হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নিজস্বকথাঃ ২য় পর্যায়

১. Abis Nigra (এবিস নাইগ্রা): (১) পাকস্থলীর পীড়ার বায়ু ও অম্লের লক্ষণের সহিত হৃদপিণ্ডের পীড়া। (২) আহারের পর পেট বেদনা, অতিরিক্ত চা পান ও তামাক খাওয়ার জন বদহজম। (৩) বুকের ভিতর বা ভুক্তদ্রব্য পেটের ভিতর শক্ত গোলার মত আটকে থাকার অনুভুতি। (৪) দুপুরে ও রাতে অত্যন্ত ক্ষুধা, সকালে ক্ষুধাহীনতা।
২. Acid Chryso (এডিস ক্রাইসো): (১) দাদ, সোরায়সিস, হার্পিস, একনি-রোজেসিয়া, নি¤œাঙ্গের একজিমা, খোঁস –পাচড়া। (২) চর্ম রোগের অসহনীয় চুলকানি, প্রচুর পরিমানে দুর্গন্ধ স্রাব, মাদার বাহ্যিক ব্যবহার্য। (৩) চক্ষুর শ্বেত ক্ষেত্রের প্রদাহ। (৪) শিশুর অধিক পরিমানে পিত্ত বাহ্যে ও পিত্ত বমন।
৩. Acid Fluor (এডিস ফ্লোর): (১) গরম কাতরতা ও চঞ্চলতা। (২) স্রাব অত্যন্ত ক্ষতকর ও দূর্গন্ধযুক্ত। (৩) সঙ্গমেচ্ছার প্রাবল্য ও কূফল। (৪) প্রস্রাব বাধা প্রাপ্ত হইলেই মাথাব্যথা।
৪. Aesculus Hip (ইস্কুলাস হিপ): (১) মলদ্বারে অস্বস্তিবোধ। (২) কটিবাত,কোমরে ব্যাথা। (৩) পূর্নতাবোধ বা অঙ্গ-প্রতঙ্গে ভারবোধ। (৪) বেদনা ভ্রমনশীল।
৫. Agaricus (অ্যাগারিকাস): (১) বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নর্তন, স্পন্দন বা আক্ষেপ। (২) মেরুদন্ডের স্পর্শকাতরতা। (৩) আড়া আড়ি ভাবে রোগাক্রমন- বাম উর্ধ্বাঙ্গ ও ডান নিম্নাঙ্গ। (৪) শরীরে গরম বা ঠান্ডা সূচিবিদ্ধবৎ বা হুল ফোটানোর অনুভূতি।
৬. Allumina (অ্যালুমিনা): (১) স্মৃতিভ্রংশ ও পক্ষাঘাত সদৃশ্য দূর্বলতা। (২) মলত্যাগে কষ্ট। (৩) শীতার্ততা ও শুস্কতা। (৪) আলু সহ্য হয় না।
৭. Aloe Soc (অ্যালো সোক): (১) অসাড়ে মলত্যাগ ও অক্ষমতা। (২) অতিরিক্ত বায়ুনি:সরন ও মলদ্বারে পূর্নতাবোধ। (৩) আহারে বৃদ্ধি, প্রাতঃকালে বৃদ্ধি। (৪) ঠান্ডা পানিতে অর্শের উপশম।
৮. Anacardium Ori (অ্যানাকার্ডিয়াম ওরি): (১) স্মৃতি শক্তির দূর্বলতা। (২) অভিশাপ ও শপথ করার ইচ্ছা। (৩) খাদ্যে হ্রাস। (৪) মলদ্বারে হুল ফোটানো অনুভুতি।
