হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নিজস্বকথাঃ ৩য় পর্যায়

১. Anagalis (অ্যানাগ্যালিস): (১) আনন্দে উৎফুল্ল, মুখে হাসি। (২) দেহের মধ্য হতে কাঁটা বের করার ক্ষমতা। (৩) জলাতঙ্ক, সর্পদংশনের বিষ নষ্ট করে।
২. Apocynum (অ্যাপোসাইনাম): (১) পর্যায়ক্রমে শোথ ও উদরাময়। (২) প্রস্রাবের অভাব, ঘর্মের অভাব। (৩) ঠান্ডা পানি সহ্য হয় না। শীতকাতর। (৪) প্রস্রাব, ঘর্ম ও ঋতুস্রাব বাধা প্রাপ্ত হয়ে শোথ, শোথ উদরাময়ে উপশম।
৩. Aurum Trip (অ্যারাম ট্রিপ): (১) নাক,মুখ বা ঠোঁট খুঁটিতে থাকা। (২) জ্বালা ও প্রদাহ। (৩) প্রস্রাব কম ও বন্ধ হওয়া।
৪. Baptisia (ব্যাপটিসিয়া): (১) রোগের দ্রুতগতি, সংজ্ঞাশূন্যতা ও দূর্বলতা। (২) দূর্গন্ধ। (৩) অস্থিরতা ও অঙ্গে বেদনা। (৪) কুকুর কুন্ডলীবৎ হয়ে থাকা।
ব্যাপটিসিয়া
৫. Baryta iod (ব্যারাইটা আয়োড): ১। গ্রন্থির কাঠিন্যতা, বিশেষতঃ টনসিল ও স্তন। ২। গন্ডমালা ধাতুদোষ ও দৈহিক খর্বতা। ৩। অন্ডকোষের পুরাতন স্ফীতি ও কাঠিন্যতা। ৪। লসিকা গ্রন্থির পীড়া।
৬. Baryta mur (ব্যারাইটা মিউর): ১। গ্ল্যান্ডগুলো আক্রান্ত হয়। বিবৃদ্ধি ও প্রদাহ। ২। প্রবল সঙ্গমেচ্ছার সাথে উম্মাদভাব। ৩। কানপাকা, ফোড়ার দুর্গন্ধ পূঁজ নিঃসারণ। ৪। বুদ্ধিবৃত্তির খর্বতা এবং ডানদিকে রোগাক্রমন।
৭. Berberis Vul (বার্বেরিস ভাল): (১) পাথরিজনিত যন্ত্রনা। (২) ব্যাথা কেন্দ্র স্থল থেকে চারিদিকে ছুটিয়া বেড়ায়। (৩) স্পর্শকাতরতা বা সঙ্গম সুখের অভাব। (৪) নাড়ী অত্যন্ত মন্দ গতি, অত্যধিক ভয়।
বার্বেরিস ভালগেরিস
৮. Bufo Rana (বিউফো রানা): (১) জ্বালা। (২) বুদ্ধিবৃত্তির খর্বতা। (৩) মৃগী রাতে বৃদ্ধি, নিদ্রায় বৃদ্ধি, গরমে বৃদ্ধি। (৪) হস্তমৈথুনের অদম্য ইচ্ছা।
৯. Cactus Grandi (ক্যাক্টাস গ্র্যান্ডি): (১) মনে হয় যেন হৃৎপিন্ডটি লোহার দড়ি দিয়ে খুব টান করে বাঁধা আছে। (২) রক্তস্রাব, সংকোচন, নির্দিষ্ট সময়ান্তর উপসর্গের প্রত্যাবর্তন। (৩) অতিদ্রুত রক্ত বিন্দু জমাট বেঁধে যায়। (৪) মাথার চাঁদির উপর একটি বোঝা রয়েছে এইরূপ অনুভুতি। রক্তসঞ্চয় জনিত শিরঃপীড়া।
১০. Calc-sulp (ক্যাল সালফ): (১) ফোড়া, ক্ষত বা প্রদাহযুক্ত স্থান হতে পুঁজ যা প্রচুর ঘন পুরু (গাঢ়) পীত বর্ণ, সবসময় রক্তের রেখা যুক্ত হয়। (২) সহজে পুঁজ না শুকালে, স্ফোটক এবং পুঁজোৎপাদনে ক্ষমতা প্রবল। (৩) খিটখিটে রাগী সহজেই বিরক্ত, লোকসঙ্গ ভাল লাগে না। অল্পতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। (৪) কৌশিক অর্বুদ ও গ্রন্থির স্ফীতিতে ইহার কার্য্য যথেষ্ট রয়েছে।
