Spigelia (স্পাইজেলিয়া): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

স্পাইজেলিয়া অ্যানথেলমিয়া (Spigelia Anthelmia)
D.H.M.S. (3rd year).
♣ সমনামঃ পিঙ্করুট, ওয়ার্ম গ্রাস, গোলাপি মূল।
♣ মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক।
♣ সাইডঃ বামপাশ।
♣ কাতরতাঃ শীতকাতর।
♣ উপযোগিতাঃ জৈব উত্তাপের অভাব, স্তনদুগ্ধপায়ী শিশু। রক্তশূন্যতায় দূর্বল হয়ে পড়েছে, বাতরোগে ভুগছে এমন লোকদের ও যেসব শিশু স্ক্রোফুলাধাতুবিশিষ্ট ও বড়ো কৃমি বা ছোট কৃমির উটসর্গে ভুগলে (সিনা,স্ট্যানাম) তাদের পক্ষে উপযোগী। যাদের চুল হালকা পাতলা, ফ্যাকাসে চেহারা, রোগাপাতলা, মুখ ফোলা ফোলা, দুর্বল চামড়া মাটি মাটি হলদেটে ভাব, কোঁচকানো তাদের পক্ষে প্রযোজ্য।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ স্নায়ু, চোখ, ঘাড়, হৃদপিণ্ড, রক্ত, ফাইব্রাস টিস্যু, বামপাশ।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ চোখ, হৃদপিণ্ড ও স্নায়ুমণ্ডলের সাথে এর বিশেষ সম্বন্ধ। পঞ্চম স্নায়ুর শূল একটি সপরিস্ফুট লক্ষণ। এটি বিশেষভাবে রক্তশূন্য, দুর্বল, বাতগ্রস্ত ও গণ্ডমালা দোষদুষ্ট লোকের পক্ষে উপযোগী। ছুরি মারা মতো ব্যথা। হৃদরোগ ও স্নায়ুশূল। অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা। আক্রান্ত অংশে শীতলতাবোধ এবং অভ্যন্তরভাবে থর থর করে কম্পন। কৃমি বর্তমান থাকার জন্য লক্ষণগুলোর ওষুধ। শিশু নাভিদেশটিকে অতীব যন্ত্রণাদায়ক বলে নির্দেশ করে (গ্র্যানেটাম, নাক্স মস্কেটা)।
♣ সারসংক্ষেপঃ দুর্বল, রোগাপাতলা, রক্তশূন্য, বাতরোগ, কৃমি ও স্ক্রোফুলাধাতুবিশিষ্ট। আক্রান্ত অংশে শীতলতাবোধ এবং অভ্যন্ত রভাবে থর থর করে কম্পন। বামদিকে আধকপালে মাথা ব্যথা; মনে হয় যেনো মাথার চারদিকে পেটি দিয়ে বাঁধা। প্রাতে, সাধারণভাবে ঠাণ্ডায় দৈহিক পরিশ্রমে, সঞ্চালনে, নিচে বসতে গেলে, ধুমপানে, মুক্ত বাতাসে, হাঁটলে, জলোহাওয়ায়, স্পর্শে ও সূর্যের গতির সাথে সাথে বাড়ে। গোসলে, আহারকালে, গরম খাদ্যে, আক্রান্ত অঙ্গে হাত রাখলে, উত্তাপে ও মাথা উঁচু স্হানে রেখে ডান দিকে শয়নে কমে। বামদিকে রোগাক্রমণ ও গোসলে ভীতি। চোখ পাশ ফিরিয়ে তাকালে মাথা ঘোরায়। নড়াচড়া করলে শ্বাসকষ্টের সাথে শ্বাসরুদ্ধতা বা শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার ভয় হয়।
♣ অনুভূতিঃ ১) বামদিকে আধকপালে মাথা ব্যথা; মনে হয় যেনো মাথার চারদিকে পেটি দিয়ে বাঁধা। ২) পোকা হাঁটার মতো অনুভূতি: দেহের বাইরের অংশে, অস্হিগুলোতে। ৩) ভারবোধ: বাহ্যিকভাবে, অভ্যন্তরীণভাবে।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ ১) নিচের দিকে তাকালে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবার প্রবণতা হয়। ২) কপালের বাম পাশের উন্নত অংশের ছিন্নকর ব্যথা হয়। ৩) মল ত্যাগকালে মাথার পাশে ব্যথা হয়।
< বৃদ্ধিঃ প্রাতে, সাধারণভাবে ঠাণ্ডায়, ঠাণ্ডা লাগালে পরে, দৈহিক পরিশ্রমে, অঙ্গের সঞ্চালনে, নিচে বসতে গেলে, মুক্ত বাতাসে, হাঁটলে, স্পর্শে, নড়াচড়ায়, মৈথুনে, বামপাশে, তামাক সেবনে, সঙ্গমে, আহারান্তে।
