Agaricus Mas (অ্যাগারিকাস মস্কাস)

Agaricus Mas (অ্যাগারিকাস মস্কাস):
#নিজস্বকথা:
(১) বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নর্তন, স্পন্দন বা আক্ষেপ।
(২) মেরুদন্ডের স্পর্শকাতরতা।
(৩) আড়া আড়ি ভাবে রোগাক্রমন- বাম উর্ধ্বাঙ্গ ও ডান নিম্নাঙ্গ। (
৪) শরীরে গরম বা ঠান্ডা সূচিবিদ্ধবৎ বা হুল ফোটানোর অনুভূতি।
# চরিত্রগত লক্ষণ:
১। জাগ্রত অবস্থায় অঙ্গ -প্রত্যঙ্গের নর্তন বা আক্ষেপ। এই ঔষধের আগাগোড়া লক্ষণীয় জিনিস -অঙ্গ মোচড়ানি ও কম্পন। পেশীর উৎক্ষেপ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কম্পন ও দেহের সকল অংশে স্পন্দন ও মৃদু কম্পন-এ দুইটি লক্ষণ সর্বদাই বর্তমান থাকে। পেশীর কম্পন এত বিস্তৃত হয় যে তা পূর্ণ বিকশিত কোরিয়া রোগে পর্যবসিত হয়। এ নর্তন দেহের সব অংশে সব পেশীতে বর্তমান থাকে।
২। মেরুদন্ডের স্পর্শ কাতরতা ও শীতকাতরতা। সমগ্র মেরুদন্ডটি যন্ত্রণাপূর্ণ ও স্পর্শাসহিষ্ণু, সামান্য নড়াচড়া করিলে বা চিৎ হইয়া শুইলে ঐ যন্ত্রণা একেবারে অসহ্য হইয়া উঠে।
৩। আড়াআড়িভাবে রোগ আক্রমন-বাম উর্দ্ধাঙ্গ, দক্ষিণ নিমড়বাঙ্গ আক্রান্ত হয়
৪। দেহে গরম বা ঠান্ডা সূচিবিদ্ধবৎ অনুভুতি
৫। সারা দেহে রোগী সড়সড়ানি ও পিঁপড়ে হাঁটার মত অনুভব করে। এ শুধু চর্মেই সীমাবদ্ধ থাকে না, যেন মাংসের মধ্যে ও বর্তমান থাকে।অনুভ‚তিটি যেন পিঁপড়ে চলার মত, সর্বাঙ্গে চর্মের উপর চুলকানি, চুলকালে এ স্থান পরিবর্তন করে ; এ হতে কোন অঙ্গই বাদ যায় না।
৬। চর্মের উপর বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিতে যেখানে সেখানে এক অদ্ভুত অনুভ‚তি, ঠান্ডার অনুভ‚তি- ঠান্ডা সূঁচফোটানবৎ, গরম সূঁচফোটানবৎ অনুভ‚তি। যেখানে রক্ত সঞ্চালন দূর্বল সেখানে, -কাণের
চারদিকে, নাকে, হাতের উল্টো পিঠে ও পায়ের আঙ্গুলে হুলফোটানবৎ ও জ্বালাকর যাতনা; তুষারাহতের মত চুলকানি ও জ্বালা সংযুক্ত লাল লাল দাগ।
৭। রোগী ঠান্ডায় খুব স্নায়ুবিক ও স্পর্শকাতর হয় । রোগী আগুনের কাছে থাকতে চায়।
