Arnica Mont (আর্নিকা মন্ট): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

আর্নিকা মন্ট (Arnica Mont)
DHMS (1st year).
♣ সমনামঃ ওলফ বেন (বাঘ মারার বিষ), লিউপার্ডস বেন, পর্বতের তামাক।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক।
♣ সাইডঃ ডানপাশ, বামপাশ, ওপরে বাম নিচে ডানপাশ ।
♣ কাতরতাঃ গরমকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ স্নায়বিক স্ত্রীলোক, বেঁটে (খর্বতা), মোটা রক্তপ্রধান ধাতু, মুখশ্রী সতেজ ও ভীষণ লালচে আভা মুখ, যারা কোনো প্রকার ব্যথা সহ্য করতে পারে না, শরীর ছুঁলেই কষ্ট বোধ হয় – এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপযোগী।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ রক্ত, রক্তনালী, কৈশিক নালী, মাংসপেশি,স্নায়ু। প্রধানতঃ রক্তের ওপর আর্নিকার বিশিষ্ট কার্যকারিতা রয়েছে। শিরামণ্ডলকে আক্রমণ করে এবং তার ফলে রক্ত সঞ্চলনে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। আঘাত লাগা, কোনো স্হান হতে পড়ে যাওয়া, মচকে যাওয়া প্রভৃতি কারণে ব্যথা বা পীড়া হলে, বহুদিন আগে আঘাত লাগার জন্য কোনো পীড়া হলে এবং প্রহার জর্জরিতের ন্যায় শরীর শাখাগুলো বেদনায় আর্নিকা ক্রিয়া করে থাকে।
♣ ফিজিওলজিক্যাল কাজঃ আর্নিকা মন্টেনার ক্রিয়া বিশেষ করে রক্তবহানাড়ি কৈশিকার বিকৃতি। টাইফয়েড জ্বর, আঘাত, অভিঘাত এবং শারীরিক যন্ত্রে পরিলক্ষিত হয়। এর ক্রিয়ায় রক্তবহানাড়ি বিশেষ করে কৈশিকগুলো এমনভাবে আক্রান্ত হয় যে, ছোট ছোট রক্তবহানাড়ি প্রসারিত হয়ে ওঠে এবং তা হতে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা জন্মে।
♣ সারসংক্ষেপঃ বেঁটে, মোটা রক্তপ্রধান ধাতু, মুখশ্রী সতেজ ও লালচে আভা মুখবিশিষ্ট ব্যক্তি; যাদের মাথা/ মুখমন্ডল গরম ও শরীর ঠাণ্ডা। আঘাতজনিত (শারীরিক ও মানসিক) এবং রোগজনিত ব্যথা। দুর্বলতা, ক্লান্তি, থ্যাঁতলে যাওয়ার মতো অনুভূতি। বিছানা শক্ত বলে মনে হয়। সন্ধাকালে, রাতে, সামান্য স্পর্শে, দৈহিক পরিশ্রমে, ঝাঁকুনি লাগায়, আক্রান্ত অঙ্গের সঞ্চলনে, ঘুমের আগে, সময়ে ও পরে বাড়ে। বিশ্রামে, খোলা বাতাসে, ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে ও ব্যথাযুক্ত পাশে শুলে কমে। শারীরিক ও মানসিক স্পর্শকাতরতা, অস্হিরতা, ভয়, সজ্ঞানে প্রলাপ ও আতঙ্ক। স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, নম্রতা, উত্তেজনাপ্রবণতা ও একগুঁয়ে। দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব ও ঝিনঝিনে ব্যথা। হৃদপিণ্ডে চর্বি জমা হেতু হাঁপানির আক্রমণ।
