Carcinosin (কারসিনোসিন): ডা.এইচ.সি.এলেন

কারসিনোসিন (Carcinosin)
(ক্যান্সারগ্রস্ত টিস্যু হতে প্রস্তুত)
# নিজস্বকথাঃ
১। রোগীতে ক্যান্সারের ইতিবৃত্তি প্রাপ্ত হলে কার্সিনোসিন সুফল প্রদান করে।
২। তীব্র বেদনা ও গ্রন্থির কাঠিন্যযুক্ত স্তনের ক্যান্সার।
৩। জরায়ুর ক্যান্সারে দূর্গন্ধ স্রাব ও বেদনা থাকে।
৪। অগ্নিমান্দ্য, আমাশয় ও অন্ত্রে বায়ুজমে।
৫। ক্যান্সার জনিত ধাতু বিকৃতি বশতঃ আমবাত।
# উপযোগিতা:
* বর্তমান সমস্যাসঙ্কুল পৃথিবীতে যেখানে প্রতিপদক্ষেপে মানসিক টেনশনে সকলেই ভুগছে- সমস্যা জটিল হতে জটিলতর হচ্ছে, যেখানে শৈশব থেকেই চাপাপড়া চিকিৎসায় চিকিৎসিত হয়ে বিভিন্ন মায়জমের জটিল সংমিশ্রন হচ্ছে, সেখানে এই ঔষধের উপযোগিতা প্রতি রোগীতেই দেখা যায় বলে মনে হয়।
* তিনটি কারণ একসাথে থাকলেই কার্সিনোসি ব্যবহার করা যায়- (১) রক্তের সর্ম্পক যুক্ত বংশে কারও ক্যান্সার বহুমুত্র ও ক্ষয়রোগের ইতিহাস। (২) ছোটবেলায় পরপর ৪/৫বার সংক্রামক রোগ হওয়ার ইতিহাস। (৩) দেহে বহু তিল জড়–ল প্রভৃতি চিহ্ন থাকলে।
* নিশ্চিত ক্যান্সার হলে এবং উপযুক্ত ঔষধ ব্যর্থ হলে কার্সিনোসিন প্রযোজ্য। ক্যান্সার বলে সন্দেহ হলে প্রয়োগ না করাই ভালো।
# লক্ষণাবলী:
১। আত্মহত্যার প্রবনতা, স্থুল বুদ্ধি, গোঁয়ার, খুঁৎখুঁতে স্বভাব, চিন্তা করতে পারে না, উৎসাহও আসে না, কথাবার্তা বলতে ইচ্ছা হয়, শিশুদের মানসিক বিকৃতি, নোংরা থাকা অভ্যাস, অত্যন্ত ছন্দ জ্ঞান এবং মৃত্যুপ্রিয়তা।
২। স্তনের ক্যান্সারে গ্রন্থির শক্তভাব ও যথেষ্ট বেদনা থাকে, জরায়ুর ক্যান্সারে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, রক্তস্রাব ও বেদনা বেশির ভাগই কোমরে হয়।
৩। অত্যন্ত অস্থিরতা, মানসিক অশান্তি, সেসাথে যদি ভয় পাওয়া বা অশান্তির পূর্ব ইতিহাস থাকে।
৪। অনিদ্রা রোগে ভোগে, ঘুম আসতে চায় না, একটু পর পরেই ঘুম ভেঙ্গে যায়, ভোর ৪টায় ঘুম ভেঙ্গে কিছুতেই আর ঘুমাতে পারে না।
৫। সাদা দুধে নীলরং মিশালে যে বর্ণ হয়, সে রকম মুখের, গায়ের, চামড়ার রং।
৬। লবণ দুধ ডিম চর্বিজাতীয় খাদ্য ফল একসময় খুবই খেতে চায়, অন্যসময় আবার একন্ত অনীহা।
৭। শিশুরা প্রায়ই হাটু কনুই একত্র করে, উপুড় হয়ে, পেটে চাপ দিয়ে শোয়।
৮। সমূদ্রতীরে রোগ বৃদ্ধি বা উপশম দুইই থাকে।
# শক্তি:
* দেহের ক্রিয়াগত বিশৃঙ্খলা লক্ষণে- ১এম থেকে উচ্চশক্তি।
* যান্ত্রিক ক্ষয়ক্ষতি যুক্ত লক্ষণে- ২০০শক্তি।
সূত্র- এলেন কিনোটস অব মেটিরিয়া মেডিকা