> হ্রাসঃ গোসলে, আক্রান্ত অঙ্গে পানি দিলে, আহারকালে, পোশাক ঢিলা করে দিলে, গরম খাদ্যে, আক্রান্ত অঙ্গে হাত রাখলে, শুয়ে থাকলে, শুয়ে থাকার পরে, একপাশে চেপে শুলে, নিচে বসতে গেলে, ঘুমের পরে, দাঁড়ালে, তামাকে, ঘুম থেকে জাগরণে, বিশ্রামে, উত্তাপে, নিশ্বাস গ্রহণে, স্হির থাকলে, নির্মল বায়ুতে, মাথা উঁচু স্হানে রেখে ডান দিকে শয়নে (আর্স, ক্যাকটাস, স্পঞ্জিয়া)।
♣ কারণঃ ক্ষুধা, অতিরিক্ত যৌনক্রিয়া, ঘাম।
♣ অনুপূরকঃ অ্যাকোন, বেল, অার্নি, পালস, স্পঞ্জিয়া, আর্স, ডিজি।
♣ বর্জনীয় খাদ্যঃ ধুমপান।
♣ অপথ্যঃ দুধ, ঠাণ্ডা পানি, চা, কর্পূর।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ অরাম, ক্যাম্ফ, মার্ক, কলচি, পালস, ককোলাস।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ অরাম মেট, কলচিকাম, মার্ক-স, টেবে।
♣ প্রয়োগঃ ১) ৬ হতে ৩০ শক্তি স্নায়ু সংক্রান্ত উপসর্গে, ২ হতে ৩ শক্তি প্রদাহজনিত উপসর্গে – বোরিক, ২) স্নায়ুশূলে উচ্চশক্তি, হৃদলক্ষণে নিম্নশক্তি ব্যবহার্য- হেরিং ।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা স্পাইজে প্রয়োগ করতে পারবো।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ (ক্যান্ট রেপার্টরী অনুযায়ী)
১) মনোসংযোগ: বিদ্যাভ্যাস, পঠন পভৃতিকালে- A= নাক্স-ভ। B= ইথু,অ্যাগ্নাস, ব্যারা-কা, ড্রসে। C= অ্যাকোন, অ্যালু, অ্যাসের, ব্যারা-মি, বেল, কার্বো-সাল, কস্টি, ক্যামো, কফি, কর্না, ফ্যাগু, হেলি, ক্যালি-কা, ল্যাকে, ন্যাট্র-কা, অক্সা-অ্যাসি, স্পাইজে, সালফ।
২) পূর্ণ বিশ্বাস করার প্রবৃত্তি (Confiding) – C= হাইড্রোকো, মিউ-অ্যাসি, স্পাইজে।
৩) ভয়, আলপিনের- B= সাইলি, স্পাইজে।
৪) উত্তেজনাপ্রবণতা: শীতাবস্হায়- A= ক্যাল্ক, ক্যাপসি, কোনি, লাইকো, প্লাটি, রিউম। B= আর্স, ইগ্নে, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যসি, নাক্স-ভ, পেট্রো, পালস, রাস, স্যাবাডি, স্পাইজে, সালফ।
৫) আত্মহত্যার প্রবৃত্তি (Suicidal disposition) / আবেগ নিজেকে ধ্বংস করতে চায়- (Impulse to destroy himself) -A= অরাম, অরাম-মি, ন্যাট্র-সাল। B= অ্যানাকা, অ্যান্টি-ক্রু, অ্যান্টি-টা, আর্স, ক্যাম্ফ, ক্যাপসি, চায়না, সিমিসি, হিপার, হায়োস, ক্যালি-ব্রো, ল্যাক-ডি, মার্ক, নাক্স-ভ, প্লাম্বা, সোরিন, পালস, সিপি, স্পাইজে, স্ট্যামো, জিঙ্ক।
৬) কাঁদে: উত্তাপাবস্হায়- A= অ্যাকোন, বেল, পালস, স্পঞ্জি, সালফ। B= ক্যাপসি, লাইকো, পেট্রো, স্পাইজে। C= অ্যাপিস, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যামো, কফি, কুপ্রা, গ্র্যাফ, ইগ্নে, ইপি, প্ল্যাটি, স্ট্র্যামো, টিলি-ইউ, ভিরেট।
৭) লিখন কাজে ইচ্ছা- C= চায়না, স্পাইজে।
৮) প্রাতে (Morning) বাড়ে- A= অ্যাগারি, অ্যামন-মি, আর্জ-মে, আর্স-আই, অরাম, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফ্লু, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-সাল, কার্বো-ভে, ক্যামো, চেলিডো, সিনা, ক্রোকা, ক্যালি-বাই, ক্যালি-নাই, ল্যাকে, ন্যাট-আর্স, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ওনোস, পেট্রো, ফস-অ্যাসি, ফস, পালস, রডো, রাস, রোমেক্স, সিপি, স্পাইজে, স্কুই, সালফ, ভ্যালের ।
৯) গোসলে (Bathing) ভীতি- A= অ্যামন-কা, অ্যান্টি-ক্রু, ক্লিমে, সোরিন, রাস, সিপি, স্পাইজে, সালফ।
