Kali Sulph (ক্যালি সালফ): গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকসহ

ক্যালি সালফ (Kali Sulph)।
DHMS (2nd year).
♣ সমনামঃ পটাসিয়াম সালফেট, সালফেট অব পটাস, ক্যালিয়াম সালফেট। ।
♣ মায়াজমঃ সাইকোটিক, সিফিলিটিক, টিউবারকুলার। ।
♣ কাতরতাঃ গরমকাতর ।
♣ উপযোগিতাঃ প্রত্যেক রোগেই চামড়া থেকে খোলস ওঠে। প্রতিক্রিয়ার অভাব। প্রাদাহিক রোগের শেষ অবস্হায় ব্যবহার্য ওষুধ। হলুদবর্ণ শ্লেষ্মা এবং সৌত্রিক তন্তুযুক্ত স্রাব; স্রাব প্রচুর এবং থেকে থেকে দেখা দেয় । অক্সালেটযুক্ত বহুমূত্র রোগে বিশেষ উপযোগী।
♣ ক্রিয়াস্থলঃ ইপিথেলিয়াম, শ্বাসযন্ত্র, চামড়া, লোমকূপেরর গোড়ায় তেল জাতীয় পদার্থ, কোষ, কোষমধ্যস্থ রস, পেশি, স্নায়ু, রক্তকণিকা, গ্রন্হি ।
♣ বৈশিষ্ট্যঃ সুসলার এ রিমেডি সম্পর্কে নিম্নোক্ত বক্তব্য রাখেন; কেলি সালফ. লোহার সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া করে শরীর অভ্যন্তরে গৃহীত অক্সিজেন সকল কোষে পৌঁছে দেয়, সকল কোষে লোহা বিদ্যমান থাকে । কেলি সালফের অভাবে যা ঘটে থাকে; “বাহুগুলোতে ভারি অনুভূতি ও ক্লান্তি, মাথা-ঘোরা, শীতার্ততা, বুক ধড়ফড়ানি, উৎকন্ঠা, দুঃখিত, দন্তবেদনা ও মাথা ব্যথা।”
♣ ক্যালি-সালফের উৎসঃ ক) এ লবণটির জন্ম আগ্নেয় পর্বতে এবং আগ্নেয় পর্বত হতে উৎক্ষিপ্ত লাভার প্রধান অংশ গন্ধক। খ) ক্যালি সালফের রোগীর উদগারে ও বাতকর্মে গন্ধকের গন্ধ পাওয়া যায়। গ) মূল ভেষজ হতে বিশুদ্ধ ও পরিষ্কৃত করে দুধ শর্করাসহ বিচূর্ণ প্রস্তুত করা হয়।
♣ সারসংক্ষেপঃ প্রতিক্রিয়ারর অভাব ।
হলুদবর্ণ শ্লেষ্মা এবং সৌত্রিক তন্তুযুক্ত প্রচুর স্রাব। প্রত্যেক রোগেই চামড়া থেকে খোলস ওঠে। ক্ষুধার্ততা ও কোষ্ঠাবদ্ধতা। বিকেলে, ঠান্ডা হতে গরমে পড়লে, উত্তপ্ত হলে, স্পর্শে, বাতাসে, তৈলাক্ত খাবারে ও বদ্ধ ঘরে বাড়ে। সঞ্চালনে, মুক্ত বাতাসে, শীতল বাতাসে, বেদনাযুক্ত স্থান চেপে শয়নে ও উপবাসে কমে। উৎকন্ঠা, ক্রোধ, খিটখিটে, উত্তেজনাপ্রবণতা, মানসিক অবস্হা পরিবর্তনশীল, ভীরু, উচ্চ চিৎকার করে, চমকে ওঠে ও খোলা বাতাসে আকাঙ্ক্ষা। উত্তপ্ত হতে মনস্তাপ / মানসিক যন্ত্রণা। জিহ্বা থলথলে, হরিদ্রা বর্ণের পিচ্ছিল প্রলেপ, দাঁতের ছাপযুক্ত ও তিতো আস্বাদ। কোষ্ঠাবদ্ধতা সে সাথে জিব সাদা। উদগারে ও বাতকর্মে গন্ধকের গন্ধ পাওয়া যায়।