৮। মানসিক পরিশ্রমে চুলকানি, কাঁটা ফোটার মত অনুভ‚তি, কনকনানি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয় ও শারীরিক পরিশ্রমে তার উপশম হয়। এগারিকাসের সব লক্ষণ, বিশেষত মেরুমজ্জা লক্ষণগুলি স্ত্রীসঙ্গমের পর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। এজন্য স্নায়ুবিক প্রকৃতি বিবাহিত স্ত্রীলোকগণের স্বামী সহবাসের পর আবির্ভূত নানাবিধ লক্ষণ দেখা দেয়।
৯। হাইড্রোজেনয়েড ধাতু অর্থাৎ ভিজা ঠান্ডায় যে সকল রোগীর রোগ লক্ষণ বৃদ্ধি পায়, তাহাদের উপরেই ইহা সমধিক ক্রিয়া করিতে সক্ষম।ইহার লক্ষণ সমূহের সূচনাটি মেরুমজ্জা ও মস্তিষ্কের উত্তেজনা লইয়াই আবির্ভূত হয় এবং পরিশেষে পুরাতন স্নায়ুবিক রোগে পর্যবসিত হয়।
১০। রোগীর মনে ১০/১২ বৎসর বয়স হইতেই একটি কামভাব জাগ্রত হয় এবং হস্তমৈথুনের কু
অভ্যাসটি চলিতে চলিতে অনৈচ্ছিক কম্পন পেশীসমূহে আবির্ভূত হয়।
১১। পাতলা কেশ বিশিষ্ট, চর্ম এবং মাংশ পেশী লোহিত, দূর্বল, বৃদ্ধ, চর্ম ও পেশী শিথিল এবং স্থূলকায় ব্যক্তি, বুদ্ধিবৃত্তির খর্বতা, পান্ডুর, যক্ষা রোগের উপক্রম বিশিষ্ট ব্যক্তি, ক্ষীণকায়া, অত্যন্ত স্নায়ুবিক, অস্থির প্রকৃতির স্ত্রীলোক।
১২। প্রত্যেক নড়নে চড়নে শরীরে বেদনা
১৩। শরীরের নানা স্থান ফোলে, লাল বর্ণ হয় অথবা ফাটে ও গরম হয়, চুলকায় ও জ্বালা করে
১৪। অত্যন্ত অস্থির চিত্ত। কোন কথা স্মরণ করিতে পারে না। গান করে, কথা বলে কিন্তু উত্তর দেয় না। কাজ করতে অনিচ্ছা। উদাসীন। মনটি অপরিস্ফুট- বোকাটে ও মেদাটে। মনটিতে আনন্দ ও উদাসীনতা এই উভয় ভাব প্রায়ই দেখা যায়। বুদ্ধিবৃত্তির খর্বতা। ভোরে নতুন কিছুই সে গ্রহণ করতে পারে না, কথা বলে না, বোকার মত ও ক্লান্ত থাকে, কিন্তু সন্ধ্যা আসলেই সে চা, কফি, মদ সেবনকারীর মত স্ফ‚র্তিযুক্ত হয়, বেশ গরম হয়ে ওঠে, উত্তেজিত হয়, কবিত্বযুক্ত ও ভবিষ্যদ্বক্তার ভাব বিশিষ্ট হয়; গভীর রাত্রি পর্যন্ত বসে থাকতে চায় ও ক্রীড়ামত্ত থাকতে ইচ্ছা করে। অত্যন্ত পরিবর্তনশীলতা, কোপনতা ও অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম বা দীর্ঘকাল পড়াশুনা করার পর অবসাদ ও অন্যান্য উপসর্গসমূহ দেখা দেয়। মনে হয় যেন, মস্তিষ্কটি ধীরে ধীরে বাড়ছে। শিশুদের কথা বলতে ও হাঁটতে দেরী হচ্ছে। এগারিকাসে তা ধীরে ধীরে বর্ধনশীল মনের জন্য হয়। সমগ্র মন ও চৈতন্য পক্ষাঘাতগ্রস্ত মনে হয়, রোগী অলস, নির্বোধ ও সময়ে সময়ে প্রলাপযুক্ত হয়; তার মানসিক বিশৃঙ্খলা