Bufo Rana (বিউফো রানা)

Bufo Rana (বিউফো রানা)
#পরিচায়ক লক্ষণ:
* বুদ্ধিবৃত্তির খর্বতা, সর্বদা নির্জনতা ভালবাসে, হস্তমৈথুনের অদম্য ইচ্ছা।
* গরমকাতর এবং ক্রোধী, নির্দিষ্ট সময়ে রোগাক্রমন, পদদ্বয়ে ঘাম।
* শীতকাতর হইলেও মাথা ব্যথা এবং মৃগী গরমেই বৃদ্ধি পায়।
* মৃগী রাত্রে বৃদ্ধি, নিদ্রায় বৃদ্ধি, গরমে বৃদ্ধি।
* জ্বালা, ক্যান্সারের স্রাব অত্যন্ত দূর্গন্ধযুক্ত।
* দু-চার গ্রাস খাইলে পেটটি পরিপূর্ণ হয়, চিনির শরবতে অদম্য ইচ্ছা।
# চরিত্রগত লক্ষণ:
১। হস্তমৈথুনের অদম্য ইচ্ছা। হস্তমৈথুনের জন্য নিরালা স্থান খোঁজে।
২। বুদ্ধি বৃত্তির খর্বতা। মনটি একেবারে লজ্জাহীন, নীচতায় ও কাপুরুষতায় পরিপূর্ণ।
৪। সর্বদা নির্জনতা ভালবাসে কিন্তু একা থাকতে ভয় পায় ও দূর্বল চিত্ত, অতিশয় ক্রোধী কিন্তু ক্রোধান্বিত হইলে মুর্ছা দেখা দেয়।
৫। গান বাজনা অসহ্য এবং প্রতিটি সামান্য শব্দেই রোগী যাতনা বোধ করে। অপরিচিত ব্যক্তি এবং জন্তুর প্রতি ভয়।
৬। বিষন্নতা।জড়বুদ্ধিভাবই বেশী।মনটি যেমন সর্বসময়ের জন্য কামচিন্তায় নিমগ্ন, হাত দুইটিও তেমন সর্ব সময়ের জন্য লিঙ্গস্থানে লাগিয়াই থাকে।
৭। মাদক দ্রব্যের আকাঙ্খা। চিনির সরবৎ ও মিষ্ট পানীয় খাইবার জন্য ইহার অদম্য স্পৃহা।
৮। পদদ্বয়ে ঘাম।ঐ ঘামে দূর্গন্ধ না থাকিলেও সামান্য দূর্গন্ধ ইহার প্রায় সকল প্রকার স্বাভাবিক স্রাবেই বর্তমান থাকে।
৯। শীতকাতর। আঘাত লাগলে, আক্রান্ত স্থান পেকে উঠে।জ্বালা, প্রদহান্বিত স্থানটিতে অতিশয় জ্বালা।
১০। সময়ে সময়ে জননেন্দ্রিয় উত্তেজিত অবস্থায় থাকে কিন্তু রোগীর হীনপ্রবৃত্তি থাকে, সর্বদাই তার জননেন্দ্রিয়ে হাত দেবার ঝোঁক থাকে। অনিচ্ছা সত্বেও শুμস্রাব দ্রুত সংঘটিত হয়,সঙ্গমকালে আক্ষেপ।
১১। গরম ঘরে, চুল্লীর কাছে থাকলে, ঘুম ভাঙ্গিলে, সংগীতে, নিদ্রার মধ্যে, অতি সামান্য প্রকারের শব্দে, নির্দিষ্ট সময়ে, প্রতি পূর্ণিমায় ও আমাবশ্যায় বৃদ্ধি।
১২। সড়বানে,ঠান্ডা গৃহে, রক্তস্রাবে, শীতল বাতাসে, গরম পানিতে পা ডুবাইয়া রাখিলে উপশম।
১৩। শীতকাতর হলেও মাথা ব্যথা এবং মৃগী গরমে বৃদ্ধি পায়।
১৪। দুই এক গ্রাস খাইবার পরই পেট ভরিয়া যায়।
১৫। হাতের তালুতে পায়ের তলায় ফোস্কার ন্যায় উদ্ভেদ।
১৬। আক্ষেপকালে সর্বাঙ্গ গরমে সিক্ত হইয়া যায়।
১৭। দুর্গন্ধ ক্ষত, গ্লান্ডের বিবৃদ্ধি, বাগী।
১৮। মৃগী রাত্রে বৃদ্ধি, নিদ্রায় বৃদ্ধি, গরমে বৃদ্ধি।
১৯। স্তনে ক্যান্সারের মত ক্ষত। স্তনদুগ্ধ রক্ত মেশান।
২০। ঋতু স্রাব খুব শীঘ্র শীঘ্র হয়, জলের মত তরল প্রদর স্রাব, ঋতুস্রাব কালে ও সঙ্গমের সময় মৃগীর মত ফিট। ঋতুকালে মৃগীরোগ।ঋতু লুপ্ত।ঋতু শির:পীড়ার সাথে অতি সত্বর । জরায়ু ও যোনিপথে জ্বালা। ঋতুর সময় আক্রমণ বৃদ্ধি পায়।ঋতুকালে যকৃতে সঙ্কোচনবৎ বেদনা।
২১। স্রাব অত্যন্ত দূর্গন্ধ যুক্ত। রক্তময় দূর্গন্ধ প্রদর স্রাব। হরিদ্রাবর্ণ তরল প্রদর স্রাব।
২২। সর্বপ্রকার রোগেই বক্ষের মধ্যে জ্বালা থাকে।
২৩। এই ধাতুর লোক সম্ভবত বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত বাঁচবে না, সম্ভবত চল্লিশ বৎসর বয়সেই ভেঙ্গে পড়বে।
২৪। ২০০ শক্তির নিম্নশক্তি মনোস্তরটি স্পর্শ করিতে পারে না।
২৫। সাইকোটিক দোষের প্রাধান্য হেতু ইহার মনটি যৌনের প্রারম্ভ হইতেই ঐ প্রকার অবস্থা প্রাপ্ত হয় এবং ঐ ভাবটি চলিতে চলিতে যৌবনের শেষে রোগী টিউবারকুলার অবস্থা প্রাপ্ত হইয়া শীর্ণতা ও শুষ্ক জাতীয় ক্ষয় পীড়ায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
২৬। স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ে জ্বালাই সর্বপ্রধান লক্ষণ,ডিম্বকোষে ও জরায়ুতে জ্বালা। কোন বাধক রোগিনীর বাধক দেখা দেবার পূর্বেও ঋতুকালে ডিম্বকোষে ও বস্তি প্রদেশে জ্বালা থাকলে চিকিৎসার পক্ষে কষ্ঠসাধ্য লক্ষণ হবে। জননযন্ত্রে, ডিম্বকোষে জ্বালা ও বিদীর্ণকর ,ছিনড়বকর বেদনা -তা উরু দিয়ে নেমে আসে।
২৭। হস্তমৈথুন, প্রদরস্রাব, স্তনে শক্ত গ্লান্ড, শিরাস্ফীতি, মৃগী, চর্মপীড়া, হাঁপানি, স্ত্রী পীড়া, দুর্গন্ধ ক্ষত, যক্ষা, ভগন্দর, ক্যান্সার, কার্বাংকল, আঙ্গুলহাড়া, কৃমি, খোঁসপাঁচড়া, শোথ, অর্শ, ধজ্বভঙ্গ, স্তনে ক্যান্সার।