♣ অনুভূতিঃ ১) রক্তদুষ্টিজাত ভয়াবহ রক্তসঞ্চয়যুক্ত শীতবোধ, শরীর ঠাণ্ডা ও থ্যাঁৎলানো মতো সে সাথে পিপাসা, বিশেষ করে পাকস্হলীর অগ্রভাগে বেশি অনুভব হয় ।
২) পোকা হাঁটার মতো অনুভূতি, অভ্যন্তরীণ, অস্হিগুলোতে, গ্রন্হিগুলোতে, পূর্ণতাবোধ: অভ্যন্তরীণভাবে, শয্যা কঠিন মনে হওয়ার অনুভূতি, উত্তাপের ঝলকাবোধ।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) গাউট/সন্ধিবাতজ অবস্হায় স্পর্শের ভয়।
২) টাইফাস জ্বরের ক্ষেত্রে দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস, এমতাবস্হায় সে বলে “আমার কিছুই হয় নি “।
♣ < বৃদ্ধিঃ প্রাতে, সন্ধাকালে, রাতে, মাঝরাতের আগে, সামান্য স্পর্শে (সারা শরীর), খোলা বাতাসে, শীতল পানিতে গোসলে, বাম পাশে শয়নে, নড়াচড়ায়, দেহ সঞ্চলনে, আঘাতে, শ্বাস-প্রশ্বাসে, কাশিতে, জলোহাওয়ায়, মদপানে, ঠাণ্ডায়, দৈহিক পরিশ্রমে, ঝাঁকুনি লাগায়, আক্রান্ত অঙ্গের সঞ্চলনে, জাগরণে, ঘর্ষণে, দৌড়ালে, ঘুমের আগে, সময়ে ও পরে, কোনো কিছু স্পর্শ করলে, হাঁটলে ।
> হ্রাসঃ সন্ধ্যাকালে, বিশ্রামে, দীর্ঘ সময় এক পাশে শয়নে, মাথা নিচু করে শয়নে, খোলা বাতাসে, ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে, কাপড় খোললে, পাশ পরিবর্তনে, রাতে। একপাশে চেপে শুলে, ব্যথাযুক্ত পাশে শুলে, মর্দনে।
♣ কারণঃ যান্ত্রিক আঘাতের কুফল যদিও ব্যথা কয়েক বছর আগে উপশম হয়েছিল, দুঃখ, ভোঁতা যন্ত্রের সাহায্যে আঘাত, অতিরিক্ত ইন্দিয় অপব্যহার, মানসিক ও শারীরিক আঘাত, ক্রোধ, ভয়। ভারি বোঝা তোলা, পেশি ও কন্ডুরাগুলোতে চাপ লাগার কুফল।।
♣ ইচ্ছাঃ খোলা বাতাসে, ভিনিগার অথবা অম্ল, অ্যালকোহল, ঠাণ্ডাপানীয়।
♣ অনিচ্ছাঃ মাংস, দুধ, ধুমপান, তামাক, খাবার ব্রান্ডি ।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ অ্যাকোন, অ্যামন-কা, আর্স, চায়না, ক্যাম্ফ, কিঙ্কোনা, সিকুটা, কফি, (মাথাব্যথা), ফেরাম, ইগ্নে, ইপি (ঘন ঘন শক্তিকৃত ডোজ প্রয়োগে), সেনেগা ।
♣ এটি ক্রিয়ানাশকঃ অ্যামন-কা, চায়না, সিকুইটা, ফেরাম, ইগ্নে, ইপি, সেনেগা ।
♣ সতর্কীকরণঃ ১) ঘর্ষণজনিত ছাল ওঠে যাওয়া ও কাটা ক্ষতে এবং টিংচার গরম করে একেবারেই লাগানো চলবে না । – ডা. বোরিক ।
২) স্নায়ুমন্ডলীর ওপর তেমন ক্রিয়া নেই, তাই মাথায় আঘাত লাগলে, আর্নিকা তেমন উপকারে আসে না। এক্ষেত্রে নেট্রা-সাল ভালো কাজ করে।
♣ প্রয়োগঃ ১) ফোঁড়ার প্রতিষেধক এবং আরোগ্যকারী হিসেবে আর্নিকাকে আমি অনুমোদন করি।— ডা. সি. এফ. এস. হ্যানিম্যান।
২) সন্ন্যাস রোগে রক্ত শোষণ ক্রিয়ায় উচ্চশক্তি ওপিয়ামের পর ভালো কাজ করে।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা আর্নিকা প্রয়োগ করতে পারবো।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ
১) ভ্রান্ত বিশ্বাস : ভাবে সে ভালোই আছে- A= আর্নি। B= অ্যাপিস, আর্স।
২) ভয় : অপরে তার দিকে আসতে থাকলে A= আর্নি। B= অ্যাম্ব্রা, বেল, কুপ্রা, ইগ্নে, লাইকো, স্ট্র্যামো, থুজা।
৩) বিস্তৃতিপরায়ণ : কথা বলার সময় শব্দগুলো- A= আর্নি, ক্যানা-ই, ফস-অ্যাসি।
৪) উত্তেজনাপ্রবণতা : ডাক্তারকে ফিরিয়ে দেয়, বলে সে অসুস্থ নয়- A= আর্নিকা, ক্যামো। B= অ্যাপিস।
৫) নম্রতা (Mildness) / শান্তভাব ( Gentleness) – A= আর্নি, আর্স, বোরা, ককুল, ন্যাট্র-মি, পালস, রাস, সাইলি।
৬) একগুঁয়ে: বলে তার কিছুই হয় নি- A= আর্নি। B= অ্যাপিস।
৭) কেউ স্পর্শ করুক এরূপ ইচ্ছে করে না (Toudhed, aversion to being) – A= অ্যান্টি-ক্রু, ক্যামো, ক্যালি-কা, ট্যারেন্টু । B= অ্যাকোন, অ্যাগারি, অ্যান্টি-টা, আর্নি, বেল, ব্রায়ো, চায়না, সিনা, কফি, ক্যালি-আই, ল্যাকে, মেডো, সাইলি, থুজা।
৮) অজ্ঞানতা : জ্বরকালে- A= অ্যাপিস, আর্নি, মিউ-অ্যাসি, ন্যাট্র-মি, ওপি।
৯) খুব অসুস্হ অবস্হায় বলে সে ভালো রয়েছে (well, says he is, when very sick)- A= আর্নি। B= অ্যাপিস। C= আর্স, সিন্নাবে, ক্রিয়ো, মার্ক, পালস।
১০) সন্ধাকালে (Evening) বাড়ে- অ্যালু, অ্যাম্ব্রা, অ্যামন-কা, অ্যান্টি-ক্রু, অ্যান্টি-টা, আর্নি, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাপসি, কার্বো-অ্যা, কার্বো-ভে, কার্বো-সাল, কস্টি, ক্যামো, কলচি, সাইক্লে, ইউফ্রে, হেলি,হায়োস, ক্যালি-নাই, লাইকো, ম্যাগ-কা, মিনিয়ে, মার্ক, মেজের, ন্যাট্র-ফ, নাই-অ্যাসি, ফস-অ্যাসি, ফস, পিক্রি-অ্যাসি, প্ল্যাটি, প্লাম্বা, পালস, র্যানান-স্ক্লে রোমেক্স, রুটা, সিপি, সাইলি, সিনাপি-না, স্ট্যানা, স্ট্রনসি, সালফ, সাল-অ্যাসি, ভ্যালের।
১১) রাতে (Night) বাড়ে- A= অ্যাকোন, আর্জ-নাই, আর্নি, আর্স, আর্স-আই, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-আই, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সাল, কার্বো-অ্যানি,
১২) দৈহিক পরিশ্রমে বাড়ে (Exertion, physical, agg.)- A= অ্যালু, আর্নি, আর্স, আর্স-আই, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, ককুল, কোনি ।
১৩) পোকা হাঁটার মতো অনুভুতি (Formication,external parts) A= দেহের বাইরের অংশে- অ্যাকোন, আর্নি,কলসি,নাক্স-ভ, প্লাটি,রাস, সিকেলি, সিপি,স্পাইজে।
১৪) রক্তস্রাব (Haemorrhage)- A= আর্নি, বেল, বোথ্রো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, ক্যান্থা, কার্বো-ভে, চায়না, ক্রোটেল, ইরিজি, ফেরাম, হ্যামামে, ইপি, মেলিলো,মিলি, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, পালস, স্যাবি, সালফ, সাল-অ্যাসি।
