Psorinum (সোরিনাম): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

সোরিনাম (Psorinum)।
DHMS (4th year).
♣ সমনামঃ এ নোসোড অব সোরা, পাঁচড়ার রসগুটি।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক ও টিউবারকুলার।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর ।
♣ উপযোগিতাঃ জৈব উত্তাপের ও প্রতিক্রিয়ার অভাব। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা। হালকা-পাতলা ও চিকন যারা নানা প্রকার চামড়ার রোগে আজীবন ভোগে। সোরিক ধাতুর লোকদের পক্ষে উপযোগী বেশি। ক্রনিক লক্ষণে যখন ওষুধ ভালোভাবে নির্বাচিত হয়েও উপশম দিতে পারে না বা স্হায়ীভাবে সেরে ওঠে না (তরুণ লক্ষণে- সালফার) সেই ক্ষেত্রে ও সালফার নির্নিষ্ট হয়ে প্রয়োগ করলেও উপশম দেয় না সেই ক্ষেত্রে উপযোগী। মারাত্মক তরুণ উপসর্গের জৈব প্রতিক্রিয়ার অভাব।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ চামড়ার ভাঁজ, কান, অন্ত্র, ডান অঙ্গে, মল-মূত্র, শ্বাসতন্ত্র।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ নোংরা ও দুর্গন্ধই সোরিনামের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচায়ক। আরোগ্য সম্পর্কে নৈরাশ্য, বিষয়-অাশয় কাজ-কাম বা ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে এতো হতাশা যে, সব সময় খুঁতখুঁত করে আশ-পাশের আত্মীয়-স্বজনকে জ্বালিয়ে মারে। ক্ষত, চুলকানি ও নানা প্রকার চামড়ার রোগ যোনো আজীবন সাথী। মাথা ধরলেই ক্ষুধা লাগে (ক্ষুধা লাগলে মাথা ধরা নয়)। রোগাক্রমণের আগের দিন অস্বাভাবিক সুস্হবোধ। প্রথম শ্রেণির শীতকাতুরে ; গ্রীষ্মকালেও গরম কাপড় পরে।
♣ সারসংক্ষেপঃ জৈব উত্তাপের ও প্রতিক্রিয়ার অভাব। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা। হালকা-পাতলা ও চিকন যারা নানা প্রকার চামড়ার রোগে আজীবন ভোগে। ধাতুগত বা বংশগত রোগের ইতিহাস। উপযুক্ত ওষুধের ব্যর্থতা, দুর্বলতা ও শীতার্ততা, রোগী অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন থাকে। দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব এবং রাক্ষুসে ক্ষুধা বা ক্ষুধাহীনতা। উত্তাপের ঝলকাবোধ: যেনো গরম পানি ঢালছে এরূপ। রাতে, আবহাওয়া পরিবর্তনে, কফিপানে, ঠান্ডা হতে গরম পড়লে, সাধারণভাবে ঠান্ডায়, ঠান্ডা বাতাসে, বিছনার গরমে, ঝড়-বৃষ্টির সময়ে ও আগে এবং তীব্র সূর্যোত্তাপে বাড়ে। আহারে, প্রচুর ঘাম বেরোলে, গরমে, গরম কাপড় পড়লে ও স্রাব বেরোলে কমে। উৎকন্ঠা, উদ্বেগ, আতঙ্ক, নৈরাশা ও অবসাদের সাথে আত্মহত্যার চিন্তা। ধর্মানুরাগ, অস্হিরতা, স্নায়বিকতা, বিষণ্নতা ও ভয়। উদ্ভেদের সাথে মানসিক অস্হিরতা। গোসলে ভীতি।
♣ অনুভূতিঃ ১) থলখলে ভাবের অনুভূতি । ২) উত্তাপের ঝলকাবোধ: উত্তাপের অনুভূতি।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) । ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) টাইফাস জ্বরের ক্ষেএে হতাশ হয়ে যায়। তবে নাক থেকে রক্তস্রাব হবার পর আরাম বোধ করে, এমন কি তার হতাশা কমে যায়। ২) উদ্ভেদের সাথে মানসিক অস্হিরতা। ৩) মাথা ব্যথার আগে দৃষ্টিতে কালো দেখে। ৪) মাথা ব্যথার আগে দৃষ্টিত সবকিছু নাচতে দেখে।
< বৃদ্ধিঃ রাতে, ঠাণ্ডায়, খোলা বাতাসে, ঠাণ্ডা বাতাসে, কফিপানে (সোরিনামের রোগী যতোদিন কফি পান করে ততোদিন আরোগ্র হয় না), চামড়ার রোগ বসে গেলে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে, শীতকালে, রাতে, বিছানার গরমে, উপবাসে ঝড়বৃষ্টির সময়ে ও অাগে, তীব্র সূর্যোত্তাপে।
> হ্রাসঃ শয়নে, আহারে, প্রচুর ঘাম বেরোলে, গরমে, গরম কাপড় পড়লে, মাথা নিচু করে শুলে, বাহুদ্বয় শরীরের সামনে প্রসারিত করলে, স্রাব বেরোলে।
