হোমিওপ্যাথি বিরোধি সমালোচনা কেন?
[লেখক : ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু), বাংলাদেশ]
=========================================
হোমিওপ্যাথি বিরোধি লেখক ও সমালোচকদের প্রতিঃ
====================================
কিছু কিছু অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার হোমিওপ্যাথি সমন্ধে বিরুপ মন্তব্য করে ফেসবুকে কলাম লিখছে..।
সে সমস্ত লেখক ইন্টারনেট হতে হোমিওপ্যাথি বিরোধি লেখকদের কলাম সংগ্রহ করে তার সঙ্গে নিজের মত কথা লিখে প্রকাশ করে। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে হেও প্রতিপন্ন করে আসছে। যা কখনও কাম্য নয়।
হোমিওপ্যাথি বিরোধী সমালোচনা করে বলে হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজ করে কিনা?
===================================
সম্প্রতি কে বা কোন কুচক্রি মহল ইন্টারনেটে লিখেছে Homoeopathic Medicine “Silicea (সাইলিসিয়া)” এর মধ্য কাঁটা রেখে পরীক্ষা করেছে কাঁটা গুলে যায়নি। কাঁটা মানব শরীরে বিঁধলে শুুধু সাইলিসিয়া ঔষধ কেন লক্ষণ ভিত্তিক অসংখ্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ আছে। বিভ্রান্তকর শব্দ “কাঁটা গলে যায়”। বাস্তবে গলে যায়না। কাঁটা মানব শরীরে বিঁধে থাকা স্থান হতে হোমিওপ্যাথি ঔষধ সঠিক মাত্রায় সুনির্বাচিত ঔষধ প্রয়োগে মানব শরীরে বিঁধে থাকা স্থান হতে দ্রুত বের হয়ে যায়। হোমিওপ্যাথি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রয়োগে কাঁটা মানব শরীরের বিঁধে থাকা স্থান হতে বের হয়ে আসে।
অনেক সমালোচক বিভ্রান্তকর ব্যাখ্যা দেয় যে, Silicea (সাইলিসিয়া) ঔষধের মধ্যে কাঁটা রাখলে কাঁটা গলে যাওয়ার কথা। কিন্তু কাঁটা গলে না। তাদের কে ভুল ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিয়েছে। বাস্তবে মানব শরীরে ঔষধের ক্রিয়া বা কাজ এবং একটি টেষ্টটিউব বা বোতল বস্তুতে কাজ বা ক্রিয়া করা অন্য জিনিস বা বিষয়। হোমিওপ্যাথি ঔষধ মানব শরীরে কাজ করে তা টেষ্টটিউব বা বোতলে কাজ করেনা। মানব শরীরে কাজ করার জন্যই হোমিওপ্যাথি ঔষধ আবিস্কার হয়েছে এবং প্রত্যেকটি হোমিওপ্যাথি ঔষধ মানব শরীরে পরীক্ষিত হয়েছে।
হোমিওপ্যাথি ঔষধে কাজ করে কিনা? তা জানতে ইন্টারনেট ঘাটতে হবে না। হোমিওপ্যাথি বিরোধিদের মতামত ও কলাম দেখতে হবে না।
বাংলাদেশের স্বঘোষিত তথাকথিত সমালোচকদের সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, মিরপুর-১৪, ঢাকায় আসুন। জটিল রোগীর কেসস্টাডি দেখুন। অসুস্থতার সময়কার অ্যালোপ্যাথি নামকরা প্রতিষ্ঠানের রোগীর জন্য করা প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দেখুন ও রোগীকে হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাওয়ার পর সেই নামকরা প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দেখুন। জটিল ও পুরাতন রোগটি হোমিওপ্যাথি ঔষঞধে ও ভাল মানের ডাক্তারের সহায়তায় সম্পূর্ণ আরোগ্য হয়েছে। রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ। সম্প্রতি সময় টিভি চ্যানেল সংবাদে রোগীর ভিডিও সহ স্বাক্ষাত ভিক্তিক নিউজ করেছে। অন্যান্য টিভি চ্যানেল করছে।
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি স্বাস্থ্য সেবায় সাফল্যঃ
===============================
বাংলাদেশে অনেক জেলা ও উপজেলা শহরে বেশ কিছু ভালো মানের অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তার আছে। যারা প্রতিনিয়ত জটিল ও পুরাতন রোগ আরোগ্য করে আসছেন। তাদেরকে অভিনন্দন।