প্রলাপের এতই অনুরুপ হয় যে, তা মত্ততার বিসদৃশ মনে হয় না। মদ থেকে উৎপন্ন প্রলাপের সদৃশ প্রলাপ। সে আবার নির্বুদ্ধি হয়ে পড়ে, মূর্খ ও নির্বোধের মত কথা বলে, অসময়ে গান করে ও শিস দেয়, কবিতা রচনা করে, ভবিষ্যদ্বানী করে ; বা তার একটি বিপরীত পরিস্থিতি দেখা দেয় – সে তার চারদিকের ব্যাপার সম্বন্ধে উদাসীন হয়ে পড়ে। যে লোক ধীর ও শান্ত ছিল, সেই স্বেচ্ছাচারী, একগুঁয়ে ও আত্মম্ভরী হয়ে উঠে। ক্রধান্বিত হইয়া নানা প্রকার অঙ্গভঙ্গি করে, হাত পা ছুঁড়িতে থাকে, জিনিসপত্র ভাঙ্গিতে থাকে এবং কাহারও কথায় শান্ত হয় না।
১৫। দেহের পেশীসমূহেরসঞ্চালনে সামঞ্জস্য বিধান কষ্টকর হয় । মস্তিষ্ক ও মেরুমজ্জার অসামঞ্জস্য। হাতের ও হাতের আঙ্গুলগুলির বিশৃঙ্খল গতি। জিনিস ধরতে গিয়ে তা ফেলে দেয়। রোগী আগুনের কাছে থাকতে চায়।মানসিক লক্ষণগুলি সকালের দিকে বাড়ে ও সন্ধ্যার দিকে হ্রাস পায়।
১৬। ঘুমের সময় সের্বপ্রকার উৎক্ষেপ ও পেশী সঙ্কোচন থেকে যায়।খোলা বাতাসে বেড়াবার সময় মাথা ঘোরে। সব সময়েই শীত করে। কোন কাজ করতে গেলে ঠিক বিপরীতটিই করে বসে। শিরোঘূর্ণন ও মনের গোলযোগ মিশে থাকে।
১৭। মেরুদন্ডের লক্ষণসমূহ কম্পন ও উৎক্ষেপের সাথে সম্বন্ধযুক্ত থাকাই এ ঔষধের শির:পীড়ার
বিশিষ্টতা। মেরুদন্ড রোগগ্রস্তের শির:পীড়া । যেন তীক্ষ বরফখন্ড কিংবা যেন সূঁচ মাথায় ফুটছে- এরুপ বেদনা। মাথায় পেরেক পোতার মত যন্ত্রণা। মাথায় শীতলকাবোধ। মস্তক ত্বকে বহুপ্রকার অদ্ভুত অনুভ‚তি থাকে-চুলকাবার বা আঁচড়াবার পর পর বরফের মত শীতলতা বোধ হয়। ঐ অনুভ‚তি শরীরের সর্বত্রই প্রভাবিত হয়। চুলকানি থাকলেও কোনপ্রকার উদ্ভেদ দেখা দেয় না, রোগী না চুলকে থাকতে পারে না ও চুলকানর পর ঐ স্থানে বরফের মত শীতলতা যেন ঐ স্থানে বায়ু বইছে এইরপ অনুভ‚ত হয়। কোরিয়া রোগগ্রস্তের ন্যায় মাথাটি অবিরত নাড়তে থাকে।
১৮। কষ্টদায়ক উদ্গার, বাতকর্ম অত্যন্ত পেট ফাঁপা, পেট ডাকা, পেটের মধ্যে গড়গড় করা, দূর্গন্ধ অধ:বায়ু, পেটের মধ্যে হুড়মুড় করে শব্দ। সবকিছুই গেঁজে ওঠে, উচ্চ শব্দে গড়গড় ও করকর করে, খামচানর মত ব্যথা হয়। অতি দূর্গন্ধ নি:স্রাব।
