Calc-Phos (ক্যাল্কে.ফস্): ডা.হাসান মির্জা

Calc-Phos (ক্যাল্কে.ফস্)
#নিজস্বকথাঃ
১। স্ক্রুফিউলা বা ধাতুগত দুর্বলতা ও উদরাময়।
২। মানসিক পরিবর্তনশীলতা।
৩। ঠান্ডায় বৃদ্ধি এবং রোগের কথা মনে পড়লে বৃদ্ধি।
৪। ঋতুকালে মুখমন্ডলে উদ্ভেদ। (অস্থির উপর ভাল কাজ করে।)
#ক্রিয়াক্ষেত্রঃ ডা.হাসান মির্জা
১। অপর নাম- ফসফেট অফ লাইম, ক্যালসিয়াম ফসফেট। ইহা টিস্যু নির্মানে অগ্রগন্য। লবন ব্যতীত সর্বপ্রকার ব্যঞ্জনই যেমন অখাদ্য হয়ে পড়ে, তেমনি এই পদার্থের অভাবে মনুষ্যদেহের প্রতিটি যন্ত্রই অকর্মণ্য হয়ে পড়ে। ঔষধটি এন্টিসোরিক ও এন্টিসাইকোটিক।
২। দেহস্থ অন্ডলালিক পদার্থের কার্যহীনতার কারণে পদার্থটি শরীরস্থ যেকোন দ্বার দিয়ে নির্গত হতে থাকে। যখন নাসিকা থে নির্গত হয় তখন তা সর্দিস্রাব, ফুসফুস পথে কাশিরূপে কফ বা শ্লেষ্মা, মূত্রপথে এলবুমেন আবার কখনোবা চর্মপথে চুলকানি বা ক্ষতরূপে প্রকাশ পায়। সুতরাং স্রাবের চিকিৎসায় কোথায় গাঢ় আর কোথায় পাতলা তা সূক্ষভাবে নিরীক্ষণ করা জরুরী।
৩। রক্তের শে^ত কণিকাগুলিকে লোহিত কণিকায় পরিণত করার পর নতুন শে^তকণিকা তৈরি করে। সুতরাং রক্তে অন্ডলালিকা পদার্থের বিকৃতি ঘটলে, অস্থির অপুষ্টতা হলে এবং রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ কমে গেলে বা অভাবজনিত পীড়ায় ক্যাল্কে. ফস অতুলনীয়। রোগের পুরাতন অবস্থায় এই তিনটি কারণের একটি অবশ্যই বর্তমান থাকবে। তাই শীর্ণদেহী ক্রণিক রোগ ক্ষেত্রে ক্যাল্কে.ফস ব্যবহারে অধিক সুফল মেলে।
৪। এনিমিয়া বা ক্লোরোসিস ইত্যাদি পীড়া যেগুলির কারণে রোগী রক্তহীন ও হীনবল হয়ে পড়ে সেখানেও ক্যাল্কে. ফস আমাদের একমাত্র অবলম্বন। থ্যালাসেমিয়ার শিশুদের পক্ষকাল বা মাসান্তর বাইরে থেকে রক্তের যোগান দিতে হয়। ফুলোফুলো মুখ, ফ্যাকাসে রিক্ত অবয়ব, শীর্ণদেহ, ভীষণ দুর্বল- এমনসব শিশুর জন্য ক্যাল্কে. ফস প্রধান অস্ত্র।
৫। যেসব শিশুর দেহের তুলনায় পেটটি বড়, মাথা বড়, অস্থি পাতলা যেন সামান্য চাপে অস্থি ভেঙে যাবে, মেরুদÐ দুর্বল ও বক্র, মাথার তালুর হাড়টি সহজে জোড়া লাগেনা। শিশু আহার করে প্রচুর কিন্তু দিনদিন শীর্ণ হয়।
৬। শিশুর দুধ সহ্য হয়না, পেট বেদনা, দুধ খাওয়ার পর ছানা কাটা দুর্গন্ধ বমি করে অথচ সর্বদা খাই খাই ভাব। ছানাকাটা বমির জন্য ইথুজা সবার উর্দ্ধে কিন্তু এক্ষেত্রে পার্থক্য হলো শিশু বমি করে তারপরই নিঝুমভাবে ঘুমিয়ে পড়ে।