১১. Camphor-off (ক্যাম্ফর অফ): (১) দ্রুতগামী হিমাঙ্গ অবস্থা। (২) পর্যায়ক্রমে উত্তাপ ও শীত। (৩) পর্যায়ক্রমে উত্তেজনা ও অবসাদ। (৪) রাত্রে একাকী থাকতে ভীতি।
১২. Capsicum (ক্যাপ্সিকাম): (১) সকল স্থানে জ্বালা, জ্বালা উত্তাপে উপশম। (২) পানি পান মাত্র শীত ও কম্পন, খুব শীতার্ত ভিতরে জ্বালা।(৩) কাশি দিলে দেহের দূরবর্তী স্থানে ব্যথা হয়।
১৩. Caulophyllum (কলোফাইলাম): (১) প্রসব বেদনা ক্ষণস্থায়ী, অনিয়মিত ও কষ্টকর। (২) লোকিয়া স্রাব দীর্ঘকাল চলতে থাকে, জরায়ুর দুর্বলতার জন্য গর্ভপাতের উপক্রম। (৩) জরায়ু রোগের জন্য স্ত্রীলোকদের চামড়ায় কালো দাগ বা অন্য রঙের দাগ বিশেষত মুখে। (৪) ক্ষুদ্র গ্রন্থির বাত, প্রসবের পর ফুল পড়ে না।
১৪. Chamomilla (ক্যামোমিলা): (১) কোপন স্বভাব ও কলহ প্রিয়তা। (২) কোলে উঠে বেড়াতে চাওয়া। (৩) ক্রন্দনশীলতা, স্পর্শকাতরতা ও সহ্য শক্তির অভাব। (৪) একটি গাল লাল ও গরম, অপরটি ঠাণ্ডা ও ফ্যাকাসে।
১৫. Cholesterinum (কোলেষ্টেরিনাম): (১) যকৃত ক্যান্সার ও অত্যধিক রক্তসঞ্চয়। (২) জ্বালাযুক্ত বেদনা, বেদনায় রোগী এত কাতর হয়ে পড়ে যে দুই হাতে দুই পাশে চেপে ধরে। (৩) অক্ষিগোলকের স্বচ্ছ তন্তুময় বিধানে অস্বচ্ছতা। (৪) পান্ডুরোগ, পিত্তশিলা ও অর্বুদ।
১৬. Clematis erc (ক্লিমেটিস ইরেক্টা): (১) প্রস্রাব দ্বারের সংকীর্ণতা এবং থেমে থেমে প্রস্রাব। (২) গ্রন্থি বা গ্ল্যা- ফুলে পাথরের মত শক্ত হয়। (৩) রাতে বৃদ্ধি, শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি। (৪) রোগী একা থাকতে ভয় পায়। আবার লোকজনের নিকট যেতে ভয় ও আতঙ্ক হয়।
১৭. Cuprum Met (কুপ্রাম মেট): (১) আক্ষেপ, নিম্নাঙ্গে সুত্রপাত। (২) শীতার্ততা ও পরিবর্তনশীলতা। (৩) ঠান্ডা পানি পানে উপশম। (৪) বাঁধাপ্রাপ্ত উদ্ভেদ বা অবরুদ্ধ স্রাব।
১৮. Digitalis Pur (ডিজিটালিস পার): (১) দুর্বল, অনিয়মিত ও মন্দগতি নাড়ী। (২) যকৃত প্রদাহ ও ধূসর বর্ণের মল। (৩) পেটের মধ্যে শূণ্যবোধ ও শয়নে শ্বাসকষ্ট। (৪) মূত্রকষ্ট ও মুত্রস্বল্পতা।
১৯. Euphrasia off (ইউফ্রেসিয়া অফ): (১) ক্ষতকর অশ্রুস্রাব। (২) আলোকাতঙ্ক দিনের আলোকে বা সূর্য্যালোকে বৃদ্ধি পায়। (৩) কাশির সময় চক্ষু হতে জল পড়ে, শয়নে কাশি কমে। (৪) কষ্টকর ঋতুুস্রাব , স্রাব মাত্র একঘন্টা কালো অথচ একদিন বর্তমান থাকে, অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