হোমিওপ্যাথি ডি.এইচ.এম.এস বা বি.এইচ.এম.এস কোর্সকৃত সকল ডাক্তারদের রোগী দেখার ও রোগী আরোগ্য করার মান ভাল নয়। পুস্তকের জ্ঞান ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করতে হয়। রোগী আরোগ্যকে সাফল্য অর্জন করা হলো ডাক্তারের ব্যবহারিক দিক। কোর্সকৃত ডাক্তার দুই এক জনের নিকট রোগ নিরাময়ে বিফল হলে হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজ করে না তা বলা ঠিক না। হোমিওপ্যাথি ঔষধ ভাল কাজ করে। সঠিক রোগে সঠিক হোমিওপ্যাথি ঔষধ নির্বাচনে সেই ডাক্তার ব্যর্থ। সেটা হোমিওপ্যাথির দোষ নয়, দোষ ডাক্তারের। সঠিক রোগে সঠিক ঔষধ নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই ডাক্তারের ব্যর্থতা হোমিওপ্যাথি গ্রহণ করবে না।
বাংলাদেশে অসংখ্য হোমিওপ্যাথি ডিগ্রিধারী ডাক্তারগণ যারা প্রতিনিয়ত জটিল রোগী আরোগ্য করে আসছে।
উদাহরণস্বরুপঃ বাংলাদেশে অন্যান্য জেলা ও উপজেলার মত বগুড়া জেলার, শেরপুর উপজেলার, শেরপুর পৌর এলাকার, জগন্নাথ পাড়ায় “ডাক্তার বাড়ী”তে কয়েকজন হোমিওপ্যাথি ডিগ্রিধারী গভঃ রেজিষ্টার্ড ডাক্তার নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের জটিল ও পুরাতন রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করে আরোগ্য করে আসছে।
নিম্নে ডাক্তার চেম্বারের হোমিওপ্যাথি ডাক্তারগণঃ
(১) ডা. মো. আতিকুল্লা।
এইচএমবি [দি রইস হোমিওপ্যাথিক মেডক্যাল কলেজ, কুড়িগ্রাম, পূর্ব পাকিস্থান (বাংলাদেশ)]
বিএমবি (গোল্ড মেডালিষ্ট ফার্স্টক্লাশ ফার্স্ট) [দি ইর্স্টান হোমিও মেডিক্যাল কলেজ, কুমিল্লা, ত্রিপুরা, পূর্ব পাকিস্থান (বাংলাদেশ)]
ডাক্তার চেম্বারঃ
ডা. আতিকুল্লা হোমিওপ্যাথি হেলথ কেয়ার
(প্রতিষ্ঠা : ১৯৬৮খ্রি.)।
(২) ডা. মো. আবু সাঈদ (আরিফ)।
পিতা- ডা. মো. আতিকুল্লা।
ডিএইচএমএস (বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল)
এমএসএস (এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ)
এমবিএ (উত্তরা ইউনিভার্সিটি)
ডাক্তার চেম্বারঃ
ডা. আতিকুল্লা হোমিওপ্যাথি হেলথ কেয়ার
(প্রতিষ্ঠা : ১৯৬৮খ্রি.)।
(৩) ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)।
পিতা- ডা. মো. আতিকুল্লা।
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল)
এমএসএস (এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ)
ডাক্তার চেম্বারঃ
ডা. আব্দুস সালাম হোমিওপ্যাথি হেলথ কেয়ার
(প্রতিষ্ঠা : ২০০২খ্রি.)।
সহ অন্যান্য।
[ হোমিওপ্যাথি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসাঃ নবজাতক, শিশু ব্যাধি, পুরুষ ব্যাধি, স্ত্রী ব্যাধি (সাদা স্রাব, বন্ধাত্ব, স্তন টিউমার, জরায়ু টিউমার, জরায়ু বড় হওয়া..), নাক, কান, গলা, চর্ম, যৌন, অর্শ, বাত, সাইনুসাইটিস, নাকের পলিপাস, এ্যাপেন্ডিসাইটিস, এ্যাজমা, হার্ট, হরমোন, কিডনী, টিউমার ও ক্যান্সার ব্যাধির সহ অন্যান্য ব্যাধির চিকিৎসা করে আসছে ]
হোমিওপ্যাথি সমালোচকদের প্রতি :
=======================
কত ধরনের জটিল রোগের নাম ও আরোগ্যের তথ্য জানতে চান। এসে দেখে যান। হোমিওপ্যাথি সঠিক চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মুখ হতে শুনুন।