৭। শিশুর দন্তোদগমনকালীন যাবতীয় পীড়া যেমন- অজীর্ণ, উদরাময়, তড়কা, জ¦র, পেটব্যথা, সর্দিকাশি, ক্ষয়কাশি, ক্রিমি, শয্যামুত্র, অস্থিক্ষত, অস্থিবিকৃতি ইত্যাদি যে কোন পীড়ায় ক্যাল্কে.ফস ভাবতে পারি।
৮। পুঁয়ে পাওয়া বা শীর্ণ শিশুর শরীর গঠন ক্রিয়ায় অপ্রতিদ্বদ্ধ¦ী ঔষধ। শিশু সর্বদা খাই খাই করে অথচ শরীর শুকিয়ে চর্মসার হয়। মেজাজ বড়ই খিটখিটে, পেটটি বড়, জড়বুদ্ধি ভাবাপন্ন। মস্তকটি উষ্ণ, চুলের গোড়ায় কুটকুট করে। শিশুর ঘাড়টি এত দুর্বল যে মাথার ভার বহন করতে পারে না (এব্রোটে), এমনকি চলবার সময় পা টলমল করে। দাঁড়াতে পারেনা, হাঁটা শিখতে দেরী হয় (ক্যাল্কে.কার্ব, সাইলি)। শিশুর নাভি থেকে রক্ত মেশানো রস চুঁইয়ে পড়তে থাকে।(নাভি হতে প্রস্রাব চোয়া-হায়োস।)
৯। স্ক্রোফুলা বা ক্ষয়দোষজনিত শিশু যারা পর্যাপ্ত আহার করা সত্ত্বেও অস্থিপুষ্টির অভাবে দুর্বলতা বশতঃ জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে, সর্দিস্রাব লেগেই থাকে, মলত্যাগকালে নানারকম শব্দ হয় এবং ঘাড় বা উদরের মধ্যে গ্রস্থি বৃদ্ধি হয়, দেহ অস্থিচর্মসার হয় তখন ক্যাল্কে. ফস তাদের জন্য উপযুক্ত। ক্যাল্কে.ফস ও সাইলিসিয়া ঔষধদ্বয় স্ক্রুফুলা দোষদুষ্ট। উভয় ঔষধেই শিশুর বৃহৎ সমস্তক, সমÍকের অস্থির হাড়গুলি বিযুক্ত। খিটখিটে মেজাজ। মেরুদন্ডের অস্থি বক্রভাবাপন্ন বা বক্র(থেরিডি)। সাইলিসিয়ার অতিরিক্ত দুর্গন্ধময় পদঘর্ম ক্যাল্কে.ফসে নেই। এমনকি কোষ্টবদ্ধ লক্ষনে সাইলিসিয়ার মত মল খানিকটা বের হয়ে পুনরায় উদরমধ্যে ঢুকে যাওয়া লক্ষণটিও ক্যাল্কে.ফসে নেই। ক্যাল্কে. ফস ও সাইলিসিয়া দুটি ঔষধই মস্তকে ঘাম আছে তবে সাইলিসিয়ার মাথায় অতিরিক্ত ঘাম আর পদতলে দুর্গন্ধময় ঘাম এবং মাথাটিও খুব বড়।
১০। শিশুদের ক্রিমিজনিত উদরশুলে সিনা তারপর ক্যাল্কে.ফস ব্যবহার করুন। শিশুর মল পিচ্ছিল, চটচটে এবং দুর্গন্ধময় এমনকি ক্রিমি লক্ষণটিও প্রবলভাবে বর্তমান থাকে ক্যাল্কে.