করোনা ভাইরাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও মন্ত্রণালয়ের “প্রজ্ঞাপন”এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে “খোলা চিঠি”
-ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস টেস্ট সরকারিভাবে করা হয়। রোগী টেস্ট করার পর যদি পজিটিভ ধরা পড়ে তখন সরকারের প্রশাসন/সরকারি স্থানীয় প্রশাসন সরকারি এম্বুলেন্স, ডাক্তার, নার্স, প্রশাসনের লোকজন, পুলিশ সদস্য প্রেরণ করে রোগীকে সরকারি করোনা ভাইরাস বিষয় নিদিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায় ও বাড়ীর লোকজনসহ লকডাউন করে রাখে। তাহলে কিভাবে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব?
টেস্ট রিপোর্ট যদি পজিটিভ পাওয়া যায় সে রির্পোটের আলোকে রোগী ভর্তি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদান করে তারপর টেস্ট করে নেগেটিভ পাওয়া গেলে তবেই বলা যাবে হোমিওপ্যাথি করোনা ভাইরাস চিকিৎসা সফলতা। তার আগে সরকার ও মিডিয়া এবং জনগণ বিশ্বাস করবেনা।
এজন্য প্রয়োজন ভারত সরকার এর আয়ুশ মন্ত্রণালয় এর করোনা ভাইরাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদান বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারির মত বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে করোনা ভাইরাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অনুমোদন এর প্রজ্ঞাপন জারি করা দরকার। তারপর বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করা।
বিশ্বব্যাপি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহামারীতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিশাল সাফল্য প্রমাণ দেখিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদান করতে হলে নিজ নিজ দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইনগত কাঠামোর মধ্যে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদান করে সাফল্য দেখাতে পারবে। এজন্য রাষ্ট্র গুলোর সরকার ও সরকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবশ্যই আগ্রহ থাকতে হবে এবং আইনি বাঁধা দূর করতে হবে। তা না করলে মাঠ প্রশাসনে হোমিওপ্যাথ ডাক্তারদেরকে আইনি ঝামেলা ও মিডিয়া ঝামেলায় প্রতিনিয়ত পড়তে হতে পারে।
বাংলাদেশের ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) কর্তৃক জনস্বার্থে ৩১ জানুয়ারি’২০২০খ্রি. ও ৯ মার্চ ২০২০খ্রি. এবং ২০ মার্চ ২০২০খ্রি. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত সরকার এর আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস বিষয় সহ নথি/তথ্য সহ অন্যান্য বিষয় উল্লেখ করে লিখলে দেশব্যাপি জনমত গড়ে উঠলে রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এ সংক্রান্ত ২৩ মার্চ ২০২০খ্রি. হোমিওপ্যাথিক সরকারী “অফিস আদেশ” জারি করেছে। বাংলাদেশে জাতীয় সংবাদপত্রে ২৪ মার্চ ২০২০খ্রি. দৈনিক ইত্তেফাক, ২৫ মার্চ ২০২০খ্রি. দৈনিক যুগান্তর ও বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং ২৬ মার্চ ২০২০খ্রি. দৈনিক জনকণ্ঠ এ সংক্রান্ত হোমিওপ্যাথিক সরকারী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করেছে। করোনা ভাইরাস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদেরকে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এর অধিনস্থ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অনুমোদন প্রদান করেছে। তবে তা বর্তমান আইন অনুযায়ী বলা চলে প্রথম ধাপ অতিক্রম। যথাযথভাবে আরও আইনি ধাপ এগুতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২টি ভাগে বিভক্ত। যথা- (১) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, (২) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
১। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগঃ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতাল বা প্রাইভেট ডাক্তার চেম্বারের চিকিৎসক (এ্যালোপ্যাথি/ডেন্টাল, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক), ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অন্যান্য।
২। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগঃ
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ (এ্যালোপ্যাথি/ডেন্টাল, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক) ও অন্যান্য।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদান করতে হলে অবশ্যই হোমিওপ্যাথি ঔষধ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে সুপষ্ট লেখা উল্লেখ সহ নিম্নের ৩টি ধাপ অনুসরণ করতে হবেঃ-