৯. Anacardium-occi (অ্যানাকার্ডিয়াম অক্সি): (১) চর্মের পীড়ায় ফোস্কার ন্যায় উদ্ভেদ, বিশেষতঃ মুখমন্ডলে, অসহ্য চুলকানি। (২) ইরিসিপেলাস, ডানদিক হতে বামদিকে যায়। কুষ্ঠরোগ, অসাড়। (৩) পায়ের তলার চামড়া ফাঁটা-ফাঁটা, আঁচিল, দাঁদ। (৪) ঘাড়ের বাতের বেদনায় ঘাড় সেঁটে ধরে থাকার মত অনুভূতি, একটু নড়াচড়ায় বেদনা বৃদ্ধি।
১০. Antim Tart (অ্যান্টিম টার্ট): (১) নিদ্রার সাথে শ্বাসকষ্ট ও নিদারুন দূর্বলতা। (২) মুখমন্ডল ঘর্মাক্ত ও নীলাভ। (৩) ক্রুদ্ধভাব ও কোলে উঠিতে চাওয়া। (৪) টিকার কুফল।
১১. Argent Nitric (আর্জেন্ট নাইট্রিক): (১) ব্যস্ততা ও ত্রস্তভাব। (২) চিনি বা মিষ্টি খাবার প্রবল ইচ্ছা, কিন্তু তা সহ্য হয় না। (৩) মলের রং পরিবর্তন ও বায়ুনি:সরন। (৪) কাটা/হুল ফোটার মত বেদনা।
১২. Aurum Met (অরাম মেট): (১) আত্মহত্যার ইচ্ছা, জীবনে বিতৃষ্ণা। (২) রাত,ঠান্ডা ও শীতকালে বৃদ্ধি। (৩) বেদনা ভ্রমনশীল। (৪) মানসিক ও শারীরিক ব্যস্তবাগীশ ভাব।
১৩. Baryta Carb (ব্যারাইটা কার্ব): (১) খর্বতা, মানসিক ও শারিরীক। (২) টনসিল বৃদ্ধি, ধাতুগত গন্ডমালা দোষ। (৩) বাম পাশ চেপে শুইলে বৃদ্ধি। (৪) অন্যমনস্কে উপশম।
১৪. Borax (বোরাক্স): (১) আতঙ্ক নিম্নগতিতে। (২) শব্দভীতি। (৩) চুলে জটা, মুখে ঘা। (৪) শ্বেতপ্রদর, বন্ধ্যাত্ব ও যোনি চুলকানি।
১৫. Calc-Phos (ক্যাল্কে-ফস্): (১) স্ক্রুফিউলা বা ধাতুগত দুর্বলতা ও উদরাময়। (২) মানসিক পরিবর্তনশীলতা। (৩) ঠান্ডায় বৃদ্ধি এবং রোগের কথা মনে পড়লে বৃদ্ধি। (৪) ঋতুকালে মুখমন্ডলে উদ্ভেদ। (অস্থির উপর ভাল কাজ করে।)
১৬. Cantharis (ক্যান্থারিস): (১) জ্বালা, আগুনের মত জ্বালা ও প্রদাহ। (২) মূত্রকৃচ্ছ্রতা সাথে অসহ্য বেগ। (৩) রক্তস্রাব, নাক মুখ মলদ্বার মূত্রদ্বার ইত্যাদি হতে। (৪) টনসিল প্রদাহ, মুখে ঘা, হাতে পায়ে শোথ ও উদরী। (৫) আমাশয় তৎসহ মল যেন অন্ত্র চেঁছে ফেলছে।
১৭. Carbo Anim (কার্ব্বো অ্যানিম): (১) বয়োঃব্রণ, টিউমার, রক্তার্বুদ, মুখের ব্রণ, পঁচনশীল ক্ষত, গ্রন্থির বৃদ্ধি। স্তন্যগ্রন্থি পাথরের ন্যায় শক্ত। (২) শুষ্ক ও ঠান্ডা খোলা হাওয়া ভাললাগে না। রোগী অত্যন্ত শীতকাতর। (৩) সর্ব প্রকার স্রাব- ঋতুস্রাব, প্রদরস্রাব, উদরাময় অত্যন্ত হীনবলকারী, জ্বালাকর ও দুর্গন্ধযুক্ত। (৪) কঠিন ক্যান্সারে ফলপ্রদ: স্তনের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত স্থান শক্ত ও নীল বর্ণ।
