Coculus Indica (ককুলাস ইন্ডিকা): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ
Coculus Indica (ককুলাস ইন্ডিকাস)।
DHMS (2nd year).
♣ সমনামঃ ককোলাস সুবারোসাস, কাকফল, ভারতীয় ককেল।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, টিউবারকুলার।
♣ সাইডঃ ডানপাশ, বিপরীত দিক।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ জৈব উত্তাপের অভাব। যে সব স্ত্রীলোক ও শিশুদের চুল ও চোখ কটা, যারা সব সময় বই পড়তে ভালোবাসে, উত্তেজনাপ্রবণ, কল্পনাবিলাসী, মেয়েরা যাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, অত্যধিক যৌনক্রিয়ার ফলে দুর্বল ব্যক্তি- তাদের পক্ষে উপযোগী।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ মস্তিক, জরায়ু, অন্ত্র, পাকস্হলী, পাকাশয়, অনুভূতি যন্ত্র, স্নায়ু, মাংসপেশি, রক্ত, স্ত্রীজননযন্ত্র, মাথার পেছনে নিম্নদিকে, কোমর, একপাশ, মেরুমজ্জা ও মেরুদন্ড।
♣ ফিজিওলজিক্যাল কাজঃ তিনটি প্রধান স্থানে এর কাজ প্রকাশ পায় প্রথমতঃ মস্তিষ্ক কশেরুকা-গতি বিধায়ক স্নায়ুর ওপর প্রকাশ করে কনভালসন এবং পক্ষাঘাত উৎপন্ন করে। দ্বিতীয়তঃ ভেগাসের ওপর ক্রিয়া প্রকাশ করে প্রবল বমি এবং মূর্ছা আনয়ন করে এবং তৃতীয়তঃ ডিম্বাশয় জরায়ুর ওপর ক্রিয়া প্রকাশ করে আক্ষেপ এবং চেতনাধিক্য উপস্থিত করে।
♣ সারসংক্ষেপঃ উত্তেজনাপ্রবণ, কল্পনাবিলাসী, মেয়েরা যাদের অনিয়মিত কষ্টকর ঋতুস্রাব। “উৎকন্ঠার সাথে দুর্বলতা”। মাথা অথবা অন্য অঙ্গের মাঝে খালি বা শূন্যতাবোধ। মাথাঘোরার সাথে বমি বমিভাব ও বমি। খোলা বাতাসে, সঞ্চালনে, ট্রেনের কামড়ায় বা গাড়িতে, নিদ্রাহীনতায়, স্পর্শে, বমিতে, হাঁটলে ও দাঁড়ালে বাড়ে। গরম ঘরে, বিছানায় শুলে ও একপাশে চেপে শুলে কমে। অন্যের জন্য উৎকন্ঠা, ক্রোধ, মনের বিশৃঙ্খল অবস্হা, বিস্তৃতিপরায়ণ, কথা বলতে ইচ্ছে করে না, সময় অতি দ্রুত চলে। হস্তমৈথুন, ক্রোধ, ভয়, নিদ্রাহীনতা, ভ্রমণ, মানসিক/ শারীরিক পরিশ্রম হেতু রোগোৎপত্তি। পায়ের পাতার ও হাতের অবশ ভাব পর্যায়ক্রমে আসে। মাথা ঘোরার সময় হৃদপিন্ড কাঁপতে থাকে।
♣ অদ্ভূত লক্ষণঃ ককোলাসের রোগী ঠান্ডা বা গরম কোনোটিই সহ্য করতে পারে না। ঠান্ডা পানীয়ের জন্য আকাঙ্ক্ষা যথেষ্ট কিন্তু ঠান্ডা খাদ্য বা পানীয় তার অঙ্গব্যথা বাড়িয়ে দেয়।
♣ অনুভূতিঃ ১) ঊর্ধবাহু ওপরে ওঠালে এমন ব্যথা হয় যেনো হাত ভেঙ্গে গেছে। ২) উত্তাপের ঝলকাবোধ।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) ফ্যারিংসের শুষ্কতা হতে বমি বমি ভাব হয়। ২) পায়ের পাতার ও হাতের অবশ ভাব পর্যায়ক্রমে আসে।