১৯। প্রাত:কালিন উদরাময়; সরলান্ত্রে জ্বালাসহ প্রচুর অধ:বায়ু, নরম মল, অত্যন্ত কোঁথানি; প্রবল মলবেগ, মলত্যাগের প‚র্বে, সময়ে ও পরে অনৈচ্ছিক কোঁথানি। মনে হয় যে মলত্যাগের পরেও সরলান্ত্রটি ফেটে যাবে। আকস্মিক তীব্র যন্ত্রণা, আদৌ দেরী করতে পারে না, কষ্টকর ফেটে যাওয়ার মত অনুভূতি। মলত্যাগের পূর্বে উদরে কর্তনবৎ ও খামচানবৎ বেদনা,প্রবল কোঁথানি, সরলান্ত্রে যন্ত্রনাদায়ক যন্ত্রণাদায়ক বেগ। মলত্যাগের সময় শুলবৎ বেদনা ও অধ:বায়ু নি:সরণ ও মলদ্বারের জ্বালা, ক্ষততাবোধ, চিড়িকমারা ও কেটে ফেলার মত ব্যথা, তৎসহ ঘাম ও মলত্যাগের পরেও দীর্ঘকালস্থায়ী কোমর হতে পা পর্যন্ত বেদনা। মলত্যাগের পর শির:পীড়ার উপশম, গুহ্যদ্বারে দংশনবৎ ব্যথা, কুক্ষিদেশে কামড়ানি, উদরস্ফীতি, উদর ও নাভির চারদিকে ভারবোধ,বক্ষে যাতনা। রোগীর কোষ্ঠবদ্ধতা ও সরলান্ত্রের পক্ষাঘাতের মত অনুভ‚তি থাকতে পারে; মল কঠিন,যেন মলত্যাগের উপরই জীবন মরণ নির্ভর করছেÑএরুপ কোঁথানি, কিন্তু তথাপি মল বের হয় না। মলত্যাগের পর শির:পীড়ার শান্তি হয়।
২০। মূত্রের প্রবৃত্তি প্রচুর। প্রস্রাবের উপর পেট্রোলিয়াম/তেলের ন্যায় পদার্থ ভাসিয়া বেড়ায়। মূত্রনালীতে সূঁচ বেধার মত যন্ত্রণা। আকস্মিক এবং ভীষণ প্রস্রাবের উদ্বেগ।মূত্র গড়িয়ে পড়ে। এ ঔষধের একটি বিশেষ লক্ষণ এই যে, মূত্রত্যাগকালে মূত্র ঠান্ডা বোধ হয়; মূত্র যখন গড়িয়ে পড়তে থাকে তখন সে মূত্রনলীর ভেতর ঠান্ডা মূত্রের ফোঁটাগুলি গুণতে পারে। মূত্র ক্ষীণ ধারায় বা ফোঁটা ফোঁটা করে পড়ে, ধারার বেগ বাড়াতে চাপ দিতে হয়। প্রস্রাব জলের মত পরিস্কার, লেবুর বর্ণ, উজ্জ্বল হলদে, গাঢ় হলদে ও গরম; লাল, পশমের শুয়োর মত বা গুড়ো গুড়ো তলানিবিষ্টি, পূর্বাহ্নে জলের মত, অপরাহ্নে লাল বা তলানি বিশিষ্ট, দুধ বা গোলের মত উপরিভাগে ইরিডিয়ামের মত বহুবর্ণ, মূত্রে ফসফেট, দুধের মত মূত্র, বাত, গেঁটে বাতও হিষ্টিরিয়াগ্রস্থ ব্যক্তির স্বপ্লমূত্র। মূত্রের পরিমান কম হয় ও এক প্রকার শির:পীড়া দেখা দেয়।
২১। সাইকোটিক ও টিউবারকুলার দোষদুষ্ট ব্যক্তিদের স্নায়ুকেন্দ্রের উপরেই ইহার ক্রিয়া সমধিক