১৮. Chelidonium (চেলিডোনিয়াম): (১) ডান স্ক্যাপুলার নিম্ন প্রদেশে বেদনা, পাকস্থলীর ব্যথা ডান স্ক্যাপুলা পর্যন্ত প্রসারিত হয়। (২) আহারে উপশম, গরম দুগ্ধে উপশম। (৩) দক্ষিণ দিকে রোগাক্রমণ, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি উত্তাপে উপশম। (৪) বিকাল ৪টা বা ভোর ৪টায় বৃদ্ধি।
১৯. Cina mari (সিনা ম্যারি): (১) ক্ষুধা, রাক্ষুসে ক্ষুধা। (২) নাক, মুখ কড়মড় করা। (৩) স্পর্শকাতরতা ও ক্রুদ্ধ স্বভাব। (৪) শিশু কোলে থাকিতে চায়। (৫) মিষ্ঠান্ন খাবার প্রবল ইচ্ছা।
২০. Colocynth (কলোসিন্থ): (১) ব্যাথা চেপে ধরলে উপশম। (২) অসুস্থতা ক্রোধজনিত। (৩) আহারে বৃদ্ধি। (৪) ব্যাথার সাথে বমি।
২১. Conium (কোনিয়াম): (১) অবরুদ্ধ সঙ্গমেচ্ছার কূফল। (২) শয়নকালে মাথাঘোরা ও ঘুমকালে ঘর্ম। (৩) শীতার্ততা, পক্ষাঘাত সদৃশ্য দূর্বলতা। (৪) বাধাপ্রাপ্ত প্রস্রাব।
২২. Dioscorea (ডায়োস্কোরিয়া): (১) পেটের ব্যথা সামনের দিকে ঝুকলে বৃদ্ধি। (২) মেরুদন্ড খাড়া করে দাঁড়িয়ে থাকলে উপশম বা পিছনে হেলিয়া থাকলে উপশম। (৩) ব্যথা ক্ষুদ্র স্থান হতে শরীরের বহুদূর পর্যন্ত ছুটে যেতে থাকে। (৪) তৃষ্ণাহীনতা, এক এক রাতে একাধিক বার স্বপ্নদোষ, তাতে অত্যন্ত দুর্বলতা বিশেষতঃ হাঁটুতে। (৫) আঙ্গুল হাড়ায় খোচানো বা ফুটানো বেদনায় ব্যবহৃত হয় প্রাথমিক অবস্থায়।
২৩. Drosera (ড্রসেরা): (১) রাতে বালিশে মাথা রেখে শয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে কাশি। (২) গভীর কাশি ও সেই সঙ্গে স্বরভঙ্গ। কাশির সময় গলার স্বরটি মোটা হয় এবং বুকে হাত দেয়। (৩) অস্বাচ্ছন্দতা, পড়ার সময় এক বিষয়ে মন নিবিষ্ট রাখা যায় না। ব্যাকুলতা ও বিমর্ষভাব। (৪) মুখমন্ডলের উত্তাপ, হস্তের বরফবৎ শীতলতা ও পিপাসাহীনতাসহ সর্ব শরীরের জ্বর জনিত কম্পন।
২৪. Elaps Cor (ইল্যাপ্সকর): (১) রক্তস্রাব দোয়াতে কালির ন্যায় কালবর্ণের, ঠাণ্ডা অসহ্য। (২) ঠাণ্ডা অসহ্য, একটু ঠাণ্ডায় সর্দি হয়। (৩) কান, নাক ও ফুসফুসের পীড়া। (৪) ডানদিকের পক্ষাঘাত, বগলের গ্ল্যাণ্ড পাঁকে।
