Ruta Grave (রুটা গ্র্যাভি)

Ruta grav (রুটা গ্র্যাভ)
সমনাম- গার্ডেন রু।
অনুপূরক- ক্যাল্কে ফস।
ক্রিয়ানাশক- ক্যাম্ফর।
ক্রিয়াস্থল- অস্থি আবরণ, কার্টিলেজ বোন, অস্থি, চোখ, চর্ম, জরায়ু।
ধাতুগত লক্ষণ- শীতকাতর, সোরা ও সাইকোটিক ধাতু, মাংসল ব্যক্তি।
রোগের কারণ- অস্থিতে আঘাত, অস্থিভঙ্গ, মচকানো, ভারী জিনিস বহন করা, চোখের অতিরিক্ত পরিশ্রম।
হ্রাস/উপশম- চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে, গরমে ও সঞ্চালনে।
বৃদ্ধি- ঘুমালে, ঠান্ডায়, ঠান্ডা আর্দ্র আবহাওয়ায়, আঘাত, মচকানো, অতিরিক্ত চোখের কাজ, স্পর্শ, ঋতুস্রাবের সময়, উঠা-নামা করলে।
লক্ষণাবলী-
(১)শরীরের কোন অংশে বা সর্বাঙ্গে আঘাত লাগা অথবা ক্ষতকর বেদনা এবং কোন বাতে ও সায়েটিকা বেদনায়, ভিজা বা ঠান্ডা কোন বস্তু প্রয়োগে কিংবা শীত বা বর্ষায় বৃদ্ধি, নড়াচড়ায় উপশম ইত্যাদি লক্ষণে রুটা উপকারী।
(২) হাড়ে বা হাড়ের জোড়ায় কোন যান্ত্রিক আঘাত, থেঁতলে যাওয়া, মচকে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া এমন কি হাড়ের স্হান চ্যুতি প্রভৃতিতে বিশেষ উপকারী। আর্নিকার পর প্রায়ই কাজে আসে।
(৩)বর্ষা বা শীতে ভিজে ঠান্ডা লেগে বাতের মত বেদনায় ও রুটা উপকারী। রাসটক্সের মতো নড়াচড়ায় এর উপশম হয়।
(৪) চোখের অতি পরিশ্রমে, সুক্ষ কাজ করা, হাত ঘড়ি মেরামত করা লোকদের, অল্প আলোতে অতিরিক্ত পড়াশুনা হেতু চোখব্যথা ও জ্বালা, ঝাপসা দৃষ্টি এমন কি দেখতে না পাওয়ায় রুটা উপকারী।
(৫) গোগ্গুল বের হওয়া, অতিরিক্ত মল ত্যাগেই হোক বা জোরে কোঁথ দিয়েই হোক, যদি হারিস বা সরলাতন্ত্র বের হয়ে না ঢুকে সেখানে রুটায় উপকারী।
(৬) মুত্রের বেগ ধারনের অক্ষমতা, মনে হয় যেন মুত্রথলি সর্বদাই মুত্রে পরিপূর্ণ এমন অবস্হায়।
(৭) হাতের তালুতে ব্যথা যুক্ত চ্যাপটা ও মসৃন আচিলে উপকারী।
নির্দেশক লক্ষণ-
(১) সর্বাঙ্গে ব্যথা- মনে হয় কেহ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে বা উপর থেকে পড়ে গেছে। ব্যথা- বিশেষত হাত-পা, গাঁটের ভিতর অসাড় বোধ হয়।
(২) পিঠ ও কোমরে ব্যথা, সকালে বিছানা হতে উঠার পূর্বে ব্যতা, চাপ দিলে, চিৎ হয়ে শুইলে উপশম।
(৩) হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালি মচকাইয়া যাওয়ার মত ব্যথা।
(৪) সূচের কাজ, ঘড়ি মেরামতের কাজ বা ছাপার কাজ ইত্যাদি যেখানে চোখের অতিরিক্ত ব্যবহার হয তার ফলে চোখের পীড়া।
(৫) শক্তমল বেগ দিয়ে ত্যাগের চেষ্টা করলে হারিস বের হয়ে পড়ে।
(৬) হাতের তালুতে চেপ্টা আঁচিল।
(৭) ঋতু¯্রাব অনিয়মিত, ঋতু¯্রাবের সময় সকল উপসর্গ বৃদ্ধি পায়। গর্ভধারনের ৭ম মাসে গর্ভপাত হয়।
(৮) স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ে চুলকানির সহিত বাম স্তনে ব্যথা।
(৯) তীব্র ঠান্ডা পানির পিপাসা।
(১০) নিজের ও অন্যের প্রতি অসন্তুষ্টি, কাঁদুনে স্বভাব, বিরোধিতা সহ্য করতে পারে না।
চরিত্রগত লক্ষণ-
(১) মাথায় যেন একটি পেরেক ফুটেছে এরূপ অনুভূতি।
(২) অস্থি আবরকে টাটানি ব্যথা।
(৩) নাসিকা হতে রক্ত¯্রাব।
(৪) উদরশূলে কনকনানি ব্যথা এবং দংশনবৎ যন্ত্রণা থাকে।
(৫) প্র¯্রাবের পরে মূত্রাশয়ের গ্রীবাদেশে চাপবোধ, প্র¯্রাবের শেষভাগ বেদনাদায়ক। নিরন্ত্রর মূত্রবেগ, মূত্রাশয় পরিপূর্ণ এরূপ অনুভূতি।
(৬) চক্ষু ক্লান্ত হয়ে শিরঃপীড়া। সেলাই বা সূ²ছাপা অক্ষরসমূহ পাঠ করার পর চক্ষু লাল তপ্ত ও বেদনাদায়ক হয়ে উঠে।
(৭) মলত্যাগে কষ্টসাধ্য, খুব জোরে কোঁথ দিলে মল নির্গত হয়। কোষ্ঠবদ্ধতা এবং আম ফেনাযুক্ত মল পর্যায়ক্রমে। মলের সাথে রক্ত নির্গমন।
(৮) কাশি, তৎসহ প্রচুর হলদে ও পুরু শ্লেষ্মা নির্গমন। বক্ষঃস্থল দুর্বল মনে হয়। বুকের অস্থির উপর একটি বেদনাযুক্ত ক্ষুদ্রস্থান, ক্ষীণশ^াস তৎসহ বক্ষঃস্থলে কষ্টভাব।
(৯) গ্রীবার পশ্চাৎভাগে, পৃষ্ঠেদেশ ও কটিদেশে বেদনা। পৃষ্ঠবেদনা চাপনে ও চিৎ হয়ে শয়নে উপশম।
(১০) কটিদেশে বেদনা, উরু ও উরুসন্ধি এতই দুর্বল যে চেয়ার হতে উঠার সময় পা অবসন্ন হয়ে পড়ে।