কেন্দীভূত হইতে দেখা যায়। প্রথম প্রথম নিদ্রাবস্থায় স্নায়ুবিক যাবতীয় লক্ষণ কম থাকে, কিন্তু রোগ ধীরে ধীরে যতই বর্ধিতায়তন হইয়া থাকে, ততই অন্যান্য আরও কতকগুলি লক্ষণ যথাÑ মাথাঘোরা, অত্যধিক ক্ষুধা ইত্যাদি আসিয়া দেখা দেয় বরং রোগীকে শেষ পর্যন্ত রক্তশূণ্য ও জীর্নশীর্ণ করিয়া ক্ষয়ের পথে লইয়া যায় । এই অবস্থায় এই ঔষধের পরিপূরক হিসাবে টিউবারকুলিনাম বভিনাম বিশেষ ফলদায়ক উহা প্রয়োগে ঐ শীর্নতাটি বহুক্ষেত্রেই আরোগ্য হইয়া যায়। এই প্রকার রোগীর রোগ লক্ষণের সূচনা অবস্থাতেই যদি সময় মত এগারিকাস প্রয়োগ করিতে পারা যায়, তাহা হইলে রাজযক্ষার আর সম্ভাবনা থাকে না। সাইকোটিক দোষটিই এই সকল অবস্থার জন্য প্রধানত: দায়ী এবং এই সাইকোটিক দোষটি মাতৃদেহে বিশেষভাবে বর্তমান থাকিলে কন্যা শরীরে তাহা প্রতিফলিত হয় এবং পিতৃদেহের দোষটি পুত্রেই বিশেষভাবে প্রবাহিত হইতে দেখা যায়। যাহা হউক, এগারিকাসের ক্ষেত্রটি প্রাপ্ত দোষ আকারেই সন্তানে বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়। সুতরাং যে সকল শিশুর জীবন প্রভাতে পূর্বোক্ত প্রকার অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কম্পণ যাহাকে সাধারণত: কোরিয়া বা তান্ডব রোগ বলা হয়, তাহা দেখা দিলে বুঝিতে হইবে মাতাপিতার দেহে সাইকোটিক দোষটি অতি অবশ্যই বর্তমান এবং এইরুপ অবস্থায় এগারিকাস প্রয়োগে শৈশবাবস্থাতেই দেহটি নির্মলভাবে রোগমুক্ত করা সম্ভব হয়।
২২। বেদনা, কম্পন ও স্পন্দন নিদ্রিতাবস্থায় হ্রাস এবং নিদ্রাভঙ্গে পুনরায় বৃদ্ধি।
২৩। রুটির প্রতি বিতৃষ্ণা কিন্তু মদ ও মাংশে অভিরুচি।
২৪। অত্যন্ত পিপাসা
২৫। নাসাপথে রক্তস্রাব, নাসিকা থেকে প্রচুর দূর্গন্ধ স্রাব।
২৬। বুকের উপদ্রবে এগারিকাস একটি বড় ঔষধ।বুকের সর্দিজ অবস্থা, তৎসহ নিশাঘর্ম ও স্নায়ুবিক লক্ষণের ইতিহাস। থেকে থেকে কাশির তীব্র আক্রমণ, হাঁচলে তার পরিসমাপ্তি। আক্ষেপিক কাশি, তৎসহ সন্ধ্যার দিকে ঘাম দ্রæতনাড়ী, পূঁজের মত গয়ের, প্রাত:কালে ও চিৎ হয়ে শুলে বাড়ে।
২৭। সর্বগ্রাসী ক্ষুধা-পাকস্থলীতে ক্ষুধা লাগার মত খামচান ব্যথা, কিন্তু খেতে ইচ্ছা থাকে না।
২৮। জিহ্বা কাঁপে,স্পন্দিত হয়,ঝাঁকি দিয়ে উঠে ও তাতে কথা বিশৃঙ্খলা হয়,রোগী জোর দিয়ে উচ্চারণ করে। জিহ্বা শুষ্ক ও কম্পমান।সে কষ্টে কথা বলতে শেখে।জিহ্বার গতিরোধক রজ্জুতে পচা ক্ষত জন্মে, তাতে ক্ষয়ে যায়। জিহ্বায় ক্ষতবৎ বেদনা। জিব সাদা।