♣ বিশেষ শ্রেণির লক্ষণঃ উত্তপ্ত হতে মনস্তাপ / মানসিক যন্ত্রণা ।
♣ ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ (১) স্বরভঙ্গ ছাড়াই গড়গড় শব্দযুক্ত কাশি ।
(২) ঠান্ডা বাতাসে কোমর ব্যথার উপশম হয়।
< বৃদ্ধিঃ বিকেল ৫টা হতে রাত ১০টা পর্যস্ত, সন্ধাকালে, ঠান্ডা হতে গরম পড়লে, উত্তপ্ত হলে, স্পর্শে, বাতাসে, বিছানায় শুলে, গরম ঘরে, গরমে, বদ্ধ ঘরে, ভোরে, তৈলাক্ত খাবারে, তামাক ও অম্ল ভক্ষণে, আহারের পর রোদে, বিশ্রামে, গোলমালে ।
> হ্রাসঃ ঠান্ডা খোলা বাতাসে, অধঃবায়ুতে, শীতল বাতাসে, শীতল পানীয়ে, শীতল স্থানে, মাঝরাতের পর, সঞ্চালনে, মুক্তবাতাসে, বেদনাযুক্ত স্থান চেপে শয়নে, উপবাসে।
♣ কারণঃ অত্যধিক তাপে শীত করে জ্বর, আঘাত ।
♣ ইচ্ছঃ খোলা বাতাস, মিষ্টি।
♣ অনিচছাঃ ডিম।
♣ ক্রিয়ানাশকঃ রাস।
♣ শত্রুভাবাপন্নঃ রাস-টক, রাস-রেডিক্যান্স, অ্যাসেট-অ্যাসি, ক্যাল্ক, হিপার, পালস, সিপি, সাইলি, সালফ।
= উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্যে যে কোন রোগেই আমরা ক্যালি সালফিউরিকাম প্রয়োগ করতে পারবো।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুব্রিকঃ (ক্যান্ট রেপার্টরী অনুযায়ী)
১) ক্রোধ (Anger) -খিটখিটে ভাব- অ্যাকোন, অ্যানাকা,আর্স, অরাম, ব্রায়ো, ক্যামো, ইগ্নে ক্যালি-কা,ক্যালি-সাল, লাইকো, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যামি,নাক্স-ভ, পেট্রো,সিপি,স্ট্যাফি, সালফ।
২) উৎকণ্ঠা (Anxiety)/ দুশ্চিন্তাপূর্ণ (Cares)/ অমঙ্গল সম্বন্ধে পূর্বাভাষযুক্ত (Forebodings)- A= অ্যাকোন, আর্জ-নাই, আর্স, আর্স-আই, অরাম, বেল, বিসমা, ব্রায়ো, ক্যাক্টা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-ফস, ক্যাল্ক-সাল, ক্যাম্ফ, ক্যানা-ই, কার্বো-সাল,। কার্বো-ভে, কস্টি, চায়না, কোনি, আই, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-কা, ক্যালি-সাল, লাইকো, মেজের, ন্যাট্র-আর্স, ন্যাট্র-কা, নাই-অ্যাসি, ফস, সোরিন, পালস, রাস, সিকেলি, সালফ, ভিরেট।
৩) উত্তেজনাপ্রবণতা (Irritability) – A= অ্যাকোন, অ্যালু, অ্যান্টি-ক্রু, অ্যাপিস, অরাম, বেল, বোভি, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, কার্বো-সাল, কস্টি, ক্যামো, গ্র্যাফ, হিপার, ক্যালি-কা, ক্যালি-আই, ক্যালি-সাল, লিলি-টি, লাইকো, ন্যাট্র-কা, ন্যাট্র-মি, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ভ, পেট্রো, ফস-অ্যাসি, ফস, প্ল্যাট, পালস, র্যানান-বা, রাস, সিপি, সাইলি, স্ট্যাফি, স্ট্রিকনি, সালফ, সাল-অ্যাসি, থুজা, ভিরেট-ভি, জিঙ্ক।
৪) চমকে ওঠে, হঠাৎ চকিত হয় (Starting, startled) A= আর্স, বেল, ব্রায়ো, ক্যাপসি, হায়োস, ল্যাক-ক্যান, ন্যাট্র-আর্স, ন্যাট্র-মি, স্ট্র্যামো, স্ট্রনসি। B= অ্যাকোন, আর্নি, আর্স-হাই, আর্স-আই, বোরা, বিউফো, ক্যাল্ক, কার্বো-অ্যানি, কার্বো-সাল, কস্টি, কোনি, কিউরে, ইগ্নে, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-আই, ক্যালি-ফস, ক্যালি-সাল, লাইকো, মেডো, নাই-অ্যাসি, নাক্স-ম, ওপি, পেট্রো, সিপি, সাইলি, সালফ, থেরিডি।
৫) ভীরুতা (Timidity) / বিব্রত (Embarrassed)- A= ব্যারা-কা, ক্যাল্ক, ক্যাল্ক-সাল, ক্যালি-কা, লাইকো, ন্যাট্র-কা, পেট্রো, ফস, প্লাম্বা, সালফ। B= অ্যালু, অ্যামন-মি, আর্স, অরাম, বোরা, কার্বো-সাল, কার্বো-ভে, কস্টি, চায়না, কোকা, কোনি, কুপ্রা, গ্র্যাফ, ইগ্নে, ক্যালি-আর্স, ক্যালি-ব্রো, ক্যালি-সাল, মার্ক, ন্যাট্র-আর্স, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, পালস, রাস, সাইলি, স্পঞ্জি, স্ট্র্যামো।
৬) খোলা বাতাসে : এতে আকাঙ্ক্ষা – A= অরাম, অরাম-মি ক্যাল্ক-আই, কার্বো-ভে, ক্রোকা, আই, ক্যালি-আই, ক্যালি-সাল, লাইকো, পালস, সালফ।
৭) খোলা বাতাসে উপশম- A=অ্যালু, আর্জ-নাই, আর্স, ক্যানা-ই, আই, ক্যালি-আই, ম্যাগ-কা, ম্যাগ-মি, ন্যাট্র-সাল, পালস, রাস, স্যাবাডি, স্যাবি । B=অ্যাকো, অ্যাগ্নাস, অ্যালি-স্যা, অ্যালো, অ্যামন-মি, অ্যামিল-নাই, অ্যান্টি-ক্রু, অ্যাপিস, অ্যাসাফ, অ্যাসের, অ্যাট্রো, অরাম, বোভি, ব্রায়ো, ক্যাক্টা, ক্যালাডি, ক্যাল্ক-সাল, ক্যাম্ফ, কার্বো-সাল, কার্বো-ভে, চেলিডো, কফি, কোনি, ডিজি, ডায়োস্কো, ফ্লু-অ্যাসি, গ্যাম্বো, গ্র্যাফ, হেলি, হায়োস, ইপি, ক্যালি-বাই, ক্যালি-নাই, ক্যালি-সাল, ল্যাকে, লাইকো, মেজের, ন্যাট্র-মি, ফস, ফাইটো, প্ল্যাটি, সিকেলি, সেনেগা, সিপি, স্পঞ্জি, সালফ, টেলু, জিঙ্ক।
৮) কৌষিক অর্বুদ – A= আর্স-আই, কোনি, লাইকো, মার্ক। B= আর্স, বেল, হাইড্রা, ক্যালি-সাল, ফাইটো, র্যানান-বা, সালফ।
৯) ঠান্ডা হতে গরমে পড়লে বাড়ে- A= ব্রায়ো, ক্যালি-সাল, সোরিন, সালফ, টিউবার।
১০) উত্তপ্ত হলে ( Heated becoming) –
A= অ্যান্টি-ক্রু, ব্রায়ো, আই, ক্যালি-কা, ক্যালি-সাল, পালস, সাইলি।
১১) সঞ্চালনে উপশম- A= অরাম, অরাম-মি, ক্যাপসি, কোনি, সাইক্লে, ডালকা, ইউফর্বি, ফেরাম, ক্যালি-সাল, লাইকো, পাইরো, পালস, রডো, রাস, স্যাবাডি, স্যাম্বু, সালফ, ট্যারাক্সি, ট্যারেন্টু, ভ্যালের।
১২) সূঁচফোটানো ব্যথা বাহ্যিকভাবে (Stitching externally)- A= অ্যাসাফ, বেল, ব্রায়ো, ক্যাল্ক, কার্বো-সাল, সাইকু, কোনি, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ক্যালি-সাল, লিডাম, মার্ক, পালস, র্যানান-বা, রাস, স্পাইজে, স্ট্যাফি ।
১৩) সূঁচফোটানো ঃ (Stitching) – ব্যাথা : অভ্যন্তরীকভাবে- অ্যাসাফ, বার্বে, বোরা, ব্রায়ো, ক্যান্হা, চেলিডো, স্পাইজে। অ্যাব্রো, অ্যাকোন, অ্যালু, আর্স, অরাম, ক্যাল্ক, কস্টি, সিনা, কলো, কোনি, ডালকা, ফেরাম, গ্লোন, গুয়াই, ক্যালি-বাই, ক্যালি-আই, ক্যালি-নাই, ক্যালমি, ক্রিয়ো, লাইকো, ম্যাগ-কা, ন্যাট্র-মি, নাক্স-ভ, ফস-অ্যাসি, রাস, সার্সা, স্ট্যাফি, সালফ, থুজা, জিঙ্ক।
১৪) ছিন্নকর ব্যথা বাহ্যিকভাবে- A= অ্যাকোন, ইস্কু, আর্নি, বেল, বার্বে, ব্রায়ো, কার্বো-সাল, চায়না, সাইকু, সিনা, কলচি, হাইপেরি, ইগ্নে, ক্যালি-কা, ক্যালি-ফস, ক্যালি-সাল, লিডাম, লাইকো, ন্যাট্র-মি, ন্যাট্র-ফস, ন্যাট্র-সাল, নাই-অ্যাসি, পালস, সিপি, সাইলি, সালফ।
১৫) ভ্রাম্যমান ব্যথা ( Wandering) – A= চেলিডো, জেলস, ইগ্নে, ক্যালি-বাই, ক্যালি-সাল, ল্যাক-ক্যান, লিডাম, পালস।
১৬) নাড়ির গতি বাহ্যিকভাবে ( Pulsation externally) – A= ক্যাল্ক, ফেরাম, ফেরা-আই, গ্লোন, গ্র্যাফ, ক্যালি-কা, ক্যালি-সাল, ক্রিয়ো, ল্যাকে, ম্যালি, ওলিয়ে, পালস, সালফ।
১৭) সাইকোসিস (Sycosis)- A= আর্জ-মে, আর্জ-নাই, ক্যালি-সাল, মেডো, সিপি, স্ট্যাফি, থুজা।
১৮) সিফিলিস Syphilis) – A= আর্স-আই, অরাম, অরাম-মি, অরাম-মি-নাই, ক্যালি-আই, ক্যালি-সাল, মার্ক, মার্ক-কর, মার্ক-আই-আর, নাই-অ্যাসি, ফাইটো, স্টিলি, সিপি।
১৯) বাতাসে বাড়ে ( air agg.)- A= আর্স-আই, গ্লোন, ইগ্নে, আই, ক্যালি-সাল, ল্যাকে, মার্ক, পালস।
২০) গরম ঘরে বাড়ে (Room agg.)- A= অ্যাপিস, ক্যাল্ক-সাল, গ্র্যাফ, ক্ল্যালি-আই, ক্যালি-সাল, লাইকো, পালস, সালফ ।