(১) বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর “স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ” হতে স্মারক নং ও তারিখ সহ প্রজ্ঞাপন বা পত্র জারি করতে হবে।
(২) তারপর তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যাবে। তারপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এর প্রজ্ঞাপন/পত্রের স্মারক নং ও তারিখ এর আলোকে সূত্র ও স্মারক নং উল্লেখ করে পত্র বোর্ডকে দিবে।
(৩) তারপর হোমিওপ্যাথি বোর্ড স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত পত্রের আলোকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও অধিদপ্তর এর স্মারক নং ও তারিখ উল্লেখ করে পত্র জারি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে প্রেরণ করা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাস রোগী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় লাগবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর “প্রজ্ঞাপন” । করোনা ভাইরাস রোগী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেডে রেখে পর্যবেক্ষণ ও হোমিওপ্যাথি হাসপাতালের বেডে রেখে লক্ষণ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রয়োগ এবং হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালের বেডে রেখে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর নয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর “স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ” বা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এর অধীনে “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর” কর্তৃক জারিকৃত স্মারক নং পত্র বা “প্রজ্ঞাপন” জারি থাকতে হবে। তা এখনও জারি হয়নি। বর্তমান আইন অনুযায়ী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/হাসপাতাল গুলো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর “স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ” এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এর “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর” এর অধিনে পরিচালিত হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর “স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ” ও “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর” হতে “করোনা ভাইরাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদান” এর পত্র বা “প্রজ্ঞাপন” জারি করতে পারলে, শুধুমাত্র তারপর করোনা ভাইরাস রোগীদের বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং প্রস্তাবিত হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় কিছু সংখ্যক করোনা ভাইরাস রোগী সরাসরি ভর্তি ও সরাসরি হাসপাতালের বেডে রেখে হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রয়োগ ও চিকিৎসা দিতে পারবে। রোগীদের নিয়মিত সরকারীভাবে অাপডেট পরীক্ষা করার ব্যবস্থা, হোমিওপ্যাথি রোগী লিপি তৈরি/কেস টেকিং, রোগীর লক্ষণ ভিত্তিতে হোমিওপ্যাথি ঔষধের নাম, প্রতিদিনের রোগী পর্যবেক্ষনের লক্ষণ, কখন কোন হোমিওপ্যাথি ঔষধ, কত শক্তিকৃত, মাত্রা/প্রয়োগ বিধি, রোগী পর্যবেক্ষণের তথ্য/আরোগ্যকর তথ্য বা রেকড সংরক্ষণ করতে পারবে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত করতে ও সংরক্ষণ করতে পারবে। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিকে হোমিওপ্যাথির সফলতা অবগত করতে পারবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সম্প্রতি বাংলাদেশে ঢাকার স্বামীবাগ আশ্রমের ব্রহ্মচারী কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাস পজিটিভ ৩৫ রোগী AYUSH মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার এর নির্দেশিত হোমিওপ্যাথি ঔষধ Arsenic Alb. 30 সেবনে নেগেটিভ। বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কে এগিয়ে নিতে ও সঠিক আইনি কাঠামোর মধ্যে হতে করোনা ভাইরাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে প্রজ্ঞাপন জারি করা দরকার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিগত ২০০ বৎসরে বিভিন্ন এপিডেমিক (মহামারী) তে হোমিওপ্যাথির ফলপ্রসূ ভূমিকার বহু নজির বিদ্যমান। ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান রচিত হোমিওপ্যাথিক সংবিধান “অর্গানন অব মেডিসিন” গ্রন্থের ৬ষ্ঠ সংস্করণের ১০০ হতে ১০৪ সূত্রে Epidemic Disease (মহামারী রোগ) বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। মহামারী রোগে প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সফলতার কিছুসংখ্যক দৃষ্টান্ত সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো-
১। ১৭৯৯ ও ১৮০১ সালে মহামারী আকারে দেখা দেয়া স্কারলেট ফিভার কিভাবে হোমিওপ্যাথি ঔষধ বেলেডোনা-৩০ প্রয়োগ করে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থার চেয়ে রোগীর মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
২। ১৮১৩ সালে জার্মানীর টাইফাস ফিভার মহামারীতে প্রচলিত চিকিৎসা ধারায় মৃত্যুর হার ছিল যেখানে ৩০% সেখানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল ২%।
৩। ১৮৩১ সালে অস্ট্রেলিয়ার কলেরা মহামারীতে প্রচলিত চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৪০% থাকলেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র ১০%।
৪। ১৮৪৯ সালের যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটির কলেরা মহামারীতে হোমিওপ্যাথির সাফল্য ৯৭% প্রচলিত চিকিৎসায় সাফল্য ৯৭% প্রচলিত চিকিৎসায় সাফল্য ছিল মাত্র ৪০% থেকে ৫০%।
৫। ১৮৫৪ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কলেরা মহামারীতে প্রচলিত চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল ৫৯.২% আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র ৯%।
৬। ১৮৫৫ সালে আফ্রিকার রিও-র কলেরা মহামারীতে প্রচলিত চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল ৪০% থেকে ৬০% আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র ২%।
৭। ১৮৬২ থেকে ১৮৬৪ সালের নিউইয়র্ক ডিপথেরিয়ার সংক্রমণে প্রচলিত চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল ৮৩.৬% আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র ১৬.৪%।
৮। ১৮৭৮ সালে অামেরিকার ইউলো ফিভার মহামারীতে প্রচলিত চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল ১৫.৫% আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র ৬%।
৯। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীতে প্রচলিত চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র ২৮.২% আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল ১.০৫%।
এছাড়া ১৯৭৪ সালে ব্রাজিলের ম্যানিনজাইটিস, ১৯৭১ সালের ভারতের জাপানিজ এনসেফালাইটিস, ২০০৭ সালে কিউবার ল্যাপটোস্পাইরোসিস এবং ২০০৯ সালে ভারতের সোয়ান ফ্লু ইত্যাদি রোগ মহামারী (Epidemic) আকারে দখা দেবার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে হোমিওপ্যাথির সফলতা ছিল শীর্ষে। মৃত্যুর হার ছিল না বললেই চলে।
স্মরণকালের ডেঙ্গু জ্বর ও চিকনগুনিয়া জ্বর রোগের প্রার্দুভাবেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সাফল্য রয়েছে।
১৯৯৫ সালে কিউবাতে কেরাটোকঞ্জাকটিভকইটিস রোগে ও ২০০৭ সালে ভারতের কেরালাতে চিকনগুনিয়া রোগে হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়া যায়।
সম্প্রতি ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বেসরকারী আশা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিবিসি- বাংলা যৌথ গবেষণায় জানায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪০% লোক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছে।
সেখানে জেনারেল স্ট্যাটিসটিকস, বিভিন্ন সময়ে দেখা দেয়া কলেরা, স্কারলেট ফিভার, ইয়ালো ফিভার, নিউমোনিয়া, টাইফাস ফিভার, ডিফথেরিয়া, শিশুরোগ, উন্মত্ততা ইত্যাদি এপিডেমিক ও রোগগুলোর বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত, পরিসংখ্যান, বিভিন্ন হাসপাতালের রিপোর্ট ও তথ্যসূত্রসহ যে প্রমাণ ও বর্ণনা উপস্থাপন করা হয়েছে- তা দেখলে আশ্চর্য হয়ে ভাবতে হয়, চোখের সামনে মানুষের আরোগ্যকারী এই উপায় থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান করছি না?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস দুর্যোগ উপস্থিত হয়েছে, জীবন আজ যে ঝুঁকিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে। সেখানে কি সময় হয়নি হোমিওপ্যাথিককে তার অতীত সমৃদ্ধির মতো বর্তমানেও চমৎকার কার্যকারিতা প্রদর্শন করা ও হাজার হাজার মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে করোনা ভাইরাসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদানে গাইডলাইন সহ প্রজ্ঞাপন জারি করে যথাযথভাবে সুযোগ দেবার?
এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও এগিয়ে যাক যথাযথভাবে আইনি কাঠামোতে হোমিওপ্যাথি।