২০. Ferrum-phos (ফেরাম ফস): (১) রক্তস্রাব প্রবণতা, যে কোন দ্বার হতে উজ্জ্বল রক্তস্রাব। (২) আহারকালে বমি, বমির পর প্রচন্ড ক্ষুধা, খেতে বাধ্য হয়। (৩) বেদনা হঠাৎ আসে, হঠাৎ যায় ও ভ্রমনশীল বেদনা। (৪) দক্ষিণ দিকে রোগাক্রমণ ও সকল কষ্ট ধীরে ধীরে সঞ্চালনে আরাম।
২১. Gelsemium (জেলসিমিয়াম): (১) পক্ষাঘাত সদৃশ্য দুর্বলতা বা ভারবোধ ও তন্দ্রাভাব। (২) অঙ্গ প্রত্যঙ্গর অসংযত ভাব কম্পন। (৩) উত্তেজনা, দুর্ভাবনা বা দূঃসংবাদ জনিত অসুস্থতা। (৪) তৃষ্ণাহীনতা ও শীতার্ততা।
২২. Helleborus Niger (হেলিবোরাস নাইজার): (১) সংজ্ঞাশূন্যতা বা আচ্ছন্নভাব। (২) অর্ধনিমীলিত চক্ষু ও অর্থহীন শূন্যদৃষ্টি। (৩) অঘোরে হাত পা বা মাথা নাড়তে থাকা বা হঠাৎ চীৎকার করে উঠা। (৪) মূত্রস্বল্পতা ও শোথ।
২৩. Hydrastis can (হাইড্রাষ্টিস ক্যান): (১) মুখে অরুচি, পেটে ক্ষুধা। (২্) গাড় চটচটে শ্লেষ্মাস্রাব। (৩) হরিদ্রা বর্ণ ও ন্যাবা। (৪) কোষ্টকাঠিন্য।
২৪. Hyoscyamus (হায়োসায়েমাস): (১) গোপন অঙ্গ খুলিয়া রাখে এবং স্পর্শ করে, অত্যন্তকামুক, অশ্লীল কথা বলে। (২) রাতে আক্ষেপকর কাশি, শয়নে বৃদ্ধি; গলায় চুলকানি মনে হয় যে আলজিহ্বা দীর্ঘ হয়েছে। (৩) অত্যধিক প্রফুল্লতা; প্রত্যেক বিষয় হাস্য পরায়ণ হবার প্রবণতা। (৪) তন্দ্রাচ্ছন্ন প্রলাপ। সন্ধিগ্ধতা ও জলাতঙ্ক, সংজ্ঞাশূন্যতা, আক্ষেপ ।
২৫. Justicia (জাষ্টিশিয়া): (১) অবিশ্রান্ত এবং ভয়ানক কাশি, শুষ্ক কাশি রাতে বাড়ে। গলার মধ্যে সাঁ সাঁ শব্দ। (২) স্বরভঙ্গ, বুকে যেন অনেক শ্লেষ্মা জমা আছে মনে হয়, কাশতে কাশতে সামান্য উঠে অথবা মোটেও উঠেনা। (৩) উত্তেজনাশীল, বাহ্যপ্রভাবে অনুভবাধিক্য, মস্তক উত্তপ্ততা, পূর্ণতা ও গুরুত্বানুভব। (৪) অত্যন্তহাঁচির সঙ্গে প্রচুর পরিমানে তরল শ্লেষ্মা নিঃসরণ।
২৬. Kali-mur (ক্যালি মিউর): (১) জিহ্বাটি পাংশু বা শ্বেত বর্ণ ময়লা দ্বারা আবৃত, জিহ্বায় ক্ষত, ক্ষতের বর্ণ সাদা। (২) মৃগী রোগ কোন চর্মরোগের সঙ্গে বা কোন চর্মরোগ যেমন একজিমা প্রভৃতি চাপা পড়ে মৃগী রোগ হলে। (৩) যদি পাকস্থলীর বিশৃংখলা হেতু হাঁপানী হয়, কাশির সময় চক্ষু বের হয়ে পড়ে। (৪) টনসিল স্ফীততা, উহার আকার এত বর্ধিত হয় যে শ্বাসে প্রতিবন্ধকতা জম্মে। গলার অভ্যন্তরে ও টনসিলে ধূসরাভ দাগ। (৫) ছোট ছোট সাদা সূতার মত ক্রিমি অথবা ঐ প্রকার ক্রিমির জন্য মলদ্বার চুলকায়। (৬) অল্পরজঃ, কষ্টরজঃ, শ্বেতপ্রদর ও জরায়ু প্রদাহ।