♣ কারণঃ ক্ষুধা হতে, ঘাম চাপ পড়ে, ঝড়, অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হওয়ার মূহুর্তে, সূর্যালোকে থাকার ফলে, চামড়ার রোগ চাপা পড়া, বংশগত।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ কফি, কার্বো, কোনি, ল্যাকে, নাক্স-ভ, সিপি।
♣ প্রয়োগঃ সোরিনাম বার বার প্রয়োগ করবেন না সোরিনামের ক্রিয়া প্রকাশিত হতে ৯ দিনের মতো সময় লাগে।একমাত্রাতেই দীর্ঘকাল স্হায়ী লক্ষণগুলোকে দূর করতে পারে (এগিডি) ।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ কফি, কার্বো-ভে, কোন, ল্যাকে,নাক্স-ভ, সিপি।
♣ অসহ্যঃ উলের পোশাক ।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা সোরিনাম প্রয়োগ করতে পারবো।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ (ক্যান্ট রেপার্টরী অনুযায়ী)
১) উৎকণ্ঠা (Anxiety)/ দুশ্চিন্তাপূর্ণ (Cares)/ অমঙ্গল সম্বন্ধে পূর্বাভাষযুক্ত (Forebodings)- A= অ্যাকোন, আর্জ-নাই, আর্স, আর্স-আই, অরাম, বেল, বিসমা, ব্রায়ো, ক্যাক্টা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সাল, ক্যাম্ফ, ক্যানা-ই, কার্বো-সাল,। কার্বো-ভে, কস্টি, চায়না, কোনি, আই, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, ক্যালি-সাল, লাইকো, মেজের, ন্যাট্র-আর্স, ন্যাট্র-কা, নাই-অ্যাসি, ফস, সোরিন, পালস, রাস, সিকেলি, সালফ, ভিরেট।
১.২) উৎকণ্ঠা: ভয়ের সাথে- A= অ্যাকোন, অ্যানাকা, আর্স, কস্টি, ইগ্নে, সোরিন, সিকেলি।
২) ভয় (Fear) / আতঙ্ক (Dread)/ বিষম ভয় (Horror)- A= অ্যাকোন, আর্জ-নাই, অরাম, বেল, বোরা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, কার্বো-সাল, সাইকু, গ্র্যাফ, ক্যালি-অার্স, লাইকো, লাইসি, ন্যাট্র-কা, ফস, প্ল্যাটি, সোরিন, সিপি, স্ট্র্যামো ।
৩) বিষন্নতা, মানসিক অবসাদ ( Sadness, mental depression) – A= অ্যাকোন, আর্স, আর্স-আই, অরাম, অরাম-মি, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-আর্স, ক্যাল্ক-সাল, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-সাল, কস্টি, ক্যামো, চায়না, সিমিসি, ক্রোট-কা, ফেরাম, ফেরা-আই, জেলস, গ্র্যাফ, হেলি, হিপ্পো, ইগ্নে, আই, ক্যালি-ব্রো, ক্যালি-ফস, ল্যাক-ক্যান, ল্যাকে, ল্যাপ্টে, লিলি-টি, লাইকো, মার্ক, মেজের, মিউরে, ন্যাট-আর্স, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, ন্যাট্র-সাল, নাই-অ্যাসি, প্ল্যাটি, সোরিন, পালস, রাস, সিপি, স্ট্যানা, সালফ, থুজা, ভিরেট।
৪) রাতে (Night) বাড়ে- A= অ্যাকোন, আর্জ-নাই, আর্নি, আর্স, আর্স-আই, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-আই, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সাল, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-সাল, ক্যামো, চায়না, সিন্নাবে, কফি, কলচি, কোনি, সাইক্লে, ডালকা, ফেরাম, ফেরা-আর্স, ফেরা-আই, গ্র্যাফ, হিপার, হায়োস, আয়োড, ইপি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-বাই, ক্যালি-কা, ক্যালি-আই, ল্যাকে, লিলি-টা, ম্যাগ-কা, ম্যাগ-মি, ম্যাঙ্গে, মার্ক, নাই-অ্যাসি, ফস, প্লাম্বা, সোরিন, পালস, রাস,রোমেক্স, সিপি, সাইলি, স্ট্রনসি, সালফ, ট্যালু, জিঙ্ক ।
৫) গোসলে (Bathing) ভীতি- A= অ্যামন-কা, অ্যান্টি-ক্রু, ক্লিমে, সোরিন, রাস, সিপি, স্পাইজে, সালফ।
৬) আবহাওয়া পরিবর্তনে বাড়ে- A= ডালকা, নাক্স-ম, ফস, সোরিন, র্যানান-বা, রডো, রাস, সাইলি, টিউবার।
৭) ঠাণ্ডা হতে গরম পড়লে বাড়ে- A= ব্রায়ো, ক্যালি-সাল, সোরিন, সালফ, টিউবার।
৮.১) সাধারণভাবে ঠান্ডায় বাড়ে-(Cold in general agg)- A= আর্স, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক-আর্স, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফ্লু, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সিলি, ক্যাপসি, কস্টি, চায়না, ডালকা, গ্র্যাফ, হিপার, হাইপেরি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, লাইকো, ম্যাগ-ফস, মস্কাস, ন্যাট্র-আর্স, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, সোরিন, পাইরো, র্যানান-বা, রাস, রিউমেক্স, স্যাবাডি, সিপি, সাইলি, স্পাইজে, স্ট্রনসি।