২৯। মুখের তালুতে পারদজনিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাড়িক্ষত।স্তন্যপায়ী শিশুদের মুখক্ষতের মত ছোট ছোট সাদা ফোস্কা। পুরানো গলক্ষত। তালুমুল গ্রন্থির কঠিনতা।
৩০। অত্যন্ত দূর্গন্ধযুক্ত বায়ু এবং আহারের প্রায় তিন ঘন্টা পর পেটে যন্ত্রণানুভব -ইহার প্রদর্শক লক্ষণ।
৩১। নির্দিষ্টকালের পূর্বে অত্যধিক পরিমাণ ঋতুস্রাব, বাধক বেদনার সময় মূর্ছার ভাব;নিচের দিকে ঠেলে আসছে এরকম দূর্দান্ত যন্ত্রনা, বিশেষ করে রজোনিবৃত্তির পর এবং গাঢ় রক্ত মিশ্রিত প্রদর স্রাব ইহার লক্ষণ। ঋতুকালে দন্তবেদনা, শির:পীড়া। ঋতুকালে সমস্ত সাধারণ লক্ষণের বৃদ্ধি কিন্তু ঋতুর আগে বা পরে তত অধিক নয় । ঋতু বন্ধ হবার ঠিক পরেই হৃৎলক্ষণের বৃদ্ধি ও জরায়ুভ্রংশ।
৩২।অত্যন্ত প্রচুর, কালচে, রক্তাক্ত, হাজাকর, জননাঙ্গে ক্ষত উৎপাদনকারী প্রদরস্রাব। এত ক্ষত ও প্রদাহিত যে, রোগীণি হাঁটতে পারে না।
৩৩। চোখের উৎক্ষেপ ও স্পন্দন। রোগী যখন তোমার দিকে চাইবে তখন দেখবে যে, তার চক্ষুদ্বয় ঘড়ির দোলকের মত নড়ছে, তারা একবার পিছনে ও একবার সামনের দিকে আসছে ও রোগী তোমার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে চেষ্টা করলেও চোখ দুইটি বিকল্পিত হচ্ছে।এভাব কেবলমাত্র ঘুমের সময় থেমে থাকে, সমস্ত গতিই নিদ্রাকালে থেমে যায়।চোখের সামনের আলোটি দপ্দপ্ করে, তা পড়তে কষ্ট হয়। দৃষ্ট বস্তু যেখানে আছে বোধ হয়, বাস্তবিক সেখানে থাকে না। চোখের সামনে কাল কাল মাছির মত দেখে, কাল কাল বিন্দু দেখে, একটি বস্তু দুইটি দেখে,চোখে মাছির মত উড়ে যেতে দেখে।চোখের পৈশিক দূর্বলতা। চোখের সামনে কুয়াশা বা মাকড়সার জালের মত দেখে,চোখ আক্ষেপিক ভাবে ঝাঁকি দিয়ে ওঠে, নেচে ওঠে। চোখের উৎক্ষেপ ও স্পন্দন-একটি অতি পরিস্ফুট লক্ষণ; তৎসহ চেখের কোরিয়া রোগীর মত সঞ্চালন ও চোখের বর্ণ ও চোখের আকৃতি সম্বন্ধে বিভ্রান্তি থাকে।
৩৪।পুরুষদের সঙ্গমের পর লক্ষণগুলির বৃদ্ধি হয়, ঠিক ঐরুপ স্ত্রীলোকদের ও দেখা দেয়। স্ত্রীলোকদের লক্ষণÑ লিঙ্গের উত্তেজনা, ব্যভিচার প্রভৃতির পর মূর্চ্ছা ও পুরুষদের ক্ষেত্রে তা দূর্বলতা। কম্পন, পেশী-উৎক্ষেপন বা এগারিকাসের অন্য যে কোন লক্ষণ সঙ্গমের পর বেড়ে যেতে পারে, কারণ জনন যন্ত্র সংক্রান্ত কাজগুলি, মেরুমজ্জার