ফসে। নেট্রাম ফসেও ক্রিমি লক্ষণ, দাঁত কটমট করা এবং অগøগন্ধ আছে। দাঁত কটমট করা লক্ষণটি পেলেই আমরা সিনার কথা ভাবি। ক্যাল্কে. ফস ও সিনা দুটি ঔষধই শিশুর মেজাজ বড়ই খিটখিটে কিন্তু তফাৎ হল ক্যাল্কে. ফস গোস্ত ও লবনপ্রিয় আর সিনা মিষ্টিপ্রিয়। ক্যাল্কে. ফস ও নেট্রাম ফস দুটি ঔষধই বেশ ভোজন করে অথচ শুকিয়ে যায় আবার লবনপ্রিয় কিন্তু নেট্রাম ফস গরমকাতর বলে সর্বদা ঠান্ডা খাদ্য পছন্দ করে আর ক্যাল্কে ফস শীতকাতর তাই ঠান্ডা খাবার পছন্দ করে না। নেট্রামের রোগি সর্বদা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে আর ক্যাল্কে. ফস-এ উদরাময় বেশি।
১১। বর্ধনশীল শিশুর যে কোন গলার গ্লান্ডের রোগ, টনসিল বৃদ্ধি, গলায় প্রচুর শ্লেষ্মা। অশ্রæপাত। নাসিকার পুরাতন সর্দি। নাকে পলিপাস। শীতলতা। নাক দিয়ে রক্তপাত। দূর্বল স্মৃতিশক্তি। জড়বুদ্ধি। অলস। যক্ষারোগে গয়ারের সঙ্গে রক্ত উঠা। বুকে পুরাতন সর্দি এবং তৎকারণে শ^াসপ্রশ^াসে কষ্ট। স্বরভঙ্গ ও শুষ্ক খকখকে কাশি দিবারাত্র চলতে থাকে।
১২। স্বল্প রক্ত, রঙ কালো, চুল কালো, চোখের মনি কালো, দেহে চর্বি জমা না হয়ে বরং রোগা পাতলা গড়ন, স্নায়ুদুর্বল বিশিষ্ট যুবক-যুবতীদের জন্য ক্যাল্কে.ফস চমৎকার ঔষধ। যে সকল যুবক বা যুবতী প্রথম যৌবনে দ্রæত বেড়ে ওঠে, পনের ষোল বছর বয়সেই বেশ লম্বা ও ছিপছিপে হয়ে ওঠে, অনেকে আবার একটু কোলকুঁজো প্রকৃতির হয়- তারা বিশেষভাবে এই ঔষধটির অধিকারভুক্ত।
১৩। যে সকল কুমারী কন্যারা বয়সের চেয়ে একটু বেশি বৃদ্ধি পায়, পাতলা ছিপছিপে শরীর, পড়াশুনায় মন নেই, মাথাব্যাথা, অস্থিগুলিতে কনকনানি বেদনা, ঋতুকষ্ট, মুখে ব্রণ বা উদ্ভেদ, সাদাস্রাব, কখনো উদরাময় আবার কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, একটু ঠান্ডা লাগলেই টনসিল বৃদ্ধি, অম্ল ও অজীর্ণদোষ তৎসহ পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ুসঞ্চার হয় কিন্তু কিছু আহার করলেই উপশম বা আরাম পায়, গুহ্যদ্বারে যন্ত্রণা বা যন্ত্রণাপূর্ণ অর্শরোগে কাতর- তাদের পক্ষে ক্যাল্কে.ফস অমৃৎতুল্য।
১৪। যতক্ষন রোগী অন্যমনস্ক থাকে ততক্ষণ সে ভালই থাকে কিন্তু রোগের কথা ভাবলেই তার সকল যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়(হেলোনি, এ-অক্সা)। সকল রোগযন্ত্রণা শীতলতায় বৃদ্ধি পায়। অনিচ্ছাকৃত দীর্ঘশ্বাস ফেলে(ইগ্নে)। শোক ও প্রেমে হতাশা থেকে রোগ সৃষ্টি(অরাম, ইগ্নে, এ-ফস)।
