ডি.এইচ.এম.এস.(ডিপ্লোমা)কোর্সঃ ২য় বর্ষের পাঠ্যক্রম

প্রথম পত্র: হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসি ও ফার্মাকোপিয়া
১। ফার্মেসী ও ফার্মাকোপিয়ার সংজ্ঞা।
২। সংক্ষিপ্ত নাম ও ব্যবস্থাপত্র লিখন।
৩। হোমিওপ্যাথিক ভেষজের উৎসসমূহ।
৪। হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসীতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা।
৫। হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সমূহ: (ক) পরিস্রুত পানি- ইহার ধর্মাবলী ও পরীক্ষা সমূহ।(খ) এলকোহল ও ইহার ধর্মাবলী। (গ) দুগ্ধ শর্করা ও ইহার ধর্মাবলী। (ঘ) গ্লোবুলেস- পিল সমূহের সাধারণ বৈশিষ্ট্যাবলী ও তাদের নাম্বারিং।
৬। অন্যান্য মাধ্যম: যেমন- ভেজিটেবল ওয়েল, গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা গ্রিজ ইত্যাদি।
৭। ঔষধ উদ্ভিদ: (ক) ঔষধ উদ্ভিদের সংগ্রহ এবং রোগ সংক্রমণ থেকে তাদের সংরক্ষণ। (খ) কিভাবে, কখন, কি অবস্থায় ঔষধ উদ্ভিদ সংগ্রহ করতে হয়। (গ) ঔষধ উদ্ভিদ থেকে মূল অরিষ্ট প্রস্তুতির বিস্তারিত বিবরণ (টিংচার ফরমুলা নং ১-৯)।
৮। ভেষজের প্রস্তুতি ও শক্তিকরণ।
৯। ট্রাইটুরেশন (মুস্ক পদার্থের শক্তিকরণ): (ক) দশমিক স্কেলে বিচূর্ণ। (খ) শততমিক রীতিতে বিচূর্ণ। (গ) ট্রাইটুরেশনের মাধ্যমে তরল শক্তিতে রূপান্তর।
১০। গ্লোবুলেসকে (অনুবটিকা) ঔষধিকরণের পদ্ধতি ও প্রস্তুতি।
১১। মূল অরিষ্ট প্রস্তুতি ও শক্তিকরণের আধুনিক পদ্ধতি।
১২। সূক্ষ্মতম মাত্রায় শক্তিকরণ, তরল পদার্থের সূক্ষ্মতম মাত্রায় পরিণত করার পদ্ধতি।
১৩। বাহ্যিক ঔষধ প্রয়োগ সম্বন্ধে ধারণা।
ব্যবহারিকঃ
১। হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহার তাদের পরিষ্কারণ ও সংরক্ষণ।
২। অধিক গুরুত্ব সহকারে হোমিওপ্যাথিক ভেষজের উৎসের সংগ্রহ, সনাক্তকরণ ও সংরক্ষণ।
৩। হোমিওপ্যাথিক ভেষজের উপাদান হতে মূল অরিষ্ট প্রস্তুত করণ।
৪। হোমিওপ্যাথিক ভেষজ পদার্থের বিচূর্ণ প্রক্রিয়ার তৃতীয় শক্তি ও শততমিক শক্তিতে পরিণত করণ।
৫। ৫০ সহস্রতমিক প্রক্রিয়ায় হোমিওপ্যাথিক ভেষজের প্রস্তুতি।
৬। হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসীতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহার।
৭। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ব্যবস্থাপত্র ও পরিবেশন পদ্ধতি।

দ্বিতীয় পত্র: অর্গানন অব মেডিসিন
লেকচার ৮৩নং সূত্র থেকে ১৭১নং সূত্র পাদটীকাও অন্তর্ভূক্ত।
(১৪) রোগীলিপি প্রণয়ন ও রোগলক্ষণ নির্বাচন (সূত্র-৮৩-১০২)
(১৫) উপবিষ স্থায়ী রোগ (সূত্র-১০৩-১০৪)
(১৬) ভেষজ পরিচয় (সূত্র-১০৫-১১৪)
(১৭) ঔষধের পর্যায়ক্রমিক ক্রিয়া (সূত্র-১১৫)
(১৮) লক্ষণ বিকাশে বিভিন্নতা ও ধাতুবৈশিষ্ট্যতা (সূত্র-১১৬-১১৯)
(১৯) ভেষজ পরীক্ষা (সূত্র-১২০-১২৫)
(২০) ঔষধ পরীক্ষার নিয়ম-পদ্ধতী (সূত্র-১২৬-১৪২)
(২১) মেটেরিয়া মেডিকা (সূত্র-১৪৩-১৪৫)
(২২) সর্বাপেক্ষা উপযোগী ও সুনির্বাচিত ঔষধ (১৪৬-১৪৯)
(২৩) অচির রোগের চিকিৎসা (সূত্র-১৫০-১৫৬)
(২৪) সদৃশ বৃদ্ধি বা ঔষধজ রোগ (সূত্র-১৫৭-১৭১)

তৃতীয় পত্র: মেটেরিয়া মেডিকা ও টিস্যু রেমেডিস
হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকা অংশ (হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমূহ):
(১) এসিডাম ফসফরিকাম। (২) এনাকার্ডিয়াম অক্সিডেন্টাল। (৩) ব্যাপ্টেসিয়া টিংটেরিয়া। (৪) ক্যাল্কেরিয়া কার্বনিকা। (৫) ক্যান্থারিস। (৬) কার্বোভেজ। (৭) কলোফাইলাম। (৮) ক্লিমেটিস ইরেক্টা। (৯) ককুলাস ইন্ডিকা। (১০) কলচিকাম অটামনেল। (১১) কলোসিন্থিস। (১২) ডায়োস্কোরিয়া ভিলোসা। (১৩) ড্রসেরা বোটাগুফোরিয়া। (১৪) হেমামেলিস ভার্জিনিকা। (১৫) হিপার সালফিউরিস। (১৬) হাইপেরিকাম। (১৭) লিডাম প্যালাষ্টার।
বায়োকেমিক মেটেরিয়া মেডিকা বা টিস্যু রেমেডি অংশ:
১। সুসলার বায়োকেমিষ্ট্রি ও সাধারণ বায়োকেমিষ্ট্রির মধ্যে পার্থক্য।
২। হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক চিকিৎসার মধ্যে পার্থক্য।
৩। টিস্যু রেমিডির সংজ্ঞা।
৪। মানবদেহের বায়োকেমিক লবণের প্রয়োজনীয়তা।
৫। মায়াজম (উপবিষ) এর ক্ষেত্রে বায়োকেমিক প্রতিষেধকের ফল।
৬। টিস্যু রেমিডির ইতিহাস; সুসলার বায়োকেমিষ্ট্রির পদ্ধতি ও তত্ত্ব; মানব অঙ্গের উপাদান সমূহ; টিস্যু বিল্ডিং; কোষের অজৈব উপাদান সমূহ; স্বাস্থ্যের টিস্যুর গঠন ও রোগ; স্বাভাবিক কোষের সমতা আনয়নের প্রয়োজনীয় টিস্যু সল্টের মাত্রা ও পরিমান; প্রস্তুতি ও মাত্রার (সুসলারের নিজস্ব প্রক্রিয়া) গঠন; বায়োকেমিক চিকিৎসা ও হোমিও চিকিৎসার সম্পর্ক।
৭। বায়োকেমিক ঔষধসমূহ:
(১) ক্যালকেরিয়া ফ্লোরিকাম। (২) ক্যালকেরিয়া ফসফরিকাম। (৩) ক্যালকেরিয়া সালফিউরিকাম।
(৪) ফেরাম ফসফরিকাম। (৫) ক্যালিয়াম মিউরিকাম। (৬) ক্যালিয়াম ফসফরিকাম। (৭) ক্যালিয়াম সালফিউরিকাম। (৮) ম্যাগনেসিয়া ফসফরিকাম। (৯) ন্যাট্রাম মিউরিকাম। (১০) ন্যাট্রাম ফসফরিকাম। (১১) ন্যাট্রাম সালফিউরিকাম। (১২) সাইলিসিয়া।

চতুর্থ পত্র: স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্য বা হাইজিন ও কমিউনিটি হেলথ
১। লোকসমাজ, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ধারণা, জনস্বাস্থ্যের সংজ্ঞা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, সামাজিক ঔষধ।
২। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা; প্রাথমিক স্বাস্থ্য যত্ন, বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্যের প্রশাসন।
৩। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাসমূহ।
৪। স্বাস্থ্যশিক্ষা: পেশাগত স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিজ্ঞান।
৫। টিকা ও রোগ প্রতিরোধক চিকিৎসা সম্বন্ধে হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গি।
৬। রোগের প্রাকৃতিকি ইতিহাস, আইসবার্গ ফেনম্যানা, রোগ প্রতিরোধের পরিচয়।
৭। ইকোলজিক্যার শর্ত সমূহ এবং ইপডেমিওলজিক্যাল ধারণা সমূহ।
৮। স্বাস্থ্য উপযোগী প্রতিষ্ঠান: পরিবেশগত স্বাস্থ্য উপযোগী বিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের নিয়মাবলী, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খান, স্বাস্থ্য উপযোগী কূপ, টিউবওয়েল, শহরে পানি সরবরাহ, ডিসপোজাল অব রিফিউজ এন্ড হিউম্যান এক্সক্রেটা।
৯। পুষ্টি ও খাদ্য: খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ, ভিটামিন বা খাদ্য প্রাণ, ভিটামিনের উৎসসমূহ, ভিটামিনের অভাব জনিত রোগসমূহ, উন্নত খাদ্য তালিকা।
১০। মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য যত্ন।
১১। সংক্রমন, রোগ সংক্রমনকাল, সঙ্গরোধ, সংক্রোমক ব্যাধি সমূহ, রোগ জীবানু সংক্রমন প্রণালী। ১২। হোমিওপ্যাথিক প্রক্রিয়ায় নিম্নলিখিত রোগসমূহ নিবারণের উপায়- ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, কলেরা, বসন্ত, পানি বসন্ত, হাম, মাম্পস, ধনুষ্টংকার, ডিপথেরিয়া।
ব্যবহারিক
১। আতর্শ হিসেবে হাম, বসন্ত, পানি বসন্তের বাস্তব চিত্র উপস্থাপন।
২। সেনিটার লেট্রিন ও টিউবওয়েলের ব্যবহার প্রদর্শন।

পঞ্চম পত্র: অঙ্গব্যবচ্ছেদ-বিদ্যা বা অ্যানাটমি
এনাটমী পার্ট-১
১। হোমিওপ্যাথির দৃষ্টিকোণ থেকে রোগ সম্পর্কে এনাটমীর জ্ঞানের আবশ্যকতা।
২। এনাটমীর সংজ্ঞা ও শাখা সমূহ।
৩। এনাটমীর বর্ণনামূলক বিষয়: মিডিয়াম প্লেন, পোষ্টেরিয়ার মিডিয়ান প্লেন, ট্রান্সপারোরিক প্লেন, ইন্টারকুলার প্লেন, মিড ইনজুইনাল প্লেন, মেজিটাল সুচার, মেডিটাল প্লেন, করোনাল সুচার, এনটোরিয়ার পোষ্ঠেয়ির, যরমাল, ভেনট্রাল, সুপিরিয়র, ইনফিরিয়র, এক্সিম্যার, সুপারফিসিয়ার এবং ডিপপ্লান্টর ও পারমার।
৪। কলাস্থান: কোষের গঠন, কোষ উৎপাদন, কলা সমূহ, কলার শ্রেণীবিভাগ, এ্যাপিসিলিয়ান কলা, সংযোজন করা।
৫। অস্থি বিদ্যা: মানব কংকালের গঠন, করোটির হাডসমূহ, মেরুদন্ডের অস্থিসমূহ, পাজর ও বুজের হাডসমূহ, এপডিকুলার এক্সলটন বৃহদন্ত্র সংলগ্ন হাত ও উর্ধাঙ্গ ও নিম্নাঙ্গের কংকালসমূহ।
৬। অস্থি-সন্ধি: সন্ধির শ্রেণীবিভাগ, নিম্নলিখিত সন্ধি সমূহের কার্যসহ সাধারণ বর্ণনা- পাছা, সন্ধি, হাটু সন্ধি, গোড়ালী সন্ধি, কাধের সন্ধি, কনুই সন্ধি, কব্জি সন্ধি, আন্তঃমেরুদন্ডের সন্ধি।
৭। পেশীতন্ত্র: পেশী কলার শ্রেণী বিভাগ- (ক) কংকালের মাংসপেশী, (খ) হৃদপিন্ডের দ্বারের মাংসপেশী, (গ) কোমল মাংস পেশী (পেশী বন্ধ, এ্যাপানিউরোসিস ও ক্যাসা), (ঘ) নিম্নলিখিত পেশীগুলো উৎপত্তি, নিষ্পত্তি, নার্ভ সাপ্লাই ও কার্যাবলী লিখ- (১) উর্ধাঙ্গের সুস্পষ্ট মাংসপেশী সমূহ; (২) ধড়ের সুষ্পষ্ট মাংসপেশী সমূহ, (৩) উর্ধাঙ্গের সুস্পষ্ট মাংসপেশী সমূহ; (৪) নিম্নাঙ্গের সুস্পষ্ট মাংসপেশী সমূহ; (৫) ডিপারজাম।
৮। ভ্রুণতত্ত্ব: সূচনা ও ভ্রুণের বৃদ্ধি সম্বন্ধীয় মৌলিক জ্ঞানার্জন।
এনাটমী পার্ট-২
১। এনাজিওলজি: (ক) রক্তবাহী নালীর গঠন এবং আদর্শ বক্ষ গহব্বর ও পেরিকার্ডিয়াম বা হৃপিন্ডের চৌহদ্দি ঝিল্লী। (খ) হৃৎপিন্ড, আর্চ অব এওটা, থোরাসিক এওটা, বক্ষ মহাধমনী, উদরের মহাধমনী, শাখাসহ পালমোনারী ট্রাঙ্ক। (গ) মাথা ও ধড়ের ধমনী সমূহ, উর্ধ্বাঙ্গের ধমনী সমূহ, নিম্নাঙ্গের ধমনী সমূহ। (ঘ) উদ্ভ ও নিম্ন মহাশিরা, পারমোনারী ভেইনস বা ফুসফুসীয় শিরা, শিরা সমূহের প্রবেশ দ্বার। (ঙ) লসিকানালী, লসিকা গ্রন্থি ও তরল পদার্থ বহনকারী অঞ্চল, বক্ষনালী, প্লীহা।
২। এলিম্যান্টারী সিষ্টেম বা পৌষ্টিকতন্ত্র: দাঁত, জিহ্বা, গলকক্ষ, অন্ননালী, পাকান্ত্রিক অঞ্চল, তলপেট, পেরিটনীয়াম বা উদরের উপরের ঝিল্লী, পিত্তথলি, পেনক্রিয়াস বা ক্লোগ্রন্থি।
৩। শ্বাসতন্ত্র: ল্যারিং বা স্বরযন্ত্র, শ্বাসনালী, ব্রঙ্কাই, মেডিয়াসটিনাম বা মধ্যকা, ফুসফুস, পুরা।
৪। মূত্র ও জননতন্ত্র: (ক) ইউরিনারী ট্রাক্ট- মূত্রাশয়, মূত্রবাহী নালী, মূত্রথলি, মূত্রনালী। (খ) পুংজননাঙ্গ- পুরুষাঙ্গ, অন্ডকোষ, শুক্রনালী, বীর্যথলি, প্রোষ্টেট, ক্সোটামা বা অন্ডদ্বয়। (গ) স্ত্রীজননাঙ্গ: বক্ষ, ডিম্বকোষ, ম্বিাবাহী নালী, জরায়ু, যৌননালী, যোনিকপাট।
৫। স্নায়ুতন্ত্র: কলা, নিউরন, সিনপস, স্নায়ুধার, স্নায়ুমন্ডলীর শ্রেণীবিভাগ, কেন্দ্রীয় স্নায়ুমন্ডলী, মস্তিষ্ক, সুষুম্মা স্নায়ু টোনকিম নার্ভাস সিষ্টেম।
৬। বিশেষ অনুভূতিশীল অঙ্গাদি: গ্রাষ্টিটরী এপারেটাস, ঘ্রানেন্দ্রীয় অঙ্গ, দর্শন অঙ্গ, শ্রবণীয় ও কর্ণেঅন্দ্রিয় ছিদ্র, ইনটেগুম্রান্টাস বা বহিঃত্বক, চর্ম।
ব্যবহারিক: এনাটমী পাট-১
১। প্রতিপাদন: মানব কংকাল, করোটিয়া হাড়সমূহ, মেরুদন্ডের অস্থিসমূহ, পাজর ও বুকের হাড়সমূহ, কণ্টস্থি হস্ত-পদাদির হাড়সমূহ, মূত্রাশয়, যৌনাঙ্গ সমূহ।
২। শবদেহের কাঠামোকে অঙ্গ ব্যবচ্ছেদ শিক্ষার জন্য পর্যবেক্ষণ করা, ব্যবচ্ছেদ প্রাথমিক ভাবে সম্পন্ন করা হবে নিম্নানুসারে- (ক) সুপিরিয়র এক্সটিমিট বা হাত-পায়ের উপরের অংশ; (খ) হস্ত পদাদির নিম্নাংশ; (গ) বক্ষস্থল (ঘ) তলপেট (ঙ) মাথা, ঘাড়, কান, গলা। (চ) মস্তক।
ব্যবহরিক: এনাটমী পাট-২
১। মানব দেহের আভ্যন্তরীণ অঙ্গ পরীক্ষণ: মস্তিষ্ক, হৃৎপিন্ড, ফুসপুস, যকৃত, পাকস্থলী, ডিওডেনাম, প্লীহা, কিডনী, যৌনাঙ্গ সমূহ।
২। সারফেস এনাটমী: (ক) হার্ট বাহৃৎপিন্ড, এওটা বা মহাধমনী, ফুসফুস, যকৃত, পাকস্থলী, ডিওডেনাম, এপনযক্স, প্যাক্রিস, (খ) ব্রেচিয়ার ধমনী, ব্যাডিয়াল ধমনী, কিমোরাল ধমনী, পাম্পলিটিয়াল ধমনী, বরসালিস পেডিস ধমনী, (গ) দীর্ঘ জঙ্ঘা শিরা, খাট জঙ্ঝশিরা সনাক্তকরণে দেহ তন্ত্রময় কলা, শিরা, যকৃত, ফুসফুস, প্লীহা, কিডনী, এপেনডিক্স, ডিম্বনালী, পাকস্থলী, ডিওডেনাম, ডিম্বাশয়, অন্ডকোষ।
৩। মৃত দেহাঞ্চল ব্যবচ্ছেদকরণ।

ষষ্ঠ পত্র: শরীর-বিদ্যা বা ফিজিওলজি
ফিজিওলজী পাট-১
হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেহের অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদি অর্থাৎ জীবনী শক্তি গঠনের নিয়মনীতি এবং জীবনী শক্তি উৎপত্তির মানব অঙ্গাদী।
১। ফিজিওলজীর সংজ্ঞা ও নিয়মনীতি, কৌষিক গঠন ও কার্যাবলী, দেহ তরল স্থানসমূহ, দেহ তরলের গঠন এবং তাদের পি.এইচ. ও বাফার।
২। রক্ত সংবহনতন্ত্র: রক্তের গঠন, গুণাবলী ও কার্যাবলী, রক্ত সঞ্চালন, পাম্পিং অঙ্গ হিসেবে হৃৎপিন্ড, কার্যিয়অক সাইকেল, আউটপুট, হৃদস্পন্দন প্রবাহের উৎপত্তি ও বিস্তার, হৃদপিন্ডের শব্দ, নাড়ী ও এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, রক্তচাপ।
৩। শ্বাসতন্ত্র: শ্বাসক্রিয়ার পদ্ধতি ও নিয়ন্ত্রণ, ফুসফুস ও কলা সমুহে গ্যাস সরবরাহ, ডেডস্পেস, ফুসফুসের আয়তন ও ধারণা ক্ষমতা শ্মষণ বিরতি ও বর্ধিত শ্মষণ, হাইপোনিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস শব্দ, কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া।
৪। পরিপাকতন্ত্র: লালা গ্রন্থির রস, পাকস্থলীর রস, প্যানক্রিয়াটিক জুস, পিত্তথলির রসের গঠন ও কার্যাবলী, শর্করা, চর্বি ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের পরিপাক উপরিশোষণ।
৫। বিপাক বা মেটাবলিজম: বিপাকের হার ও শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিপাক, চর্বি জাতীয় খাদ্যের বিপাক এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের বিপাক।
ফিজিওলজী পাট-২
১। মূত্রতন্ত্র: কিডনী বা মূত্রাশয়ের গঠন ও কার্যাবলী, গ্লোমেরুলার ফিলষ্ট্রাশনস টিবিউলার ফাংশন, প্রস্রাবের গঠন বা উপাদান, প্রস্রাবের ভৌতিক চরিত্র এবং রাসায়নিক গঠন (স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক উভয় অবস্থায়)।
২। প্রজননতন্ত্র: অন্ডকোষের গঠন ও কার্যাবলী, গেইম টু জেনেসিস, বীর্য বা সিমেন, বীর্য নিঃক্ষেপন, ডিম্বাশয় এবং জরায়ুর গঠন ও কার্যাবলী, ডিম্বোস্ফাটন, ঋতুচক্র।
৩। এন্ডোক্রাইন সিস্টেম বা নির্নালী পদ্ধতি: (ক) থাইরয়েড গ্রন্থির গঠন এবং ইহার হরমোন সমূহ, (খ) থাইরয়েড হরমোনের গঠন ও নিঃসরণ এবং তাদের কার্যাবলী, (গ) প্যারাইয়েড গ্রন্থির গঠন ও হরমোন সমূহ এবং তাদের কার্যাবলী, (ঘ) পিটুইটারী গ্রন্থি অঙ্গসংস্থান, হরমোন ও তাদের কার্যাবলী। (ঙ) যৌনগ্রন্থি- ডিম্বাশয়, স্টিস বা অন্ডকোষ, হরমোন সহ তাদের কার্যাবলী।
৪। স্নায়ুতন্ত্র: (ক) নিউরনের গঠন ও কার্যাবলী। (খ) সাইন্যাপস, সাইন্যাপটিক ট্রান্সমিশন (বার্তা) রিফেক্স এন্ড অরিজিন এবং সেনসেসনের প্রোপাগেশন। (গ) স্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণী বিভাগ, সেরাব্রাল কার্টেক্স এর সক্রিয়তা, করটিক্রাল এরিয়া পাইরোমিডাল এবং এক্সটা পদ্দতি সেনসরি ট্রাক্টর। (ঘ) অটনমিক নার্ভাস সিষ্টেম বা স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র, সাপেক্ষ ও অনপেক্স পরিবর্তন। (ঙ) সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড বা মস্তিষ্ক কশেলুকার তরল।
৫। বিশেষ অনুভূতিশীল অঙ্গাদি: আস্বাদন- কার্যপ্রক্রিয়া, আস্বাদন অনুভূতির প্রোপাগেশন বা প্রসারণ। (ক) গন্ধ- মেকানিজম বা কার্যপ্রক্রিয়া ও ঘ্রাণানুভূতির প্রসারণ। (খ) শ্রবণ- কার্যপ্রকিয়া, শ্রুতি অনুভূতির প্রসারণ ও বাধকতা। (গ) দর্শন- বণ, ভিশন বা দর্শন, চোখের বিচলন, কার্যপ্রক্রিয়া ও দর্শনীয়। (ঘ) স্পর্শ- চর্ম বা ত্বক।
ব্যবহারিক ফিজিওলজি পাট-১
১। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহার।
২। রক্তের ফিল্ম রঞ্জিতকরণে ও প্রস্তুতি।
৩। টি.সি.ডি.সিিই. এস.আর. ও এইচ.বি. এর শতকরা হার।
ব্যবহারিক ফিজিওলজি পাট-২
১। মূত্রের ভৌতিক, রাসায়নিক ও অনুবীক্ষণিক পরীক্ষা।
২। ফুসফুসের আয়তন ও ক্ষমতা পরিমাপ।
৩। বক্ষ পরীক্ষার ষ্টেথোক্সোপের ব্যবহার।
৪। বিভিন্ন সন্ধির ডেমনসট্রোশনের জন্য মানব কংকালের ব্যবহার।
৫। প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস বা ল্যাংগার জ্যান্সের গঠন।
৬। হরমোনসহ তাদের কার্যাবলী।