৮.২) ঠাণ্ডা বাতাসে বাড়ে- অ্যাগারি, অ্যালি-স্যা, আর্স, অরাম, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাম্ফ, কস্টি, সিমিসি, সিস্টা, ডালকা, হেলি, হিপার, হাইপেরি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা,লাইকো, ম্যাগ-ফস, মস্কাস, নাক্স-ভ, নাক্স-ম, সোরিন, র্যানান-বা, রডো, রাস, রিউমেক্স, স্যাবাডি, সিপি, সাইলি, স্ট্রনসি ।
৮.৩) ঠান্ডা লাগার প্রবণতা- A=অ্যাকোন, অ্যালু, ব্যারা-কা, ব্রায়ো, ক্যালি-ফস, ক্যামো, ডালকা, হিপার, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, লাইকো, মার্ক, ন্যাট্র-আর্স, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, সোরিন, রিউমেক্স, সিপি, সাইলি, টিউবার ।
৯) উত্তাপের ঝলকাবোধ (Flashes of heat) – A=ক্যাল্ক, কস্টি, ককুল, গ্লোন, ল্যাকে, লাইকো, ম্যাঙ্গে, ন্যাট্র-সাল, নাই-অ্যাসি, ফস, সোরিন, সিপি, সালফ, সাল-অ্যাসি, স্যাম্বুল, থুজা, টিউবার ।
১০) উত্তাপের ঝলকাবোধ: যেনো গরম পানি ঢালছে এরূপ- A= আর্স, সোরিন, সিপি। B= পালস, রাস। C= ব্রায়ো, ফস-অ্যাসি, ফস।
১১) জৈব উত্তপের অভাব ( Heat, flashes) -A= অ্যারেনি, আর্স, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-আর্স, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাম্ফ, কার্বো-অ্যানি, কস্টি, সিস্টা, ক্রোটেল-ক্যাস্ক, ডালকা, ফেরাম, গ্র্যাফ, হেলি, হিপার, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-বাই, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, লিডাম, ম্যাগ-ফস, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস-অ্যাসি, সোরিন, পাইরো, রাস, সাইলি।
১২.১) ঘামের পরে উপশম- A= ক্যামো, জেলস, ন্যাট্র-মি, সোরিন, রাস, স্ট্র্যামো।
১২.২) ঘাম চাপা পড়ে- A= বেল, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যামো, সোরিন, পালস, রাস, সিপি, সালফ, সাইলি।
১৩) প্রতিক্রিয়ার অভাব (Reaction lack of)- A= অ্যাম্ব্রা, অ্যামন-কা, ক্যাল্ক, ক্যাপসি, কার্বো-ভে, কস্টি, ক্যামো, কোনি, জেলস, হেলি, হাইড্রো-অ্যাসি, মেডো, ওলিয়ে, ওপি, ফস-অ্যাসি, সোরিন, সালফ।
১৪) ) সংবেদনশীলতা: ব্যথায় (to pain) -A= অরাম, ক্যামো, কফি, কলচি, হেলি, হিপার, ইগ্নে, ল্যাকে, লাইকো, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ওলিয়ে, ফস, সোরিন, পালস, সিপি, সাইলি, স্ট্যাফি।
১৫) ঝড়, অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হওয়ার মূহুর্তে ( Storm, approach of a)- A= সোরিন, রডো।
১৬.১) দুর্বলতা/ক্লান্তি (Weakness enervation)-A= অ্যামন-কা, অ্যান্টি-টা, অ্যাপিস, আর্নি, আর্স, আর্স-আই, ব্র্যাপটি, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক, চায়না, কলচি, ফেরাম, ফেরা-আই, ফেরা-মেট। জেলস, গ্র্যাফ , আই, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ক্যালমি, ল্যাকে, লরো,মার্ক, মার্ক-কর, মার্ক-সায়ান, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ওলিয়ে, ফস-অ্যাসি, ফস,পিক্রি-অ্যাসি, প্লাম্বা, সোরিন, র্যানান-বা, রাস, সিকেলি, সেলে, সিপি, সিল, স্কুই, স্ট্যানা, স্ট্যাফি, সালফ, টিউবার, ভিরেট ।
১৬.২) দুর্বলতা/ ক্লান্তিঃ মানসিক পরিশ্রমে-
A= ক্যাল্ক, কুপ্রা, ইগ্নে, সোরিন, স্যালে।
১৬.৩) দুর্বলতা/ক্লান্তিঃ ঘাম হতে- A= ব্রায়ো, ক্যাম্ফ, কার্বো-অ্যানি, চায়না, ফেরাম, ফেরা-আই, গ্র্যাফ, হায়োস, ইগ্নে, আই, লাইকো, মার্ক, ফস, সোরিন, স্যাম্বু, টিউবার।