১৫। হাড় বা অস্থির উপর ক্যাল্কে.ফস-এর ক্রিয়া অতুলনীয় এবং সর্বপ্রকার অস্থিরোগে এটি অমোঘ। শরীরস্থ অস্থির পোষণ কার্য যদি ঠিকমত না হয় তাহলে সর্বাগ্রে ইহা ব্যবহার করা উচিৎ। সেই কারনে হাড় ভাঙা জোড়া লাগাতে এটি চমৎকার। অস্থিভঙ্গ জনিত ঔষধের মধ্যে সিম্ফাইটামও অসাধারণ। ১৬। বাতবেদনা, বর্ধনশীল যন্ত্রণার ন্যায় অস্থিতে কনকনানি। শীতকালে শুরু, বসন্তে ভাল থাকে, শরৎকালে আবার ফিরে আসে। দেহে জৈব উত্তাপের অভাব, ঠান্ডা ঘাম ও দেহের সর্বাঙ্গে শীতলতার অনুভূতি।
১৭। ভারি জিনিস তুলতে ও পরিশ্রমে পৃষ্ঠবেদনা। মেরুদণ্ডে ছিন্নকর ও সুচিবিদ্ধকর বেদনা, মেরুদণ্ডের কোমলতা ও কনকনানি। টিবিয়া অস্থিতে টানিয়া ধরার ন্যায় বেদনা, হাঁটু ও দীর্ঘ অস্থিগুলিতে প্রবল কনকনানি। হস্তপদের কম্পনসহ বুক ধড়ফড়ানি। বুকে সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা। বুকের শীর্ণতা, বুক স্পর্শে চাপবোধ।
১৮। আহারের পর উদরশুল বেদনা, নাভীর চারপাশে ব্যথা ও জ¦ালা। ভগন্দর বা অর্শের বহির্বলি হাঁটলে বা সঞ্চালনে যন্ত্রণার বৃদ্ধি, স্পর্শকাতরতা, মলদ্বারে সুঁচফোঁটা বেদনা। জ¦ালা ও হুলবিদ্ধবৎ বেদনাসহ মলদ্বারের ফাটা। মলত্যাগে সরলান্ত্র ও গুহ্যদ্বার দিয়ে রক্তপাত। বক্ষলক্ষণ সহ মলদ্বারের যে কোন পীড়ায় বার্বারিস বা ক্যাল্কে. ফস বিবেচনা করব। বক্ষ লক্ষণ ও অর্শ লক্ষণ পর্যায়ক্রমিক হ্রাসবৃদ্ধিতে ব্যাসিলিনাম ও ক্যাল্কে. ফস।
১৯। ছাত্র-ছাত্রীদের মাথা যন্ত্রণা(নেট-মি, সোরিন), মৃদু প্রকৃতির শিরঃবেদনায় ক্যাল্কে.ফস চমৎকার সাড়া দেয়। কার্বোভেজও অনুরূপ শিরঃশুলে সমান দক্ষ।
২০। পাকস্থলীর পাকরসে ঔষধটি গভীরভাবে ক্রিয়াশীল। নানারকম অজীর্ণ পীড়ায় সবুজবর্ণ পিচ্ছিল বা হলুদবর্ণ দুর্গন্ধময় তরল ভেদ অধঃবায়ুসহ নির্গত হয় এবং মলত্যাগকালে নানারকম পড়পড় ফড়ফড় শব্দও হয়। লক্ষণগুলি লক্ষ করার মত।
২১।দীর্ঘকাল রোগভোগজনিত কারণে দেহস্থ জলীয় পদার্থের নিঃসরণ কিংবা খাদ্যদ্রব্য সম্যকরূপে সমীকৃত না হওয়ার কারণে রক্তে শে^তকণিকার অভাব হলে ক্যাল্কে. ফস শে^তকণিকা তৈরি করে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে। ডা. হিউজেস বলেন- রক্তে শে^তকণিকার আধিক্য বশতঃ রক্তাল্পতায় ক্যাল্কে. ফস সেবনে উপকার হয়।
২২। পরিপাকযন্ত্রের বিকলতাবশতঃ রক্তস্বল্পতায়, দীর্ঘকাল রোগভোগজনিত কারণে রক্তস্বল্পতায়, রমণীদের পুনঃ পনঃ গর্ভসঞ্চারজনিত রক্তস্বল্পতায়, প্রসব পরবর্তী শীর্ণদেহি নারীর রক্তস্বল্পতায় এমনকি অতিরিক্ত দুগ্ধপানজনিত রক্তস্বল্পতায় ক্যাল্কে. ফস অপ্রতিদ্বদ্বী ঔষধ।
