Cimicifuga/Actaea Race (সিমিসিফিউগা/একটিয়া রেসি): ডা.এইচ.সি.এলেন

Cimicifuga (সিমিসিফিউগা) Actaea Race (একটিয়া রেসি)
# নিজস্বকথাঃ
১। ঋতুস্রাবের সঙ্গে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
২। পর্যায়ক্রমে শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ।
৩। ডিম্বকোষের বা জরায়ুর দোষে শ্বাসকষ্ট বা হৃদস্পন্দন।
৪। যারা আঙ্গুলের কাজ করে তাদের পিঠে ব্যথা।
# মূলকথাঃ
১। মন বিমর্ষ, মৃত্যুভয়, অস্থিরতা, সন্দেহপূর্ণ।
২। বাতরোগ উপশম হলে মানসিক লক্ষণ সমূহ বৃদ্ধি হয়।
৩। মনে হয় মাথার চাঁদিটা উড়ে যাবে।
৪। ঘাড়ে ব্যথা, ঘাড় আড়ষ্ট হয়ে মাথাটি পেছন দিকে খিঁচে ধরে।
৫। জরায়ুর নানবিধ অসুস্থতায় তলপেটের একপাশ হতে অপর পাশে তীর বিঁধার মত বেদনা, জরায়ু প্রদেশে চাপ দিলে অত্যন্ত ব্যথা।
৬। ঋতু¯্রাবের সময় প্রচুর পরিমাণে রক্ত¯্রাব, রজঃনিবৃত্তি কালে বামদিকের স্তনের নি¤œদেশে বেদনা।

# উপযোগিতা:
১। সন্তান জন্মের পরবর্তীকালে সূতিকা হয়ে উম্মত্ততা; মনে করে সে পাগল হয়ে যাবে (সিফিলিনাম)।নিজেকে আঘাত করতে চায়। স্নায়ুশূল কমে গিয়ে উম্মত্ততা প্রকাশ পায়।
২। মানসিক অনুভূতি: যেন (জমাট বাধা) ভরী কাল মেঘ তাকে ঢেকে ফেলেছে এবং মাথাকে এমনভাবে আবৃত করেছে যেন সমস্ত কিছুই অন্ধকার এবং কোন কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না। চেয়ারের নীচ হতে একটি ইঁদুর দৌড়ে গেল- এরূপ ভ্রান্ত অনুভূতি।
৩। চোখের পাতার স্নায়ুশূল: অক্ষিগোলকে কামড়ান, তীরব্ধিবৎ যন্ত্রণা যাহা মস্তকের শঙ্খস্থান, শীর্ষদেশ, পেছনদিকে, চোখের কোটর অবধি বিস্তৃত হয় এবং সিড়ি দিয়ে উপরে উঠলে বাড়ে এবং শুলে কমে।
৪। জরায়ু অথবা ডিম্বকোষ সম্বন্ধীয় রোগ লক্ষণ হতে উদ্ভূত হৃদরোগ। হৃদপিন্ডের ক্রিয়া হঠাৎ থেমে যায়, দমবন্ধের মত অবস্থা হয়; সামান্য সঞ্চালনে বুক ধড়ফড় করে (ডিজিটালিস)।
৫। ঋতুস্রাব অনিয়মিত, দূর্বলতা আনে (এলুমি, ককুলাস), মানসিক উত্তেজনা। ঠান্ডা লেগে বা জ্বর হয়ে ঋতুস্রাব বিলম্বিত অথবা অবরূদ্ধ হয়, তৎসহ কোরিয়া রোগ, হিস্টিরিয়া অথবা উম্মত্ততা প্রকাশ পায়।
৬। জরায়ুপীড়া হতে উদ্ভূত আক্ষেপ, হিস্টিরিয়া অথবা এপিলেপটিক; ঋতুকালে বাড়ে। কোরিয়া রোগ বাঁদিকে বৃদ্ধি হয়। বাতজনিত রজঃকষ্ট।
৭। ডিম্বাশয় অথবা জরায়ুপীড়ার সাথে দেহের ভিন্ন ভিন্ন অংশ বিদুৎবৎ বেদনা অথবা জরায়ুস্থানে বেদনা- তিরের মত একদিক হতে অন্যদিকে যায়।
৮। গর্ভাবস্থায় গা বমি বা বমিভাব, অনিদ্রা, অলীক প্রসব বেদনা, তলপেটে আড়াআড়ি ভাবে তীক্ষ্ম বেদনা; তৃতীয় মাসে গর্ভপাত (স্যাবাইনা)।গর্ভাবস্থার শেষমাসে প্রয়োগ হলে প্রসব বেদনার স্থিতিকাল কম- যদি লক্ষণানুযায়ী দেওয়া হয় (কলোফা, পালস)।
৯। প্রসবকালে প্রথমাবস্থায় শরীর কাঁপতে থাকে, স্নায়ুবিক উত্তেজনায় খিচুনি হয়, জরায়ুমুখ কঠিন, তীব্র আক্ষেপিক বেদনা- যাহা ক্লান্তিকর এবং যাহা সামান্য গোলমালে বৃদ্ধি পায়। প্রসবান্তে কুচকি স্থানে ভ্যাদাল ব্যথা।
১০। খেলা-ধুলা, নাচা-নাচি বা স্কেটিং করার পর অথবা অন্য কোনরকম অত্যধিক পেশী চালনার পরে পেশীগুলিতে অত্যধিক টাটানি ব্যথা হয়ে প্রযোজ্য।
১১। ঘাড় ও পিঠের পেশীতে বাতবেদনা, আক্রান্ত অঙ্গ আড়ষ্ট, অবশ ও সংকুচিত বোধ হয়, সেলাই করা, টাইপ করা, পিয়ানো বাজানো প্রভৃতি কারণে মেরুদন্ড স্পর্শকাতর হয় (এগারি, র‌্যনান)।বাতে পেশীগুলির ভেতরদিক আক্রান্ত হয়- বেদনা ছুঁচফোটানো বা খিলধরার মত।
১২। সমগূণ- জরায়ু ও বাতরোগে কলোফাইলাম ও পালসেটিলা, সাধারণভাবে এগারিকাস, লিলিয়াম, সিপিয়া। ঋতুকালে স্রাব যত বেশী হয় যন্ত্রণাও ততই বাড়ে।