সাথে সম্বন্ধযুক্ত। যারা মেরুদন্ডের রোগগ্রস্থ তাদের এ কাজের পর নানা উপসর্গ দেখা দেয়। পুরুষদের সঙ্গমের সময় যখন শুক্র নির্গত হয়, তখন তা উত্তপ্ত বা হাজাকর হওয়ায়, মূত্রনলীতে জ্বালা উপস্থিত হয়। অতএব তা কেবলমাত্র পুরষদের লক্ষণ। রেত:পাতকালে প্রষ্টেটগ্রন্থিতে জ্বালা। সঙ্গমের আগে ও সময়ে ভয়ানক কামোত্তেজনা, কিন্তু রেত: নির্গমনকালে উত্তেজনার অভাব ও ধীর আনন্দহীন নির্গমন। মেরুদন্ডের দূর্বলতা বিশিষ্ট ও স্নায়ুবিক ব্যক্তিগণের যাদের সর্বাঙ্গে সড়সড়ানি ও পিঁপড়ে হাঁটার মত অনুভ‚তি থাকে,Ñতাদের এরুপ ঘটতে দেখা যায়। লিঙ্গ শিথিল ও সঙ্কুচিত, অন্ডকোষদ্বয় অত্যন্ত যন্ত্রণার সাথে আকৃষ্ট।পুরান লালামেহ স্রাবে মূত্রনলীতে ক্রমাগত চুলকানি ও সড়সড়ানি থাকে স্রাবের শেষ বিন্দুতে থেকে যায় ও বহুক্ষণ ধরে স্রাব নির্গত হয়।
৩৫। ঠান্ডায়, বর্ষাকালে, খোলাবাতাসে, বেড়ালে, আহারান্তে, মানসিক পরিশ্রমে, এলকোহল পানে, চাপে, স্পর্শে, ঋতুকালে, বামপার্শ্বে শয়নে, যৌন সংগমের পর, লাম্পট্য দোষ জনিত, ভোরে- বৃদ্ধি। ধীর সঞ্চালনে, নিদ্রাবস্থায়, উত্তাপে, সন্ধ্যায় -উপশম।
৩৬। শীতকালে ও বর্ষাকালে পায়ে হাজা।
৩৭। কোন প্রকার চর্ম পীড়ায় উদ্ভেদ নির্গমন বন্ধ হইয়া মৃগী রোগ
৩৮। অতিরিক্ত পরিশ্রম/শুক্রক্ষয় নিবন্ধন স্পাইন্যাল ইরিটেশন
৩৯। চর্ম বরফ শৈত্যে আক্রান্ত হলে যেমন হয় সেইরুপ জ্বালা, চুলকানি রক্তবর্ণ এবং স্ফীতি।
৪০। হাইতোলার আতিশয্য। ঘুম এলে চমকে ঊঠে শরীর স্পন্দিত হতে থাকে এবং বহুবার জেগে উঠে। জীবন্ত স্বপ্ন। দিবাভাগে তন্দ্রা ভাব।
৪১। যে সমস্ত ঔষধে মেরুদন্ডের উপর ক্রিয়াধিক্য বর্তমান, সেই সকল ঔষধ মাত্রেরই মেজাজ প্রাত:কালে খারাপ থাকে ও সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে উহার উন্নতি হইতে থাকে।
৪২। ওলাউঠা, জ্বর বিকার, শ্বাসযন্ত্রের পীড়া, নাসিকার পীড়া, ফুস্কুড়ি ব্রণ, চক্ষুর পীড়া, উদরাময়, তান্ডব রোগ, গর্ভাবস্থায় পক্ষাঘাত, একজিমা, স্নায়ুবিক দূর্বলতা, স্ত্রীরোগ, হাজা, চুলকানি।
৪৩। বর্জনীয় খাবার: ঠান্ডা পানীয়, উগ্র মদ *গ্রহণ: দুধ
৪৪। সম্পর্ক: = ক্যাল্কে, পালস, রাস ট, ভাইনাম, মদ, পরে- বেল, ক্যাল্কে, কুপ্রাম, মার্ক, ওপি, পালস, রাস, সাইলি।