২৭. Kali-phos (ক্যালি ফস): (১) স্নায়বিক দৌবল্য ইহার মর্মকথা, স্নায়ুর অবসাদ ও দূর্বলতার জন্য মাথা ব্যথা, স্নায়ু প্রধান ব্যক্তিদের ও অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম কারীদের মাথার যন্ত্রণায় এবং ছাত্র, ছাত্রী, উকিল, ডাক্তার, ব্যবসায়ী প্রভৃত বিষয়ক ব্যক্তিদের পীড়া। (২) চিত্তোম্মাদ, সূতিকাম্মাদ, পাগলামি প্রভৃতি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ঔষধ। উম্মাদ রোগী কখন হাসে, কখন কাঁদে, আবার কখন অত্যন্তবিষন্ন হয়ে পড়ে। (৩) ইহা সুপ্রসবের খুব ভাল ঔষধ বলে খ্যাত। অপ্রকৃত প্রসব বেদনায় ইহা সেবন করলে জরায়ুর বল বৃদ্ধি হয়, সুপ্রসব হয়ে থাকে। (৪) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা অন্য কোন কারণে অধিক বীর্যক্ষয় জনিত স্নায়ুবিক দুর্বলতা। সঙ্গমের পর অবসন্ন ও ক্লান্ত।
২৮. Kali-sulp (ক্যালি সালফ): (১) হলদে রঙের অনুত্তেজক স্রাব। যন্ত্রণা নানা স্থানে ঘুরে বেড়ায়, পঁচনশীল বাত। (২) রোগী অতি সহজে ক্রুদ্ধ হয়, মেজাজ ভয়ানক খিটখিটে, বড়ই একগুয়ে। পরিশ্রম বা লোকসঙ্গ মোটেও পছন্দকরে না, মানসিক অবস্থা বড়ই পরিবর্তনশীল। (৩) বিছানা ছাড়লে ও দাঁড়ালে মাথা ঘুরতে থাকে। কোন উজ্জ্বল জিনিষের প্রতি
তাকিয়ে থাকলে মাথা ঘুরে। মাথার যন্ত্রণা সন্ধ্যাবেলা,বদ্ধঘরে এবং উত্তাপে বাড়ে।শীতল বাতাসে ও মধ্যরাতের পর যন্ত্রণা উপশম। (৪) প্রমেহ রোগের হরিদ্রাবর্ণ বা পিচ্ছিল স্রাব এবং পূঁজের ন্যায় স্রাবযুক্ত পুরাতন প্রমেহ বা গ্লীট রোগ।
২৯. Lac-can (ল্যাক ক্যান): (১) রোগ লক্ষনের দিক পরিবর্তন। (২) স্মৃতি শক্তির দূর্বলতা, বিচার বুদ্ধির দূর্বলতা, স্নায়বিক দূর্বলতা। (৩) ঋতুকালে গলায় ব্যাথা, স্তনে ব্যাথা বা কাশি। (৪) পেটের মধ্যে শুন্যবোধ বা ক্ষুধার অতিশয্য।
৩০. Lac-Deflor (ল্যাক ডিফ্লোর): (১) দুধ খেতে অনিচ্ছা ও জীবনে বিতৃষ্ণা। (২) মাথা ব্যাথা ও কোষ্টবদ্ধতা। (৩) শীতার্ত ও স্থুলকায়। (৪) শোথ ও বহুমূত্র।
৩১. Melandrinum (মেলেন্ড্রিনাম): (১) বসন্ত ও হামের প্রতিষেধক। (২) টিকাজনিত কুফল, চোখে ও জিহ্বার মধ্যস্থলে লাল রেখা। । (৩) নখ ক্ষতযুক্ত, শ্বাস-প্রশ্বাস দুর্গন্ধযুক্ত ও পিপাসাহীনতা। (৪) কানে পুঁজ ও ছেলেদের মাথায় একজিমা ।