< বৃদ্ধিঃ প্রাতে, পূর্বাহ্নে, সন্ধাকালে, বিকেলে, রাতে, রাত ১টায়, খোলাবাতাসে, সাধারণভাবে, ঠান্ডায়, ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা লাগালে, ঠান্ডা গরমে, পালকের শয্যায়, খাদ্য : কফিপানে, শীতল পানীয়ে, ঠান্ডা খাদ্যে, খাদ্যের গন্ধে, ঝাঁকুনি লাগায়, ঋতুস্রাবকালে, সঞ্চালনে, আক্রান্ত অঙ্গের সঞ্চালনে, ট্রেনের কামড়ায় বা গাড়িতে, জাগরণে, দৌড়ালে, বসাবস্হায়, ঘুমের পর, নিদ্রাহীনতা হেতু, স্পর্শে, অনাচ্ছাদনে, পোশাক ছাড়লে, বমিতে, হাঁটলে, মানসিক পরিশ্রমে, পানাহারে, ধূমপানে, কথা বলায়, কাঁদলে, চাপে, গর্ভাবস্হায়, দাঁড়লে, সাঁতার কাটলে, খোলা বাতাসে, শব্দে।
> হ্রাসঃ গরম ঘরে, ঘরে থাকলে, বসলে, স্থিরভাবে শয়নে, শান্ত ঘুমে, খাদ্য : শীতল পানীয়ে, গরম খাদ্যে, বিছানায় শুলে, একপাশে চেপে শুলে, সঞ্চালনে, ঘুমের পরে, উনুনের গরমে।
♣ কারণঃ হস্তমৈথুন, ক্রোধ, ভয়, দুঃখ, বিরক্তি, দুশ্চিন্তা, নৈরাশ্য, রাতজাগা, নিদ্রাহীনতা, ভ্রমণে, চা পানে, আতঙ্ক, শব্দ, সমুদ্রপীড়া, মানসিক অথবা শারীরিক অত্যন্ত পরিশ্রম, সূর্যালোক, ভারি বোঝা তোলা, পেশি ও কন্ডুরাগুলোতে চাপ লাগার কুফল।
♣ অনিচ্ছাঃ খোলা বাতাসে।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ কস্টি, কফিয়া।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ ক্যাম্ফ, ক্যামো, কুপ্রাম, ইগ্নে, নাক্স-ভ, স্ট্যাফি।
♣ এটি ক্রিয়ানাশকঃ অ্যালকোহল, তামাক, ক্যামো, কুপ্রা, ইগ্নে, নাক্স-ভ ও থুজা।
♣ প্রয়োগঃ তরুণ মাথা ধরার ক্ষেত্রে ২০০ শক্তির ১ মাত্রা অত্যন্ত সফলতার সাথে ব্যবহার করিছি। — ডা. জর্জ রয়েল।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা ককুলাস প্রয়োগ করতে পারবো।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) ক্রোধ : বিরক্তি প্রভৃতি পরবর্তী পীড়া হেতু- A= অ্যাকোন, ক্যামো, ককুল, কলো, ইগ্নে, ইপি, নাক্স-ভ, ওপি, স্ট্যাফি।
২) স্বপ্ন দেখে : চোখ বুজলে- A= ক্যাল্ক, ককুল, লাইকো।
৩) বিস্বাদ : রোগভোগ হতে- A= অরাম, কস্টি, ককুল, ল্যাকে, ন্যাট্র-মি, ফস-এসিড, স্ট্যাফি।
৪) গুল্মবায়ু রোগ (Hysteria) : অজ্ঞান হয়ে পড়ে- A= ককুল, ইগ্নে। B= মস্কাস, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ম, নাক্স-ভ।
৫) নম্রতা (Mildness) / শান্তভাব ( Gentleness) – A= আর্নি, আর্স, বোরা, ককুল, ন্যাট্র-মি, পালস, রাস, সাইলি।
৬) স্বল্পবাক/নির্বাক (Silent) -অরাম, কার্বে-অ্যানি,ককুল,গ্লোন, নাক্স-ম, ফস-অ্যাসি, ফস, প্ল্যাটি, পালস, সালফ,ভিরেট,জিঙ্ক ।
৭) সময় : অতি দ্রুত যায়- A= ককুল। B= থেরিডি।