১০) সাধারণভাবে ঠান্ডায় বাড়ে-(Cold in general agg)- A= আর্স, ব্যারা-কা, ক্যাল্ক-আর্স, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফ্লু, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সিলি, ক্যাপসি, কস্টি, চায়না, ডালকা, গ্র্যাফ, হিপার, হাইপেরি, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, লাইকো, ম্যাগ-ফস, মস্কাস, ন্যাট্র-আর্স, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, সোরিন, পাইরো, র্যানান-বা, রাস, রিউমেক্স, স্যাবাডি, সিপি, সাইলি, স্পাইজে, স্ট্রনসি।
১১) ঠাণ্ডা লাগালে পরে বাড়ে- A= আর্স, ব্যারা-কা, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যামো, চায়না, ডালকা, গ্র্যাফ, হিপার, হায়োস, মার্ক, নাক্স-ভ, পালস, পাইরো, র্যানান-বা, রাস, সিপি, সাইলি, স্পাইজে, সাল-অ্যাসি।
১২) আক্ষেপ: মৃগীরোগ সদৃশ- পেছনের দিকে- A= ওপি, স্পাইজে। B= বেল, ইগ্নে, ইপি, ওন্যান, স্ট্র্যামো। C= ক্যান্হা, চায়না, সাইকু, নাক্স-ভ, রাস।
১৩) দৈহিক পরিশ্রমে বাড়ে (Exertion, physical, agg.)- A= অ্যালু, আর্নি, আর্স, আর্স-আই, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, ককুল, কোনি, ফেরা-আই, জেলস, আই, লরো, ন্যাট্র-আর্স , ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, পিক্রি-অ্যাসি, রাস, সেলি, সিপি, স্পাইজে, স্পঞ্জি, স্ট্যানা, স্ট্যাফি, সালফ।
১৪) পোকা হাঁটার মতো অনুভুতি (Formication,external parts) A= দেহের বাইরের অংশে- অ্যাকোন, আর্নি,কলসি,নাক্স-ভ, প্লাটি,রাস, সিকেলি, সিপি,স্পাইজে।
১৫) ভারবোধ, বাহ্যিকভাবে ( Heaviness, externally) – A= ইস্কু, বেল, ব্রায়ো, ক্লিমে, কোনি, জেলস, নাক্স-ভ, ফস, পালস, রাস, সিপি, স্পাইজে, স্ট্যানা, সালফ।
১৬) ঝাঁকি দিয়ে ওঠা অভ্যন্তরীণভাবে ( Jarking internally) : A= ক্যাল্ক, ক্যানা-ই, গ্লোন, প্লাটি, পালস, স্পাইজে, স্ট্যানা।
১৭) আক্রান্ত অঙ্গের সঞ্চালনে বাড়ে- A= ইস্কু, আর্নি, ব্রায়ো, ক্যামো, লিডাম, রাস, স্পাইজে।
১৮) ব্যথা: জ্বালাকর অভ্যিন্তরীকভাবে- A= অ্যাকোন, আর্স, অ্যারাম-টি, বেল, বার্বে, ব্রায়ো, ক্যানা-ই, ক্যান্হা, কার্বো-সাল, গ্র্যাফ, ক্যালি-বাই, মার্ক, মার্ক-কর, মেজের, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, ফস, পালস, রাস, স্যাবাডি, স্যাঙ্গুই, সিকেলি, সিপি, স্পাইজে, স্পঞ্জি, সালফ।
১৯) ব্যথা: খনন করার মতো- A= ডালকা, রডো, স্পাইজে।
২০) সূঁচফোটানো ব্যথা বাহ্যিকভাবে (Stitching externally)- A= অ্যাসাফ, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, কার্বো-সাল, সাইকু, কোনি, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ক্যালি-সাল, লিডাম, মার্ক, পালস, র্যানান-বা, রাস, স্পাইজে, স্ট্যাফি ।
২০) সূঁচফোটানো ঃ (Stitching) – ব্যাথা : অভ্যন্তরীকভাবে- অ্যাসাফ, বার্বে, বোরা, ব্রায়ো, ক্যান্হা, চেলিডো, স্পাইজে।
২১) সংবেদনশীল বাহ্যিকভাবে ( Sensitiveness externally) – A= অ্যাপিস, আর্নি, বেল, ক্যাল্ক, চায়না, চিনি-সাল, ল্যাকে, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ম, ফস, পালস, র্যানান-বা, সাইলি, স্পাইজে, স্ট্যাফি, স্ট্রনসি।
২২) নিচে বসতে গেলে বাড়ে ( down on first)- A= অ্যামন-মি, স্পাইজে।