিয়ানাশকঃ মার্ক, নাই-অ্যাসি, সালফ ।
♣ সতর্কীকরণঃ
♣ প্রয়োগঃ (১) বিবাহের অঙ্গিকারে আবদ্ধ বহু যুবক এই ঔষধটির দ্বারা উপকৃত হইয়াছে। যাহা হউক কি পুরুষ, কি স্ত্রীলোক-উভয়েরই সঙ্গমকার্যে পরিপূর্ণ তৃপ্তিবোধের পূর্বেই বীর্যস্খলন- কোনিয়ামের একটি পরিপূর্ণ লক্ষণ বলিয়াই জানিতে হইবে। -ডা. ক্লার্ক।
(২) নিম্নশক্তি ঘন ঘন প্রয়োগ করা যেত পারে। কিন্তু উচ্চশক্তিগুলো একমাত্রা। -ডা.কে.এন.মাথুর।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) আলো এড়িয়ে চলে- A= কোনি। B= অ্যাম্ব্রা, হায়োস, জিঙ্ক ।
২) বিষণ্নতা: ইন্দ্রীয় দমন হতে- A= কোনি। B= বেল, হায়োস, স্ট্যামো ।
২.১) বিষণ্নতা: ঘামের সময়- A= কোনি। B= অ্যাকোন, অ্যাপিস, অরাম, ক্যাল্ক, চায়না, ন্যাট্র-মি সিপি।
৩) বসে থাকার প্রবৃত্তি (Sit, inclination to)- A= চায়না, কোনি, গ্র্যাফ, গুয়াই হিপ্পো, নাক্স-ভ, ফস, পালস, স্কুই ।
৪) ধীরতা (Slowness)- A= কোনি, হেলি, ফস। B= অ্যানাকা, কলো, কার্বো-ভে, গ্র্যাফ, ওপি, পালস, সিপি ।
৪.১) ধীরতা: চলাফেরা করতে- A= ফস। B= অ্যানাকা, ক্যাল্ক, কোনি।
৫) শুষ্কতা (Atrophy), গ্রন্হিলোর – A= কোনি, আই, ক্যালি-আই।
৬) কৌষিক অর্বুদ – A= আর্স-আই, কোনি, লাইকো, মার্ক।
৬.১) গ্রন্হিস্হানে অর্বুদ – A= কার্বো-অ্যানি, কোনি। B= অরাম-মি ।
৬.২) কঠিন অর্বুদ- A= কার্বো-অ্যানি কোনি, সাইলি।
৭) পোকা হাঁটার মতো অনুভূতি: গ্রন্হিগুলোতে- A= কোনি। B= আর্নি, প্ল্যাটি, রাস, সিপি, স্পঞ্জি।
৮) কঠিনতা (Indurations)/ শক্তভাব (Hardness)- A= ব্যাডি, বেল, ক্যাল্ক-ফ্লু, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-ভে, চায়না, ক্লিমে, কোনি, ল্যাকে, ম্যাগ-মি, ফস, রাস, সেলি, সিপি, সাইলি, স্ট্যাফি।
৮.১) কঠিনতা: গ্রন্হিগুলোতে – A= ব্যাডি, ব্যারা-মি, বেল, ব্রোমি, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফ্লু, কার্বো-অ্যানি, ক্লিমে, কোনি, আই, ফাইটো, স্পঞ্জি, সালফ।
৯) আঘাত: কোমলাংশে-A=আর্নি, কোনি । B= পালস। সাল-অ্যাসি।
১০) চুলকানি, গ্রন্হিতে (Itching, glance)- A= কোনি। B= অ্যানাকা, কস্টি, ক্যালি-কা, ফস, সাইলি , স্পঞ্জি।
১১) শিহরিত হওয়া (Quivering)- A= বেল, ক্যাপসি, কোনি, সালফ।
১২) সংবেদনশীলতা : গ্রন্হিগুলোতে (glands)- A= ব্যারা-কা, কোনি, ফস।
১৩) সঙ্গম বাসনা চাপা রাখা হেতু (desire, supression of agg.)- A= অ্যাপিস, ক্যাম্ফ, কোনি।
১৪) ডান দিক (Right)- A= আর্জ-মে, আর্স, অরাম, ব্যাপটি, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যান্থা, চেলিডো, কলো, কোনি, ক্রোটা-কা, ক্রোটা-হ, লাইকো, নাক্স-ভ, পালস, র্যানান,স্ক্লে, র্যাটা, স্যাঙ্গুই, সার্সা, সিকেলি ।
১৫) সাধারণ ফোলা: ঠাণ্ডা (cold)- A= কোনি। B= ককুল। C= আর্স, অ্যাসাফ, বেল, সাইক্লে, ডালকা, ল্যাকে,রডো, স্পাইজে।
১৫.১) সাধারণ ফোলা: শক্ত। (hard)- A= কস্টি, কোনি, আই, রাস।
১৬) কাঁপা, অভ্যন্তরীণভাবে: মলত্যাগের পরে- A= কোনি। B= আর্স। C= কার্বো-ভে, কস্টি, লিলি-টা।
১৭) হাঁটলে : শুরুতে বাড়ে (benginning of)-A= ক্যাপসি, কোনি, ইউফর্বি, ফেরাম, লাইকো, পালস, রাস।
১৮) দ্রুত প্রকোপ বাড়ে (fast agg.)- A= আর্স, বেল, ব্রায়ো, কফি, কোনি, হায়োস, ক্যালি-ফস, নাই-অ্যাসি, ফস, পালস, সালফ, সাইলি।
১৯.১) দুর্বলতা : সামান্য পরিশ্রমে- A= আর্স, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, কোনি, ল্যাকে, ন্যাট্র-কা, ফস-অ্যাসি, পিক্রি-অ্যাসি, রাস, স্যালে, স্পঞ্জি।
১৯.২) দুর্বলতা : মলত্যাগের পরে- A= আর্স, আর্স-মে, কোনি, মার্ক নাই-অ্যাসি, পিক্রি-অ্যাসি, ভিরেট।
১৯.৩) দুর্বলতা : কম্পমান- A= ্আই-নাই, কোনি, স্ট্যানা।