ব্যাসিলিনাম এবং টিউবারকুলিনাম ঔষধ দুটির পার্থক্য

ব্যাসিলিনাম এবং টিউবারকুলিনাম ঔষধ দুটিকে অনেক লেখকগণ একত্রে আলোচনা করেছেন এবং একই ঔষধ বলেছেন কিন্তু এদের সোর্স যেমন আলাদা তেমনি ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও অনেক পার্থক্য দেখা যায়। যেমন-
#ব্যাসি-একিউট ক্ষেত্রে।

*টিউব-ক্রণিক ক্ষেত্রে।

#ব্যাসি-চর্মরোগপ্রবণ হবে।

*টিউব-সহজেই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা সম্পন্ন হবে।

#ব্যাসি-শুষ্কতা থাকবে, ভেজাভাব থাকবেনা। 

*টিউব-স্রাব নির্গত হবে, ভেজা ভাব থাকবে, অধিক পরিমাণে গয়ের থাকবে।

#ব্যাসি- নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার ভাব থাকবে।

*টিউব-ঘর্মপ্রবণ হবে, ব্যাসিলিনামের মতো নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া ভাব থাকবেনা।

#ব্যাসি- সাইকোটিক ভাব বেশী, কেউ আবার সোরার ভাব বেশি বলেছেন ।

*টিউব-সোরিক এবং সিফিলিটিক ভাব বেশি, কেউ আবার সাইকোটিক ভাব বেশি বলেছেন।

#ব্যাসি-গরমকাতর (+)।

*টিউব-শীতকাতর (+++), গরমকাতরও হতে পারে।কেউ কেউ এটিকে উভয় কাতর বলেছেন।

#ব্যাসি-এটি প্রস্তুত করেন ডা বার্ণেট।

*টিউব-এটি প্রস্তুত করেন ডা কেন্ট।

#ব্যাসি-এ ঔষধটি মানুষের ফুসফুসের যক্ষাক্রান্ত অংশ, পূঁজ, কফ, থুতু থেকে তৈরি করা হয় (Using lung tissues infected with Mycobacterium tubeculi from tubercular patient)।

*টিউব-যক্ষার জীবাণু থেকে।

#ব্যাসি- টিউবারকুলিনাম অপেক্ষা কম গভীরতা সম্পন্ন ঔষধ।

*টিউব- ব্যাসিলিনাম অপেক্ষা গভীর ক্রিয়াশীল ঔষধ।

#ব্যাসি- দূর্বল রোগী এবং শিশুদের ক্ষেত্রে অধিক উপযোগী।

*টিউব- শক্তিশালী জীবনীশক্তিসম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী ।

#ব্যাসি- টিউবারকুলিনাম অপেক্ষা অধিকতর নিরাপদ ঔষধ।