পারলে সমালোচক ও হোমিওপ্যাথি বিরোধি অ্যালোপ্যাথি ডাক্তারগণ হোমিওপ্যাথি সমালোচনা ও বিরোধিতা না করে আপনাদের জটিল রোগীর প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট সহ রোগীকে হোমিওপ্যাথি অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তারদের নিকট রোগী প্রেরন করুন। কিছুদিন হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রয়োগ করার পর পূর্ণরায় প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট করান ও পরীক্ষা করে দেখুন রোগ আছে কিনা। অবশ্যই রোগ সম্পূর্ণ আরোগ্য হবে।
হোমিওপ্যাথি বিরোধি ও সমালোচকদের অতিষ্ঠদের কারণে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের জটিল রোগী হোমিওপ্যাথি ঔষধে আরোগ্যেকারী রোগীর তথ্য সহ প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টের কপি সমূহ ডকুমেন্ট হিসাবে ভবিষতের জন্য সংরক্ষণ করা দরকার।
হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে হোমিওপ্যাথি কোর্স গুলোতে শুধু হ্যানিম্যানের অগ্যানন অব মেডিসিন ও মেটেরিয়া মেডিকা, ক্রনিক ডিজিজ পড়ায় না।
হোমিওপ্যাথি কোর্সকৃতদের এনাটমি, ফিজিওলজি, গাইনোলজী, মিডিওফারী, প্যাথলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, সাইকোলজি, হাইজিন, মেডিকেল জুরিস প্রুডেন্স, ফার্মাকোলজি, সার্জারী অসংখ্য অ্যালোপ্যাথি কোর্সের বিষয় অাবশ্যিক বিষয় হিসাবে অন্তভুক্ত ও বিষয় গুলো পাঠদান করায়। আর এসব বিষয় গুলো বেশীর অ্যালোপ্যাথি উচ্চ ডিগ্রিধারী ডাক্তারগণ শিক্ষক হিসাবে পাঠদান করান।
হোমিওপ্যাথি বিরোধী সমালোচনা, হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান কিনা?
================================
সমালোচনা ও বিরোধিতা করতে হলে কয়েকদিনে দুই চারটি হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা বই পড়ে ও ইন্টারনেটে হোমিওপ্যাথি বিরোধিকারীদের মনগড়া লেখা পড়ে এবং রেফারেন্স ব্যবহার না করে সমালোচনা না করে যদি নিজের সৎ সাহস থাকে তাহলে বছরের পর বছর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়া করে ডিএইচএমএস এর পর বিএইচএমএস তারপর এমডি তারপর পি-এইচডি হোমিওপ্যাথি বিষয়ে উচ্চ ডিগ্রি নিন। তারপর সেই চিকিৎসা বিজ্ঞান সমন্ধে সমালোচনা করুন। দুই চারটা হোমিওপ্যাথি বই পড়ে জ্ঞানের মহাপন্ডিত হিসাবে নিজেকে মনে না করে ও জাহির না করে, সেই চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আরোগ্যকলার গভীরে যেতে হবে। কিছু কিছু আন্তজার্তিক অ্যালোপ্যাথি ঔষধ কোম্পানি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. হ্যানিম্যানের জীবনদশা হতে চক্রান্ত করে আসছে। তা নতুন নয়। চক্রান্তকারীগণ একটি পক্ষভুক্ত। বিশাল অর্থ লগ্নিকরে অ্যালোপ্যাথি ঔষধ বাজারজাত ও অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। আজ লক্ষ্য করুন এন্টিবায়োটিকের ভয়াবহতায় বিশ্বমানব সভ্যতা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি ভয়াবহতায় মুখে আছে…।
বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে শুধুমাত্র ডায়াবেটিস ঔষধ বিক্রয় ব্যাপারে। অ্যালোপ্যাথি ফার্মেসি গুলো বড় মাপের গ্রাহক হলো ডায়াবেটিস রোগী। এই ডায়াবেটিস গবেষণার নামে বিশ্বব্যাপি কত ডলারের পর ডলার ব্যায় করেছে। কোন কার্য়কর ঔষধ কি আবিস্কার হয়েছে। শুধু গবেষণা চলছেই। প্রতিদিন শরীরে সিরিঞ্জ এর সূঁচ বিধাতে হয়। কি কষ্ট রোগীদের হয়। তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। বলছে ইনসুলিন হরমন বিপাকক্রিয়া বা বিশৃঙ্খলার কারণে ডায়াবেটিস। তাহলে কেন কার্যকর ঔষধ এখনও বের হচ্ছেনা। প্রতিদিন রোগীদের কেন ২/৩ বেলা শরীরে ইনজেকশনের সূঁচ বিদ্ধ করতে হবে। আর কত শতাব্দী গবেষণার নামে জনগণের অর্থের টাকা বিশ্বব্যাপি লুটপাট চলবে। ডায়াবেটিস ঔষধের নামে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার টাকার ঔষধ বিক্রয়ের ব্যবসা চলবে। ডায়াবেটিস রোগীদের মুক্তি দিন।