৮) অজ্ঞানতা (Unconsciousness) A= অ্যাকোন, ক্যানা-ই, ককুল, হেলি, হাইড্রো-অ্যাসি, হায়োস, ইগ্নে, ল্যাকে, মস্কাস, নাক্স-ম, ওপি, ফস-এসিড, পালস।
৯) খোলা বাতাসে বিতৃষ্ণা – A= অ্যামন-কা, ব্যাপটি, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যামো, ককুল, কফি, ইগ্নে, ক্যালি-কা, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, পেট্রো, রুমেক্স, সাইলি, সালফ।
১০) বেদনার স্বল্পানুভূতি (Analgesia) A= ককুল, লাইকো, ওলিয়ে, ওপি, ফস-এসিড, স্ট্র্যামো।
১১) সন্ন্যাস রোগ (Apoplexy) – A= অ্যাকোন, বেল, ককুল, জেলস, ইপি, ল্যাকে, ওপি।
১২) উত্তাপের ঝলকাবোধ (Flashes of heat) A= ক্যাল্ক, কস্টি, ককুল, গ্লোন, ল্যাকে, লাইকো, ম্যাঙ্গে, ন্যাট্র-সাল, নাই-অ্যাসি, ফস, সোরিন, সিপি, সালফ, সাল-অ্যাসি, স্যাম্বুল, থুজা, টিউবার।
১৩) বিছানায় শুলে উপশম- A= ব্রায়ো, সাইকু, ককুল, হিপার, নাক্স-ভ, স্কুই, স্ট্যানা।
১৪) একপাশে চেপে শুলে উপশম- A= ককুল, নাক্স-ভ।
১৫) সঞ্চালনে বাড়ে (Motion agg.) A= বেল, বিসমা, ব্রায়ো, চেলিডো, চায়না, ককুল, কলচি, কলো, গুয়াই, লিডাম, মার্ক, নাক্স-ভ, র্যানান-বা, স্যাবি, সাইলি, সালফ।
১৬) অসাড়তা (Numbness/নামবনেস) – বাহ্যিকভাবে (Externally/এক্সটারন্যালি) – A- অ্যানাকা, বার্বে, কার্বো-সাল, ককুল, কোনি, গ্রাফ, ক্যালি-কা, লাইকো, ওলিয়ে, ফস-এসিড, ফস, প্লাম্বা, সিকেলি, স্ট্র্যামো।
১৭) অসাড়তা: বিশেষ কোনো অঙ্গে- A= কার্বো-অ্যানি, কার্বো-সাল, ককুল, ক্রোকা, গ্র্যাফ, ক্যালি-কা, ক্যালি-নাই, লাইকো, মার্ক, পালস, রাস, সাইলি।
১৮) হস্তমৈথুন হতে পীড়া (Onanism from) – ক্যাল্ক, চায়না, ককুল, কোনি, জেলস, ন্যাট্র-ফস, ওরিগে, ফস-অ্যাসি, সেলি,সিপি, স্ট্যাফি, সালফ।
১৯) মাংসপেশিতে অসাড়ভাব – A= ককুল, কোনি, ক্যালি-কা।
২০) ট্রেনের কামড়ায় বা গাড়িতে বাড়ে- A= ককুল, পেট্রো, প্ল্যাটি, সিপি।
২১) নিদ্রাহীনতা হেতু বাড়ে- A= ককুল, নাক্স-ভ।
২২) কাঁপা বাহ্যিকভাবে : আবেগের পর- A= ককুল, স্ট্যাফি। B= প্লাম্বা, সোরিন, স্ট্র্যামো, জিঙ্ক।
২৩) বমিতে প্রকোপ বাড়ে (Vomiting agg.)- A= আর্স, ককুল, কুপ্রা, পালস, সালফ।
২৪) হাঁটলে বাড়ে (Walking agg.) A= ইস্কু, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যানা-স্যাট, ককুল, কলচি, কোনি, লিডাম, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, স্পাইজে, স্ট্যানা, সালফ।
২৫.১) দুর্বলতা/ ক্লান্তিঃ অনিদ্রায়- A= ককুল। B= কুপ্রা।
২৫.২) দুর্বলতা/ ক্লান্তিঃ পক্ষাঘাতগ্রস্ত- A= ককুল, জেলস, হেলি, মেজের, মস্কাস, মিউ-অ্যাসি, ফস-এসিড, ফস, ভিরেট।
২৫.৩) দুর্বলতা/ ক্লান্তিঃ মুক্তবাতাসে – A= অ্যালু, ককুল, রাস।