২৩। স্ত্রীজননযন্ত্রের জন্য বিশেষ করে যুবতী কন্যা ও বালিকাদের জন্য ক্যাল্কে. ফস অমৃৎতুল্য। এর বালিকাদের ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র প্রকাশ পায়। স্রাব উজ্জ্বল লাল ও প্রচুর পরিমাণে হয়। আবার স্বল্প ঋতু বা ঋতু না হওয়াও ইনার বৈশিষ্ট্য। বয়স্কা রমণীদের দীর্ঘকাল অন্তর স্রাব হলেও এটি অসাধারণ। শীর্ণদেহী রমণীর উপরোক্ত লক্ষণযুক্ত ঋতু বৈচিত্র্যের চিকিৎসায় ক্যাল্কে. ফস দিয়ে হাতেনাতে ফল পাওয়া যায়।
২৪। ঋতুকালীন কটিস্নায়ুশুল, ঋতুর পূর্বে জননাঙ্গে প্রবল সুড়সুড়িভাব এবং তজ্জনিত প্রবল কাম ইচ্ছা জাগ্রত হলে ক্যাল্কে. ফস চিন্তা করতে পারি। যুবতী কন্যাদের ঋতুর সময় মুখমন্ডল আরক্ত হলে, হস্তপদাদি শীতল হলে ক্যাল্কে. ফস নিরাশ করবে না।
২৫। দুর্বল, কৃশ, সর্দিজ ধাতযুক্ত শীর্ণদেহী কন্যার প্রদরস্রাব ও বাধকবেদনায় সর্বাগ্রে ক্যাল্কে. ফস চিন্তা করুন। দিবারাত্রি ডিমের শে^তাংসের ন্যায় স্বচ্ছ পিচ্ছিল স্রাব আর নিম্নাঙ্গেই অধিক তীরবিদ্ধবৎ ছিন্নকর যন্ত্রণা। ক্যাল্কে. ফস- এর স্রাব স্বচ্ছ ও গাঢ় কিন্তু জলবৎ নয় আর ন্যাট্রাম মিউর- এর স্রাব স্বচ্ছ ও জলবৎ।
২৬। ঋতু অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। ঋতু দেখা দিবার দু-তিন দিন আগে থেকেই ভীষণ যন্ত্রণা। মেয়েদের ঋতুকালে মুখমন্ডলে এক প্রকার উদ্ভেদ প্রকাশ পায়। থুজা ও হায়েসিয়ামাস এরপর ব্যাসিলিনাম দিয়ে ক্যাল্কে.ফস দিলে মুখ পরিস্কার হয়ে যাবে।
২৭।মস্তক বেদনার পর টেরাদৃষ্টি। ডান চক্ষুর ছানিতে। পুরো মেরুদÐ বরাবর যন্ত্রণায় বিশেষ করে কম বয়সিদের জন্য ব্যাসিলিনাম দিয়ে ক্যাল্কে.ফস। ক্যাল্কে.কার্ব এর ঠিক বিপরীত অবস্থা ক্যল্কে.ফস।
২৮। অনুপূরক-রুটা, সমগুণ- কার্ব-এনি, ক্যাল্কে.ফ্লোর, ক্যাল্কে.কার্ব, এ-ফ্লোর, কেলি-ফস।
২৯। তরুন রোগের পরবর্তী অবস্থার দূর্বলতায় সোরিনাম, সাইলিসিয়া। আয়োড, সোরিন, স্যানিকি, সালফ-এর আগে ও আর্সেনিক, আয়োড, টিউবার-এর পরে প্রয়োগে ভাল কাজ দেয়।
৩০। ভেজা, ঠান্ডা ও পরিবর্তিত আদ্র বাতাস গায়ে লেগে, পূর্বদিকের বাতাস লেগে, গ্রীষ্মের শুরুতে যখন বরফ গলতে থাকে, মানসিক পরিশ্রমে রোগের বৃদ্ধি। গ্রীষ্মকালে, গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের উপশম।