ইংল্যান্ড সম্প্রতি হোমিওপ্যাথি বিষয়ে সরকারীভাবে স্বাস্থ্য সেবায় আর্থিক সহায়তা বন্ধ করেছে তাদের স্বদেশী ও আন্তর্জাতিক অ্যালোপ্যাথি ঔষধ উৎপাদনকারী সিন্ডিকেট এর চাপে। হোমিওপ্যাথি অগ্রযাত্রা ও জটিল রোগী আরোগ্যের সফলতা হোমিওপ্যাথি বিরোধি ও সমালোচকগণ সহজে মেনে নিতে পারছেন না। হোমিওপ্যাথি বিষয়ক গবেষণা করতে বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথি সহ সব প্যাথির গবেষকদের যৌথ প্রতিনিধি সহযোগে গবেষণা টিম করা। কোন দেশ শুধুমাত্র এককভাবে অ্যালোপ্যাথি ভাবাপন্ন বিজ্ঞানী দিয়ে মনগড়া টিম করে হোমিওপ্যাথিকে অবজ্ঞা করা ও হোমিওপ্যাথি বিরোধি রিপোর্ট কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।
আন্তজার্তিক একটি স্বাস্থ্য সংস্থার কথা বিরোধিকারীগন প্রায়ই বলে। সেই আন্তজার্তিক সংস্থা চলে আমেরিকার কথা মত। আর আমেরিকা প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করছে ইহুদিরা…। আমেরিকা অর্থ না দিলে নিদিষ্ট পরিমার চাঁদা না দিলে প্রতিষ্ঠানটির দূরাবস্থা হয়ে পড়ে।
তাদের কারণে আন্তজার্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু করতে পারছেনা।
স্ব স্ব দেশের সরকার তাদের দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, খাদ্যাভ্যাস সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে স্ব স্ব দেশে গবেষণাগার ও হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন তথা নিয়মিত গবেষণা করা ও নতুন নতুন পরীক্ষিত হোমিওপ্যাথি ঔষধ আবিষ্কার করা। সঙ্গে ঔষধের উপাদান, শক্তিকরণ, মাত্রাতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা। গবেষণা একটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মিত কার্যক্রম।
ভারতে হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সরকারী ও বেসরকারীভাবে হোমিওপ্যাথি গবেষণা করে আসছে। হোমিওপ্যাথি আজ শুধু জার্মান দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। হোমিওপ্যাথি আজ বিশ্বব্যাপি।
বাংলাদেশে দ্রুত হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও নিয়মিত গবেষণা করা। সমালোচকদের বিজ্ঞান ভিক্তিক যথাযথ জবাব নিয়মিত দেওয়া। গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশিত হওয়া।
হোমিওপ্যাথি পদ্ধতি ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ আজ আর শুধু জার্মান ও আমেরিকায় উৎপাদন হয় না। বিশ্বের প্রায় দেশেই হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে। মেধাবীরা লেখাপড়া করছে। তেমনি বর্তমানে জার্মান, আমেরিকা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান, সুইজারল্যান্ড সহ বিশ্বের প্রায় উন্নত দেশেই আধুনিক কম্পিউটারীজ যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ও মান সম্মত (আন্তজার্তিক মানের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ISO, GMP) হোমিওপ্যাথি ঔষধ উৎপাদন এবং বাজারজাত হচ্ছে।