২৫. Formica Rufa (ফরমিকা রুফা): (১) বাত বেদনা, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি ও চাপে উপশম, ডানদিকে অধিক আক্রান্ত। (২) পলিপ, গ্যাঁজের মত টিউমার। (৩) পাকস্থলীর উর্দ্ধাংশে চাপবোধ ও নিম্নাঙ্গে দুর্বলতা। (৪) বুকে চাপবোধ ও পেশীর দুর্বলতা।
২৬. Fraxinus Am (ফ্রাক্সিনাস এম): (১) জরায়ুর স্থানচ্যূচি। (২) জরায়ুর টিউমার। (৩) পুরাতন বাত, গেঁটে বাত, গ্রন্থিস্ফীতি। (৪) উপরের পেটে বেদনা, ন্যাবা, গরহজম।
২৭. Guaiacum (গুয়েকাম): (১) ব্যাথা- গরম ও নড়াচড়ায় বৃদ্ধি। (২) পর্যায়ক্রমে দূর্গন্ধ ঘাম ও প্রস্রাব। (৩) পায়ের শিরা টানিয়া ধরে, দাঁতে দাঁতে চাপিলে ব্যথা। (৪) ঋতুকষ্ট, ঋতুরোধ ও ডিম্বকোষ প্রদাহ।
২৮. Hamamelis (হ্যামামেলিস): (১) রক্তস্রাব কালচে, আক্রান্তস্থানে টাটানি ব্যথা, রক্তস্রাবের আগে মাথায় তীব্র যন্ত্রণা, রক্ত অল্পঅল্প করে নির্গত হয়, রোগী দুর্বল ও ক্লান্তহয়ে পড়ে। (২) গণোরিয়া হতে বা অন্য কোন কারণে অন্ডদ্বয়ে টাটানো ব্যথা। প্রদাহের স্থানটি উত্তপ্ত, শুক্রবহা শিরায় ব্যথা ও স্ফীতি। (৩) অর্শের বলিগুলি লাল বা নীল রঙের, গুহ্যদ্বারে জ্বালা ও টাটানো ব্যথা। বাহ্যবলিতে ভালো কাজ করে। (৪) চক্ষু প্রদাহ, চক্ষুলাল, চোখে কিছু পড়লে বা অস্ত্র চিকিৎসার পর চোখ উঠা।
২৯. H.B.S. Agtibe (এইচ.বি.এস. এজটিভ): (১) ঘুমের পর হঠাৎ রোগলক্ষণ প্রকাশ। (২) ক্ষুধাহীনতা ও বমি ভাব। (৩) মাথায় যন্ত্রণা। (৪) পেটবেদনা ও অস্বস্তিবোধ।
৩০. Hypericum (হাইপেরিকাম): (১) ইঁদুর বিড়ালের কামড়াইলে, হাতে পায়ে সূচ বা পেরেক ফুটিলে। (২) মেরুদণ্ড মস্তিষ্ক বা স্নায়ুকেন্দ্রে আঘাত, অস্ত্রোপচার। (৩) আঘাত বা ক্ষতজনিত ধনুষ্টঙ্কার। (৪) ব্যথা স্নায়ুপথ দিয়ে উর্ধ্বে উঠে এবং উত্তাপে প্রশমিত।
৩১. Ignatia (ইগ্নেশিয়া): (১) অসুস্থতা অবরুদ্ধ মনোভাবজনিত। (২) নির্জনপ্রিয়তা ও দীর্ঘ-নি:শ্বাস। (৩) সান্তনায় বৃদ্ধি ও মানসিক পরিবর্তনশীলতা। (৪) বিরুদ্ধভাবাপন্ন হ্রাস বা বৃদ্ধি।
৩২. Insulinum (ইনসুলিনাম): (১) পরিপূরক অবস্থার সাথে বর্ধিত লিভার যেমন উদরাময়, বর্ধিত লিভারের সাথে দীর্ঘস্থায়ী পরিপূরক টিউবারকুলার গ্রন্থি।(২) দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়াসহ লিভারকে বড় করা। (৩) দীর্ঘস্থায়ী একজিমা সহ লিভারকে বড় করা। (৪) কোমলতা ছাড়াই শিশুর যকৃতপীড়া।
৩৩. Iodium (আয়োডিয়াম): (১) ধাতুগত গন্ডমালা দোষ। (২) ক্ষুধার প্রাবল্য। (৩) গরম কাতরতা। (৪) আত্মহত্যার ইচ্ছা ও অস্থিরতা।
৩৪. Ipecac (ইপিকাক): (১) বমনেচ্ছা ও বমি। (২) তৃষ্ণাহীনতা ও পরিস্কার জিহবা। (৩) শ্বাসকষ্ট। (৪) রক্তস্রাব।
৩৫. Iris Ver (আইরিশ ভার): (১) স্থান পরিবর্তনশীল বেদনা, বামদিকের সাইটিকা। (২) গল গ্রন্থি, পাচক গ্রন্থি, লালা গ্রন্থি, অন্ত্র গ্রন্থি এবং পাকাশয়, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি বিশেষঃ ভাবে আক্রান্তহয়। (৩) কোষ্ঠকাঠিন্য, সমগ্র অন্ননালীতে জ্বালা। (৪) আধকপালে শিরঃপীড়া এবং কলেরা জাতীয় উদরাময়।
৩৬. Kali Brom (কেলি ব্রোম): (১) দুর্দমনীয় কামভাব তজ্জন্য উম্মাদভাব বা মৃগী। (২) সর্বদা ঘুমাইতে চায়, দিনেও জাগিয়া থাকতে পারে না। (৩) মানসিক উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনিত আক্ষেপ, অনিয়মিত ঋতু, বন্ধ্যাত্ব। (৪) পিতামাতার উপদংশ এবং পানাসক্তির কারণে মৃগী।
৩৭. Kreosot (ক্রিয়োজোট): (১) ক্ষতকর স্রাব। (২) জ্বালা। (৩) দূর্গন্ধ। (৪) রক্তস্রাব ও অসাড়ে প্রসাব। (৫) অতুষ্টি, যাহা চায় তাহা দিলে তা ছুড়ে ফেলে।
৩৮. Lachnanthes (ল্যাকনান্থিস): (১) ঘাড়বাত, ঘাড় আড়ষ্ট। (২) থাইসিস বা য²াকাশ পীড়ার প্রথম আক্রমন অবস্থার কাশি। (৩) হাত পায়ের তলায় জ্বালা। (৪) পেটডাকা- মলবেগ কিন্তু বাহ্যে হয় না, নিউমোনিয়াসহ পেটফোলা।
৩৯. Lemna Minor (লেমনা মাইনর): (১) নাকের ভিতর অর্বুদ। (২) নাকের অস্থি ফোলা ও নাকবন্ধ। (৩) গাঢ় সর্দিস্রাব ও দূর্গন্ধ। (৪) বর্ষায় বৃদ্ধি।
৪০. Lobelia Inflata (লোবেলিয়া ইনফ্লাটা): (১) হাঁপানী ও যক্ষ্মায় উদরের উপরভাগে অবসন্নতা ও দুর্বলতাবোধ। (২) স্রাব বা উদ্ভেদ চাপা পড়ার পর যে সকল উপসর্গ দেখা দেয়। (৩) নিজে তামাকে অভ্যস্থ কিন্তু তামাকের গন্ধ সহ্য করতে পারেনা। (৪) বর্ধিত ক্ষুধা সহ প্রবল লালাস্রাব।