১৫) শয্যা কঠিন মনে হওয়ার অনুভূতি (Hard bet sensation of)- A= আর্নি, সাইলি। B= আর্স, ব্যাপটি, ফেরাম, ফেরা-ফস, পাইরো, রাস, রুটা।
১৬) প্রদাহ: রক্তবহা নালিগুলোতে- A= আর্নি, আর্স, ব্যারা-কা, সালফ।
১৭) আঘাত (Iinjuries) চোট লাগা পড়ে যেতে থেঁতলে যাওয়াসহ (including blows falls and bruises) A= আর্নি, কোনি, হিপার, হাইপেরি, পালস, রাস, সাল-অ্যাসি।
১৮.১) আঘাত : রস সঞ্চয়সহ- A= আর্নি, সাল-অ্যাসি। B= ব্যাডি, কোনো, হিপার, ল্যাকে, পালস, সালফ।
১৮.২) আঘাত : কোমলাংশে – A= আর্নি, কোনি। B= পালস, সাল-অ্যাসি।
১৯) ঝাঁকুনি লাগায় বাড়ে ( Jar, stepping, agg.)- A= আর্নি, বেল, ব্রায়ো, সাইকু, কোনি, ল্যাকে, নাই-অ্যাসি, রাস, সাইলি, থেরেডি।
২০) ভারি বোঝা তোলা, পেশি ও কন্ডরাগুলোতে চাপ লাগার কুফল ( Lifting, strainlng of muscles and tendons, from) – A= আর্নি, ক্যাল্ক, কার্বো-অ্যানি, কোনি, গ্র্যাফ, রাস, সাইলি।
২১) আক্রান্ত অঙ্গের সঞ্চালনে বাড়ে- A= ইস্কু, আর্নি, ব্রায়ো, ক্যামো, লিডাম, রাস, স্পাইজে।
২২.১) ব্যথা : হাড়গুলোতে গ্রন্হিগুলোতে – A= আর্নি, বেল, লাইকো, মার্ক, ফস, থুজা।
২২.২) ব্যথা : টেনে ধরার মতো : হাড়ে বাহ্যিকভাবে যন্ত্রণা- অ্যাগ্নাস, আর্জ-মে, আর্নি, বেল, ব্রায়ো, ক্যালাডি, ক্যাল্ক, ডালকা, হায়োস, ইগ্নে, নাক-ভ, ওলিয়ে, প্ল্যাটি, প্লাম্বা, র্যানান-স্ক্লে, স্ট্যাফি।
২২.৩) ব্যথা : চিমটি কাটার মতো ( Tinching) – A= আর্নি, বেল, নাক্স-ভ, সাইলি।
২২.৪) ব্যথা : পেশির ( Muscles) – A= আর্নি, সাইক্লে, নাক্স-ম, রুটা, ভার্বাস।
২৩) কুইনাইন অপপ্রয়োগ ( Quinine, abuse of)-A= আর্নি, ক্যাল্ক, কার্বো-ভে, ফেরাম, ইপি, ন্যাট্র-মি, পালস।
২৪) সংবেদনশীল বাহ্যিকভাবে ( Sensitiveness externally) – A= অ্যাপিস, আর্নি, বেল, ক্যাল্ক, চায়না, চিনি-সাল, ল্যাকে, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ম, ফস, পালস, র্যানান-বা, সাইলি, স্পাইজে, স্ট্যাফি, স্ট্রনসি।
২৫। আঘাত, বিদ্যুতের মতো ( Shocks from injury) – A= অ্যাকোন, আর্নি, হাইপেরি, ল্যাকে, ভিরেট।
২৬.১) ঘুমের আগে বাড়ে ( Sleep, before agg.)- A= আর্নি, আর্স, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, কার্বো-ভে, মার্ক, ফস, পালস, সিপি, সালফ।
২৬.২) ঘুমের সময়ে বাড়ে ( during agg.) A= আর্নি, আর্স, বেল, বোরা, ব্রায়ো, হিপার, হায়োস, মার্ক, ওপি, পালস, সাইলি।
২৬.৩) ঘুমের পর বাড়ে( Sleep after agg.)- A= ইস্কু, ক্যাল্ক, ক্রোট-কা, ল্যাকে, সেলে, স্ট্র্যামো, সালফ।
২৭) শিরাস্ফীতি/ শিরাকুঁচকে থাকা ( Variose veins)- A= আর্নি, কার্বো-ভে, ফ্লু-অ্যাসি, হ্যামামে, লাইকোপা, পালস।