বাংলাদেশে আন্তজার্তিক মানের GMP সার্টিফিকেট প্রাপ্তঃ “ম্যাক্সফেয়ার এন্ড কোম্পানী লিমিটেড” (হোমিওপ্যাথি ডিভিশন), ঢাকা, বাংলাদেশ ও আন্তজার্তিক মানের ISO সার্টিফিকেট প্রাপ্তঃ “ডিপলেইড ফার্মাকো লিমিটেড” (হোমিওপ্যাথি ডিভিশন), ঢাকা, বাংলাদেশ।
বিশ্বের স্ব স্ব দেশের হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ও গবেষকগণ হোমিওপ্যাথি উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসুন।
জয় হোক বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথির।
পরিশেষ :
======
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা বিজ্ঞান হোমিওপ্যাথিক কে ১৯৮৬খ্রি. প্রগতিশীল ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অব ফার্মাসি (বর্তমান ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন) এর অর্ন্তভুক্ত করে [বিশ্বব্যাপি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের (গ্রাজুয়েট/স্নাতক/বি.এস-সি অনার্স..সমমান): বি.এইচ.এম.এস ডিগ্রি কোর্স চালু] বিশ্বজনীন মর্যাদা দিয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রি. হতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রয়ত্ব বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (প্রস্তাবিতঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কাউন্সিল / বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয়) অধিভূক্ত ও নিয়ন্ত্রিত দেশের প্রায় ৬৫ টি হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল [বিশ্বব্যাপি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের (গ্রাজুয়েট/স্নাতক/বি.এস-সি (পাস) ডিগ্রি সমমান): ডি.এইচ.এম.এস ডিগ্রি কোর্স চালু] গুলোতে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সার্জারি, গাইনোলজি, প্যাথলজিসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংযোজিত হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় রাষ্ট্রে সরকার স্বীকৃত মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা হোমিওপ্যাথি বিষয় নিয়ে কোর্স ও গবেষণা করছেন। ঔষধ প্রস্তুতিকরণে এসেছে আধুনিকতা তথা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ছোয়া।
হোমিওপ্যাথি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) স্বীকৃত বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় ও ২য় বৃহত্তম বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি (Alternative System) হোমিওপ্যাথি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগী আরোগ্য ও দ্রুত সুস্থ হচ্ছে এজন্য বাংলাদেশে সকল “সরকারী জেলা সদর হাসপাতাল” ও “সরকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স” গুলোতে পর্যায়ক্রমে হোমিওপ্যাথি কোর্সকৃতদের “ডা.” (ডাক্তার) হিসাবে “মেডিক্যাল অফিসার (হোমিওপ্যাথি বিভাগ)” পদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে রাজস্বখাতে ও প্রকল্পখাতে নিয়োগ প্রদান করে আসছে। এদের নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর” এ “অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি)” বিভাগ চালু করা হয়েছে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রাকৃতিক ও নিরাপদ এবং দ্রুত আরোগ্যকারী।
“হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন ও সুস্থ থাকুন প্রতিদিন।”
অনলাইন কালেকশন: