পরিবর্তনশীল জলবায়ু ও খাদ্যভ্যাস: হোমিওপ্যাথি গবেষণা

ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
প্রারম্ভিক : বিশ্বব্যাপি জলবায়ু ও আবহাওয়া পরিবর্তনশীল এবং বসবাসরত জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস বিভিন্ন মহাদেশে ভিন্ন ভিন্ন রকম। তার সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবিকা ও পেশা জড়িত। এগুলো বিবেচনা না করে ইউরোপিয় মহাদেশে জলবায়ু, আবহাওয়া, জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস, পেশা-জীবিকা উপর ভিত্তি করে স্যার ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের সময় প্রুভিংকৃত ঔষধ বর্তমান বিশ্বের সকল মহাদেশে পরিবর্তনশীল জলবায়ু ও ভিন্নভিন্ন খাদ্যাভ্যাস গ্রহণকৃত জনগোষ্ঠীর সমান কাজ করবে কিনা?
তা অবশ্যই সমান ভাবে ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে দ্রুত কাজ করবেনা। কারণ বিশ্বব্যাপি মহাদেশ ভিত্তিক পরিবর্তনশীল জলবায়ু, আবহাওয়া, জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস, পেশা-জীবিকা এক রকম নয় ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়। ঔষধ প্রয়োগে ও দ্রুত আরোগ্যে এগুলো বিবেচনা করতে হবে। তা বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপি মহাদেশ ভিত্তিক পরিবর্তনশীল জলবায়ু, আবহাওয়া, বসবাসরত জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস বিবেচনা করে অবশ্যই ভাবনার বিষয়। এগুলো বিবেচনা করে ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথি ঔষধ, মহাদেশ ভিত্তিক যুগোপযোগী হোমিওপ্যাথি সবগুলো নতুন-পুরাতন আবিষ্কৃত ঔষধ পর্যায়ক্রমে পূর্ণরায় প্রুভিং, ঔষধের লক্ষণ অন্তভুক্ত করা, ঔষধের মাত্রা নির্ধারণ, ক্রিয়াকাল, প্রয়োগ বিধি ও সেবন বিধি প্রনয়ন এবং গবেষণার জন্য মহাদেশ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথি গবেষণাগার বা রিচার্স ইন্সটিটিউট স্থাপন বর্তমান সময়ে প্রয়োজন। সে হিসাবে মহাদেশ ভিত্তিক বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হোমিওপ্যাথির জন্য যুগোপযোগী নতুন হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা লেখা বা প্রনয়ন বা তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন।

হোমিওপ্যাথি ব্যথানাশক ঔষধ প্রয়োগঃ
—————————————————-
বর্তমানে অনেক হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক হোমিওপ্যাথি ব্যথানাশক ঔষধ খালি পেটে সেবন করার পরামর্শ দেন তা যুক্তিযুক্ত কতটুকু? রাসায়নিক/খনিজ ও উদ্ভিদদ হতে ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্ততকৃত ঔষধ খালি পেটে সেবন বেশি কাজ করে কি?
হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা অনুযায়ী অসংখ্য ব্যথানাশক হোমিওপ্যাথি ঔষধ আছে তা শুধু ব্যথায় নয়, বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাধিতে ব্যবহৃত হয়। তা খালি পেটে সেবন না করে খাবারের পর সেবন করা উত্তম।

মানব শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী রোগীর চিকিৎসায় সর্তকতাঃ
——————————————————————
ফরেন বডি বা মানব শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা রোগী। বিশেষ করে মানব চোখে কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন করা রোগী, হার্টে রিং পড়ানো বা মেশিন লাগানো রোগী, দুঃঘটনায় মানব অঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হাড়ে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা রোগী, মহিলাদের জন্মনিরোধ কপাটি বা কাঠি প্রতিস্থাপনকৃত প্রভৃতি রোগী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের নিকট ফোঁড়া, কাঁটা বিঁধা, কাঁটা হতে ভাঁষি তা নিরাময়ের জন্য আসলে প্রশ্ন স্বাভাবিক কিভাবে নিরাময় করবে? কারণ মানব শরীর হতে কাঁটা বের করার ও ফোঁড়া ফাঁটানোর প্রচলিত অসংখ্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ আছে। সেগুলো কাঁটা বের করে ও ফোঁড়া ফাঁটাতে বা নিরাময় করতে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সেসব প্রচলিত ঔষধ ফরেন বডি বা কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী রোগী যদি কাঁটা বিঁধে বা ফোঁড়া বা ভাঁষি…হয় সে রোগীকে ঔষধ প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। চোখের লেন্স বের হয়ে আসতে পারে বা হাটের রিং সড়ে যেতে পারে বা হাটের কৃত্রিম মেশিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, মহিলাদের জন্মনিরোধ কপাটি বা কাঠি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বা প্রতিস্থাপনকৃত অঙ্গ ক্রিয়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে। ফলে সেসব কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী রোগীকে Anagallis, Silicea, Hepar Sulph, Hypericum, Ledum pal, Symphytum off প্রভৃতি ঔষধ দ্বারা যেকোন ব্যাধির চিকিৎসা যুক্তিযুক্ত কতটুকু? এ ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনকৃত রোগী যেকোন ব্যাধি নিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের নিকট আসলে তার নিকট হতে চিকিৎসক শুনে বা জিজ্ঞাসা করে বা জেনে নিতে হবে ও মায়াজম নির্ধারণে অাসলেও এ ধরনের বা এ ক্যাটাগরির ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না।

বরং মুখে কাঁটা বিঁধা স্থানে লালা সৃষ্টিকরে কাঁটা বের করবে বা ফোঁড়া নিরাময় করবে বা ভাঁষি নিরাময়ে Merc Sol, Belladonna, Apis Mel, Natrum Mur প্রভৃতি অন্যান্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ লক্ষণ অনুযায়ী কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী রোগীকে কাঁটা বের করতে বা ফোঁড়া সাড়াতে বা ভাঁষি নিরাময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মানবদেহে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন পদ্ধতি প্রায় একশত বছর অতিক্রম করলেও বাংলাদেশ বা বিশ্বের কোন হোমিওপ্যাথি গবেষক এ বিষয়টি মোকাবেলা করার জন্য কোন পুস্তক বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারীর দেহে কোন কোন ঔষধ ব্যবহার বা সেবন করা যাবে ও কোন কোন ঔষধ ব্যবহার বা সেবন করা যাবে না তা উল্লেখ করে কোন কিছু কেহ আজ পর্যন্ত লিখেনি। এমনকি এ বিষয়টি পর্যন্ত উল্লেখ করেনি। এসব বিষয় প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করতে হচ্ছে বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকদের কে। কিন্তু বিশ্বব্যাপি কোন হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা বা হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিস অব মেডিসিন পুস্তক সহ কোন হোমিওপ্যাথি পু্স্তকে এ বিষয় গুলো মোকাবেলা করতে হয় কিনা বা কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে বা নিদিষ্ট কোন কোন ঔষধ ব্যবহৃত হতে পারে তা কোন লিখিত নেই। ফলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী রোগী অন্য ব্যাধি চিকিৎসায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের বদনাম হচ্ছে। কারণ বিশ্বে প্রায় এক শতাব্দী যাবত মানব অঙ্গে বিভিন্ন প্রতিস্থাপন সাফল্যজনক ভাবে শুরু হলেও হোমিওপ্যাথি গবেষকরা এ বিষয় গুলো মোকাবেলা করছেনা কেন?

এ বিষয়ে কোন পুস্তকে কোন কিছু উল্লেখ করেনি। না তাদের জানার সীমাবদ্ধতা?

পরিবর্তনশীল জলবায়ু-আবহাওয়া ও খাদ্যাভ্যাস এবং হোমিওপ্যাথি গবেষণাগার স্থাপন/পুস্তক প্রণয়ন করাঃ
——————————————————————-
এসব নতুন নতুন বিষয় নিরসনে বিশ্বব্যাপি পরিবর্তনশীল জলবায়ু ও আবহাওয়া তা মোকাবেলা করা, জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস দিকে লক্ষ্যরেখে সকল মহাদেশ ভিত্তিক আলাদা-আলাদা মহাদেশ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা, মহাদেশ ভিত্তিক নতুন ও পুরাতন ঔষধ প্রুভিং করে মহাদেশ ভিত্তিক আলাদা-আলাদা নতুন হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা পু্স্তক তৈরি করে কোন ঔষধ কোন মায়াজম, লক্ষণাবলী, প্রত্যক ঔষধের মাত্রা, প্রত্যক ঔষধের সেবন বিধি, প্রত্যক ঔষধের অর্গান ভিত্তিক ক্রিয়া স্থান, ক্রিয়া কাল, ক্রিয়া নাশক, পরবর্তী ঔষধ প্রভৃতি নির্ধারণ করা, মানব দেহের অর্গান (এনাটমি ও ফিজিওলজি) ভিত্তিক ক্রিয়াস্থলের সচিত্র চিত্রসহ সম্পূর্ণ নতুন হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিস অব মেডিসিন (হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিধান) পু্স্তক তৈরি করা এবং বর্তমান সময়ে চাহিদায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবহার করে প্রস্তুতকৃত সকল হোমিওপ্যাথি ঔষধের অবশ্যই নিদিষ্ট মেয়াদকাল উল্লেখ করা (কারণ অাবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পারিপার্শ্বিক কারণে একটি ঔষধ নিদিষ্ট সময়কাল অতিক্রম করার পরে মোটামুটি ভাল যদি থাকেও তবে ঔষধের দ্রত আরোগ্য করার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে) সহ অন্যান্য পুস্তক লেখা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হোমিওপ্যাথির জন্য সময়ের দাবি।

ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের প্রুভিংকৃত হোমিওপ্যাথি ঔষধের তথ্যঃ
————————————————————
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (এম.ডি) মোট কতগুলো ঔষধ সুস্থ মানবদেহে প্রুভিং করেছেন তার সঠিক তালিকা নিয়ে নানা রকম তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন লেখকের বইতে বা বিভিন্ন গবেষকের লেখায় ভিন্ন ভিন্ন তালিকা পাওয়া যায়।
যেমন-
১। ডা. পরেশ চন্দ্র সরকার লিখিত “হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আরোগ্যকলা” বই এর ৪৩৭ পৃষ্ঠায় হ্যানিম্যান ৯০টি ঔষধ প্রুভিং করেছিলেন বলে লেখা হয়েছে।
২। ডা. মো. শারফুল আলম, ডা. বশীর মাহমুদ ইলিয়াস সহ অনেকেই ইন্টারনেট আর্টিক্যালে ৯০টি।
ডাঃ গার্থ বোরিকের মতে ৯৯টা।
৩। ডা. রিচার্ড হেলের মতে ১০০টি।
৪। ডা. জেমস ক্রস ও ডা. আর ই ডাজেনের মতে ৯০টি ঔষধ হ্যানিম্যান প্রুভিং করেছেন বলা হয়েছে।
মোট কথা ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান প্রুভিংকৃত হোমিওপ্যাথি ঔষধের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ বেশ প্রবল। এই মতভেদ নিরসনকল্পে ডাঃ হ্যানিম্যান রচিত তিনটি প্রামাণ্য গ্রন্থঃ
(১) ফ্রাগমেন্টা ডি ভেরিবাস,
(২)মেটেরিয়া মেডিকা পিউরা,
(৩) ক্রনিক ডিজিজ,
গ্রন্থ হতে তথ্য সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য খ্যাতনামা লেখকের বই হতে তথ্য সংগ্রহ করে ডা. হ্যানিম্যান প্রুভিংকৃত ঔষধের তালিকা (মোট ১৩০টি) নিম্নে দেয়া হলো।
তথ্যটি কোন বই হতে নেয়া হয়েছে তা রেফারেন্স হিসাবে ঔষধটির পাশে দেওয়া হলো।
ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান রচিত উল্লেখিত ৩টি গ্রন্থে মোট ১০৯টি ঔষধের নাম ও বিবরণী থাকলেও কেন ৯০টি বা ৯৯টি বা ১০০টি বলা হয় তা বোধগম্য নয়।
সম্ভবত কেউই হ্যানিম্যানের তিনটি গ্রন্থের ঔষধাবলীকে মিলিয়ে না দেখেই অন্যের গ্রন্থ থেকে কপি করেছেন।
“ফ্র্যাগমেন্টা ডি ভেরিবাস” গ্রন্থের অনুবাদ হয়নি, তবে ইন্টারনেটে জার্মান সংস্করণ পাওয়া যায়, তাতে ঔষধসূচী ইংরেজী ভাষায় দেয়া আছে (মোট ২৭টি ঔষধ)।
ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের অন্য দু’টি বইসহ রেফারেন্স এর সবগুলো বই কাগজে ছাপা বই আকারে এবং কোন কোন বই ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। পাঠকবৃন্দকে তথ্যে কোন সন্দেহ থাকলে যাচাই করে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

রেফারেন্স সংকেতঃ
(১)ফ্রাগমেন্টা ডি ভেরিবাস (FR)
(২)মেটেরিয়া মেডিকা পিউরা (MMP)
(৩)ক্রনিক ডিজিজ (CD)

TOTAL PROVING OF HOMOEOPATHY DRUGS BY DR. HAHNEMANN :
—————————————————————-
1. Aconitum napellus (FR) (MMP)
2. Agaricus muscarius (CD)
3. Alumina (CD)
4. Ambra grisea (MMP)
5. Ammonium carbonicum (CD)
6. Ammonium muriticum (CD)
7. Anacardium orientale (CD)
8. Angustura vera (MMP)
9. Antimonium crudum (CD)
10. Argentum metallicum (MMP)
11. Argentum nitricum (MMP)
12. Arnica montana (FR) (MMP)
13. Arsenicum album (CD) (MMP)
14. Asarum europaeum (MMP)
15. Aurum metallicum (MMP) (CD)
16. Aurum muriaticum (CD)
17. Baryta carbonica (CD)
18. Belladona (FR) (MMP)
19. Bismuthum subnitricum (MMP)
20. Borax veneta (CD)
21. Bryonia alba (MMP)
22. Calcarea acetica (MMP)
23. Calcaria carbonica (CD)
24. Camphora officinalis (FR) (MMP)
25. Cannabis indica (MMP)
26. Cannabis sativa (MMP)
27. Cantharis (FR)
28. Capsicum annuum (FR) (MMP)
29. Carbo animalis (MMP) (CD)
30. Carbo vegetabilis (MMP) (CD)
31. Causticum (FR) (CD)
32. Chamomilla (FR) (MMP)
33. Chelidonium majus (MMP)
34. China officinalis (Cinchona) (FR) (MMP)
35. Cicuta virosa (MMP)
36. Cina maritima (MMP)
37. Cinnabaris (MMP)
38. Clematis crecta (CD)
39. Cocculus indicus (FR) (MMP)
40. Colocynthis (MMP) (CD)
41. Conium maculatum (MMP) (CD)
42. Copaifera balsamum (Copaiva officinalis) (FR)
43. Cuprum metallicum (FR) (CD)
44. Cyclamen europaeum (MMP)
45. Digitalis purpurea (FR) (MMP) (CD)
46. Drosera rotundifolia (FR) (MMP)
47. Dulcamara (MMP) (CD)
48. Euphorbium officinarum (CD)
49. Euphrasia officinalis (MMP)
50. Ferrum metallic um (MMP)
51. Graphites (CD)
52. Guajacum officinalis (MMP) (CD)
53. Helleborus niger (FR) (MMP)
54. Hepar sulphur (MMP) (CD)
55. Hyoscyamus niger (FR) (MMP)
56. Ignatia amara (FR) (MMP)
57. Iodium (CD)
58. Ipecacuana (FR) (MMP)
59. Kalium carbonicim (CD)
60. Kalium nitricum (Nitrum) (CD)
61. Ledum Palustre (FR) (MMP)
62. Lycopodium clavatum (CD)
63. Magnesium carbonicum (CD)
64. Magnesium muriticum (CD)
65. Magnetis poli ambo (MMP)
66. Magnetis polus arcticus (MMP)
67. Magnetis polus australis (MMP)
68. Manganum act (CD) (MMP)
69. Menyanthes trifoliata (MMP)
70. Mercurius aceticus (MMP)
71. Mercurius corrosivus (MMP)
72. Mercurius dulcis (MMP)
73. Mercurius praecipitatus ruber (MMP)
74. Mercurius solubilis (MMP)
75. Mezereum (FR) (CD)
76. Moschus (MMP)
77. Muriaticum acidum (MMP) (CD)
78. Natrium carbonicum (CD)
79. Natrium muriaticum (CD)
80. Nitricum acidum (CD)
81. Nux vomica (FR) (MMP)
82. Oleander (MMP)
83. Opium (Papaver simniferum) (FR) (MMP)
84. Petroleum (CD)
85. Phosphoricum acidum (MMP) (CD)
86. Phosphorus (CD)
87. Platinum metallicum (CD)
88. Pulsatilla pratensis (FR) (MMP)
89. Rheum palmatum (FR) (MMP)
90. Rhus toxicodendron (MMP)
91. Ruta graveolens (MMP)
92. Sambucus nigra (MMP)
93. Sarsaparilla officinalis (MMP) (CD)
94. Sepia officinalis (CD)
95. Silicea terra (CD)
96. Spigelia anthelmia (MMP)
97. Spongia tosta (MMP)
98. Squilla maritima (MMP)
99. Stannum metallicum (MMP) (CD)
100. Staphisagria (MMP)
101. Stramonium (FR) (MMP)
102. Sulphur (MMP) (CD)
103. Sulpuricum acid (CD)
104. Taraxacum officinale (MMP)
105. Thuja occidentalis (MMP)
106. Valeriana (FR)
107. Veratrum album (FR) (MMP)
108. Verbascum thapsus (MMP)
109. Zincum met (CD)

নিম্নোক্ত ঔষধগুলোও ডা. হ্যানিম্যান প্রুভ করেছেন বলে রেফারেন্স হিসাবে বিভিন্ন চিকিৎসকগণ তাঁদের রচিত গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। পাঠকের সুবিধার্থে ঔষধের নাম ও রেফারেন্সকৃত চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করা হলোঃ।

110. Agnus castus Ref: Hering, Hughes, Mohanty, Vermeulen.
111. Antimonium tartaricum Ref: Gibson, Hering, Hughes, Mathur, Nash
112. Arsenicum sulpharatum flavum Ref: Hering. Varma P N
113. Asa foetida Ref: Allen T F, Mathur, Vermeulen,
114. Baryta acetica Ref: Allen T F. Varma P N.
115. Baryta muriatica Ref: O’connor, Hering, Mathur.
116. Bismuthum oxydatum Ref: O’connor J. Varma P.N
117. Cantharidinum Ref: Mohanty
118. Coffea cruda Ref: Gibson, Hering, Hughes, Mathur, Mohanty, Vermeulen.
119. Colchicum autumnale Ref: Hering, Hughes, Julian O A.
120. Cuprum sulphuricum Ref: Allen T. F.
121. Ferrum aceticum Ref: O’connor. Varma P N.
122. Lamium album Ref: Clarke J H, Murphy, O’connor J.
123. Paris quadrifolia Ref: Hering, Clarke, Hughes, Murphy, Vermeulen.
124. Psorinum Ref: Gibson, Julian O A, Mathur, Vermeulen.
125. Sabadilla Ref: Hering, Clarke, Mathur, Murphy
126. Sabina Ref: Hering, Clarke, Jahr, Murphy,
127. Uva ursi Ref: Hering, O’connor J.
128. Viola odorata Ref: Hering, Clarke, Hughes, Murphy, Vermeulen.
129. Viola tricolor Ref: Hering, Clarke, Hughes, Murphy, Vermeulen,
130. Zincum aceticum Ref: Clarke J H, Murphy, O’connor J.
[ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর প্রুভিংকৃত হোমিওপ্যাথি ঔষধের নামের তালিকা সংগ্রাহকঃ ডা. এ.কে.এম. রহুল আমিন]

পরিশেষঃ
————
বিশ্বব্যাপি জলবায়ু ও আবহাওয়া পরিবর্তনশীল এবং খাদ্যভ্যাস বিভিন্ন দেশে-মহাদেশে ভিন্ন ভিন্ন রকম। তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে দেশে দেশে সরকারীভাবে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশোষিত হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা হোমিওপ্যাথি রিচার্স ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা ও নিয়মিত গবেষণা করা এবং গবেষণালব্ধ তথ্য জনস্বার্থে আদান-প্রদান তথা মেডিক্যাল জার্নালে নিয়মিত প্রকাশিত করা দরকার।

সময়ের প্রয়োজনে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আরও যুগোপযোগী করতে আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথি সংগঠন ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকারের আর্থিক সহায়তায় ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশের জলবায়ু ও আবহাওয়াকে গুরুত্ব প্রদান করে মহাদেশ ভিত্তিকঃ

নতুন-পুরাতন সকল হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রুভিং, মহাদেশ ভিত্তিক নতুন যুগোপযোগী হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা লেখা/প্রণয়ন, মহাদেশ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথি ঔষধের মাত্রা ও ঔষধের সেবন বিধি/প্রয়োগবিধি, ক্রিয়া স্থল, ক্রিয়াকাল, পরবর্তি ঔষধ, ক্রিয়া নাশক ঔষধ, প্রত্যেক প্রস্তুতকৃত ঔষধের সময়উপযোগী মেয়াদকাল, খাদ্যাভ্যাস বা পর্থ্য বা বর্জনীয় খাবার সমূহ প্রভৃতি বিষয় অন্তভুক্ত করে প্রণয়ন করা। অর্গান (এনাটমি ও ফিজিওলজি) ভিত্তিক ক্রিয়াস্থলের সচিত্র চিত্রসহ নতুন প্র্যাকটিস অব মেডিসিন পু্স্তক মহাদেেশ ভিত্তিক প্রনয়ন করা।

গবেষণা একটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মিত কার্যক্রম। নিয়মিত গবেষণা ছাড়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি সম্ভব নয়। এজন্য বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথি গবেষক ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের এগিয়ে আসার এবং যথাযথ ভূমিকা রাখার আহবান জানায়।

সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হোমিওপ্যাথিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এ হোক হোমিওপ্যাথদের অঙ্গিকার।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায়ঃ
“জয় হোক হোমিওপ্যাথি’র ও জয় হোক বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথি’র”।