৪১. Magnesia phos (ম্যাগ্নেসিয়া ফস): (১) ব্যথা সূচীবিদ্ধবৎ কর্তনবৎ তড়িৎ প্রবাহের মত হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়। স্থান পরিবর্তন করে। (২) চাপে ও তাপে উপশম। (৩) শরীরের দক্ষিণ পার্শ্ব আক্রমণ করে। (৪) সেতার বা পিয়ান বাদক দিগের হাতে খিল ধরলে এবং লেখকদের অনেক্ষণ লিখবার পর হাতে খিলধরা ও অবশভাব হলে।
৪২. Opium (ওপিয়াম): (১) অর্ধ নিমীলিত চোখ ও নিদ্রালুতা। (২) পক্ষাঘাত সদৃশ দূর্বলতা ও বেদনা বোধের অভাব। (৩) নিদ্রাকালে নাক ডাকা বা গলায় ঘড়ঘড় শব্দ। (৪) গরমে বৃদ্ধি ও গরম ঘাম।
৪৩. Petroleum (পেট্রোলিয়াম): (১) প্রত্যেক শীতকালে আঙ্গুল ফাটে ও পায়ে দূর্গন্ধ ঘাম। (২) গাড়ীতে বা নৌকায় চড়িতে পারে না। (৩) উদরাময়,দিবাভাগে বৃদ্ধি। (৪) পেট ব্যাথা, আহারে উপশম।
৪৪. Petroselinum (পেট্রোসেলিনিয়াম): (১) প্রমেহ রোগের শেষ অবস্থ। (২) মূত্রযন্ত্রেরপীড়া। (৩) হঠাৎ প্রবল মূত্রবেগ এবং পরক্ষনেই মুত্রত্যাগ। (৪) মূত্রনালীতে ভয়ানক জ্বালা ও অনবরত মূত্রবেগ।
৪৫. Podophyllum (পডোফাইলাম): (১) প্রাতঃকালে প্রচুর ভেদ। (২) ভেদ অত্যান্ত দূর্গন্ধ। (৩) পর্যায়ক্রমে উদরাময় ও কোষ্ঠবদ্ধতা বা পর্যায়ক্রমে শির:পীড়া ও উদরাময়। (৪) মলদ্বারে শিথিলতা বা হারিশ বাহির হয়ে পড়ে।
৪৬. Sabina Off (স্যাবাইনা অফ): (১) সেক্রাম হতে পিউবিস বা পাছা হতে প্রসাবদ্বার পর্যন্ত ধাবমান ব্যাথা। (২) প্রবল রক্তস্রাবের সাথে কাল কাল রক্তের চাপ। (৩) স্রাব সান্য নড়াচড়াতেই বৃদ্ধি পায়। (৪) গান বাজনায় বিরক্তি।
৪৭. Sangunaria Nit (স্যাঙ্গুনেরিয়া নাইট): (১) নাকে পলিপাস। (২) পানির মত সর্দিস্রাব ও হাঁচি। (৩) ডানদিকের টনসিলের বেদনা, গিলিতে কষ্ট। (৪) স্বরযন্ত্রে জ্বালা ও ক্ষতের মত বেদনা।
৪৮. Secale cor (সিকেলীকর): (১) জ্বালা ও গরমকাতরতা। (২) রক্তস্রাব ও আক্ষেপ। (৩) জরায়ুর ও মলদ্বারের শিথিলতা। (৪) রাক্ষসে ক্ষুধা ও অদম্য পিপাসা।
৪৯. Thyroidinum (থাইরোডিনাম): (১) দেহ ও মনের খর্বতা। (২) অতিরিক্ত মোটা হইতে থাকা কিম্বা অতিরিক্ত রক্তহীনতা ও শীর্ণতা। (৩) চর্মরোগ ও চুল উঠা। (৪) উম্মাদভাব ও অনিদ্রা।
৫০. Zincum Met (জিঙ্কাম মেট): (১) স্নায়ুবিক অবসাদ। (২) পদদ্বয়ের অস্থিরতা বা পদসঞ্চালন। (৩) অবরোধ জনিত বৃদ্ধি বা বাধাপ্রাপ্ত অসুস্থতা। (৪) নির্গমনে নিবৃত্তি।