৩২. Merc-cor (মার্ক-কর): (১) আমাশয়ে রক্ত, কুন্থন ও পেট বেদনা, পেটের যন্ত্রণা অত্যধিক বাহ্যের পূর্বে, সময় ও পরে কুন্থন ইহার শ্রেষ্ঠ লক্ষণ। (২) মূত্রনালীর মুখ লাল, ফোলা, লিঙ্গমুন্ড গরম ও টাটায়। গাঢ় সবুজ স্রাব মূত্রনালীতে অত্যন্ত জ্বালা, প্রস্রাব গরম, অল্প ও ফোঁটা ফোঁটা রক্তময় বা রক্তপ্রস্রাব। (৩) গলার মধ্যে প্রদাহ, যন্ত্রণা, লাল ফোলা। আলজিব ফোলা, গিলতে কষ্ট হয়। গলায় চাপ সহ্য হয় না। গ্ল্যান্ড বড় শক্ত হয়। (৪) রাত্রে, শরৎকালে, গ্রীষ্মকালে, নড়াচড়ায়, মে মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত, টক দ্রব্য, সন্ধ্যাকালে, রতিক্রিয়ায়, বিকাল ৪টা হতে রাত ১০টার মধ্যে বৃদ্ধি। বিশ্রামে ও দিনে হ্রাস।
৩৩. Natrum-Mur (নেট্রাম মিউর): (১) বির্মষ, বিষন্নভাব, শান্তনায় বৃদ্ধি। (২) রৌদ্রে বৃদ্ধি এবং শীতল স্থানে উপশম। (৩) তিক্ত ও লবণ প্রিয়তা। (৪) প্রকাশ্য স্থানে প্রস্রাব করতে লজ্জাবোধ।
৩৪. Natrum-phos (নেট্রাম-ফস): (১) অম্লরোগ, টক ঢেকুর, টক স্বাদ ও টক বমি। (২) অতিরিক্ত শুক্রক্ষয়ের জন্য অজীর্ণ, বিনে স্বপ্নে রেতঃপাত, কোমরে অত্যন্ত দুর্বলতা, হাত পায়ে কম্পন, হাঁটুর দুর্বলতা। (৩) চক্ষু হতে হলুদ বর্ণের সরের ন্যায় পুঁজ বাহির হয়। (৪) স্ত্রীলোক বন্ধ্যা, যোনি হতে যে স্রাব বের হয় তাহা টকগন্ধ।
৩৪. Natrum-sulp (নেট্রাম সালফ): (১) জল, জলাভূমি ও জলীয় খাদ্যে বৃদ্ধি । (২) বিরক্ত,বিষন্নভাব ও আত্মহত্যার ইচ্ছা । (৩) প্রাতঃকালিন মলত্যাগ এবং মলত্যাগকালে প্রচুর বায়ু নিঃসরণ।(৪) নখ পঁচিয়া যাওয়া ।
৩৫. Sangunaria-can (স্যাঙ্গুইনেরিয়া ক্যান): (১) শরীরের দক্ষিণ দিকে রোগাক্রমণ, ডান দিকে শিরঃপীড়া। (২) উদরাময়ে উপশম। ইনফ্লুয়েঞ্জা সংশ্লিষ্ট কাশি, যক্ষ্মারোগ। (৩) গন্ডদেশে চক্রাকার রক্তিমাভা । (৪) নাকের মধ্যে পঁচনশীল ক্ষত, তৎসহ প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধময় হলদেটে স্রাব।
৩৬. Sarsaparilla (সার্সাপ্যারিলা): (১) সিফিলিস, সাইকোসিস বা পারদের অপব্যবহারজনিত দেহের শীর্ণতা বা ক্ষয়দোষ। (২) প্র¯্রাবের আগে বা পরে যন্ত্রণা। (৩) নাদাঁড়াইলে প্র¯্রাব হা না (কোনিয়াম)। (৪) ডান কিডনিতে পাথরী এবং দুর্গন্ধ জননেন্দ্রিয়।
৩৭.সেনেগা অফ (Senega off): (১) কাশতে কাশতে হাঁচি হয়, হাঁচি হয়ে কাশি বন্ধ হয়। বক্ষঃস্থলে শ্লেষ্মা ঘড় ঘড় করে। (২) শ্লেষ্মা সহ বক্ষঃস্থলে বেদনা থাকে। শ্লেষ্মা উত্তোলনে কষ্ট হয়। প্রচুর শ্লেষ্মা হয়। (৩) বক্ষঃস্থলে ক্ষুদ্র স্থানে জ্বালা ও সূঁচ ফোঁটানো ব্যথা হয়। (৪) ঝগড়াটে, অক্ষিপুট প্রদাহ অক্ষিপুট শুষ্ক এবং মামড়ি যুক্ত।
৩৮. Spongia Tosta (স্পঞ্জিয়া টোস্টা): (১) শ্বাসকষ্ট ও বুক ধড়ফড়ানি। (২) বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ। (৩) নিদ্রাকালে বৃদ্ধি। (৪) ঠান্ডা ও মুক্ত বাতাস পছন্দ, গরম খেলে কাশি কম পড়ে, প্রবল ক্ষুধা।
৩৮. Stramonium (স্ট্রামোনিয়াম): (১) প্রচন্ড প্রলাপ। (২) পর্যায়ক্রমে ধর্মভাব ও কামোম্মত্ততা। (৩) বাঁচালতা ও জলাতঙ্ক। (৪) আলোক ও সঙ্গী চায় কিন্তু রোগ যন্ত্রণার কোন অভিযোগ করে না।
৩৯. Symphytum off (সিম্ফাইটাম অফ): (১) চক্ষু গোলকের উপর আঘাত লাগলে পেশী বা শিরার আঘাত।(২) হাড় ভেঙ্গে গেলে বা মচকিয়ে গেলে। অস্থির ক্যান্সার।(৩) সূঁচ ফোটান মত ব্যথা। (৪) মস্তকের পশ্চাৎদিকে, মস্তকের উপরে এবং ললাটে বেদনা।
৪০. Stannum met (ষ্ট্যানাম মেট ): (১) বুকের মধ্যে শূন্যবোধ বা দুর্বলতা। (২) বিষন্নতা ও ক্রন্দনশীলতা। (৩) ব্যাথা ধরে ধীরে বৃদ্ধি, ধীরে ধীরে কমে আসে, চাপিয়া ধরিলে উপশম। (৪) বামপাশে চাপিয়া শুইলে উপশম।
৪১. Syzygium Jamb (সিজিজিয়াম জাম্ব): (১) শর্করাযুক্ত বহুমূত্রে, চর্মের উপর পুরাতন ক্ষত। (২) প্রবল পিপাসা, দুর্বলতা, শীর্ণতা, অধিক পরিমানে বার বার প্রস্রাব ত্যাগ। (৩) প্রস্রাবের পরিমাণ অত্যধিক, আপেক্ষিক গুরুত্বের মাত্রা উচ্চ।
৪২. Teucrium mar (টিউক্রিয়াম ম্যার): (১) গুহ্যদ্বারে চুলকানি কেঁচো ক্রিমি এবং সূত্রবৎ ক্রিমি তৎসহ রাতে অস্থিরতা। (২) শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির উপর কোমল মাংসাঙ্কুর সমূহ। (৩) নাসারন্দ্রের পঁচা ঘা। আঘ্রাণ শক্তির অভাব। (৪) নাসারন্দ্রে সুড়সুড় করে।
৪৩. Urtica urens (আটিকা ইউরেন্স): (১) প্রসূতিদিগের দুধের অভাবে আর্টিকা ইউরেন্স সেবন করতে দিলে স্তনে দুধ হয়ে থাকে। (২) পর্যায়ক্রমে আমবাত ও বাতের বেদনা দেখা দেয়। ইহার সমস্ত উদ্ভেদ ঘুমালে কমে যায়, আবার ঘুমের পর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। (৩) স্ত্রীজননেন্দ্রিয় হতে প্রচুর রক্তস্রাব, পর্যায়ক্রমে রক্তস্রাব ও প্রদরস্রাব, স্রাব যেখানে লাগে সে স্থান হেজে যায়। (৪) আগুনে পুড়ে গেলে অথবা গরম জল, তেল, ঘি ইত্যাদি পড়ে ফোস্কা হলে।
৪৪. Ustilago Maydis (অ্যাস্টিল্যাগো মেডিস): (১) জরায়ুর যে কোন রক্তস্রাব রক্ত উজ্জ্বল লাল বর্ণের, কখন বা ঘোর লাল ও চাপ চাপ। (২) যে সকল রমণীর প্রায় গর্ভপাত হয় তাহাদের ঔষধ। (৩) পুরুষদের হস্তমৈথুনের অদম্য ইচ্ছা, অশ্লীল স্বপ্নদর্শন, স্বপ্নদোষ, মানসিক অস্থিরতা, অন্ডকোষ উগ্র বেদনা ও স্ফীতি, কোমরে বেদনা। (৪) নানা প্রকার চর্মপীড়া, চুলকানী মাথায় ও শরীরে একজিমা বা কাউর ঘা, মাথায় টাকপড়া, চুল ও নখ উঠে যাওয়া।