ডি.এইচ.এম.এস.(ডিপ্লোমা)কোর্সঃ ৪র্থ বর্ষের পাঠ্যক্রম
প্রথম পত্র: মেটেরিয়া মেডিকা
৪র্থ বর্ষে পঠিতব্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহের তালিকা:
(১) এসিডাম ফ্লোরিকাম; (২) আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম; (৩) অরাম মেটালিকাম; (৪) কষ্টিকাম হ্যানিম্যানি; (৫) ক্লোরাম ফেনিকল; (৬) কোনিয়াম মেকুরেটাম; (৭) কুপ্রাম মেটালিকাম; (৮) গ্রাফাইটিস; (৯) হেলিবোরাস নাইজার; (১০) হায়োসিয়ামাস নাইজার; (১১) জাষ্টিসিয়া আডাটোডা; (১২) ল্যাক কেনিনাম; (১৩) ল্যাকেসিস; (১৪) লাইকোপোডিয়াম; (১৫) মেডোরিনাম; (১৬) ওপিয়াম; (১৭) পেনিসিলিয়াম; (১৮) পেট্রোলিয়াম; (১৯) পাইরোজেনিয়াম; (২০) সেনিকিউলা একুয়া; (২১) স্ট্র্যামোনিয়াম; (২২) সিফিলিনাম; (২৩) টিউবার কুলিনাম; (২৪) থুজা অক্সিডেন্টালিস; (২৫) ভ্যারিওলিনাম; (২৬) ভেরেট্রাম এলবাম; (২৭) জিংকাম মেটালিকাম;
দ্বিতীয় পত্র: ক্রনিক ডিজিজ বা চিররোগ তত্বা
১। চির ও অচির রোগের সংজ্ঞা।
২। চিররোগের কারণ সমূহ।
৩। সোরা, সিফিলিস ও সাইকোসিস।
৪। সোরা সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করে।
৫। সেরা কুমননের ফল এবং সাইকোসিস ও সিফিলিস কুকার্যের ফল।
৬। গনোরিয়া সাইকোসিস নয়, কিন্তু ইহা যখন চাপা দেয়া হয তখন সাইকোসিসে পরিণত হতে পারে।
৭। পুরাতন রোগের প্রকুতি আবিষ্কারের ইতিহাস।
৮। প্রকৃত পুরাতন রোগসমূহ, অপ্রকৃত পুরাতন রোসমূহ এবং ঔষধীয় অথবা অপ্রকৃত নামীয় পুরাতন রোগ।
৯। এন্টিসোরিক, এন্টিসিফিলিটিক ও এন্টিসাইকোটিক ঔষধ সমূহ।
১০। মায়াজম সমূহের দমন, যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ।
১১। মিশ্র মায়াজম ও তাদের চিকিৎসা।
১২। প্যাথরীজর সাথে ব্যাকটেরিয়া ও তাদের সম্পর্ক।
১৩। সোরা, সিউডো-সোরা, সিফিলিস এবং সাইকোসিস সম্পর্কে জানা এবং তাদের লক্ষণাবলীর তুলনামূলক অধ্যয়ন।
১৪। বিপথগামী স্রোত।
১৫। সোরার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
১৬। সিফিলিসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
১৭। সোরার জটিল কারণ সমূহ।
তৃতীয় পত্র: রোগলিপি বা কেইস টেকিং ও রেপার্টরি
রোগীলিপি বা কেইস টেকিং অংশ
১।(ক) হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিকোন থেকে রোগীর পরীক্ষা; (খ) দৈহিক পরীক্ষা, ইন্টারোগেমন, মোডালিটিস; (গ) চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
২।(ক) রোগ লক্ষণ লিপিবদ্ধকরণ এবং রেকর্ড সংরক্ষণের উপকারিতা। (খ) চিররোগের লক্ষণ সংগ্রহে জটিলতা সমূহ।
৩। (ক) লক্ষণ সমষ্টি; (খ) উদ্ভুত ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ; (গ) গ্রেডিমন বা ক্রমোন্নতি ও লক্ষণ সমূহের মূল্যায়ন; (ঙ) মানসিক লক্ষণের গুরুত্ব।
৪।(ক) রোগীর আচরণ; (খ) সাধারণ বৃদ্ধি ও পুষ্টি; (গ) রোগীর সচরাচর অবিব্যক্তি; (ঘ) পালস, তাপমাত্রা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের বৈশিষ্ট্য; (ঙ) জিহ্বা, মস্তিস্ক, চর্মের অবস্থা; (চ) প্রস্রাব ও হাত ও ঘাড়ের অবস্থা।
৫।(ক) পথ্যের গুরুত্ব, রোগের সময় পত্য ব্যবস্থা ও ক্রমে ক্রমে স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার; (খ) তরুন রোগ পথ্য; (গ) পথ্য স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের বাধা অথবা ভেষজের ক্রিয়ার বাধা; (ঘ) সেবা শুশ্রুষার নির্দেশাবলী।
রেপার্টরী অংশ
১। হোমিওপ্যাথিক রেপার্টরী ও বিভিন্ন প্রকার হোমিওপ্যাথিক রেপার্টরীর সংজ্ঞা।
২। হোমিওপ্যাথিক রেপার্টরীগুলোর ইতিহাস।
৩। রেপার্টরী ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ।
৪। কেন্ট ও বোনিং হোসেনের রেপার্টরীর বিশেষ নির্দেশ।
৫। বোরিক রেপার্টরীর গঠন ও ব্যবহার।
৬। বোনিং হোসেনের থেরাপিউটিক রেপার্টরী ও তার ব্যবহার।
৭। ব্যবহারিক: কমপক্ষে ৫টি কেইস টেকিং তৈরী করণ।
চতুর্থ পত্র: ব্যবহারিক চিকিৎসা বিদ্যা বা প্র্যাকটিস অব মেডিসিন
১। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্র্যাকটিস অব মেডিসিনের প্রয়োজনীয়তা।
২। কার্ডিও বাসকুলার সিস্টেমের রোগসমূহ: (ক) জন্মগত হৃদপিন্ডের পীড়া; (খ) হৃৎপিন্ডের ভাল্বের রোগ; (গ) সাব একিউট ব্যাকটরিয়াল এনাডাকারডাইটিস; (ঘ) কার্ডিয়াক এরিথমিয়াস, প্যারোক্সিসমাল ট্যাকিকার্ডিয়া, আট্রিয়ার ফাইব্রিলেশন, ভেনট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন, হার্টব্লক; (ঙ) রিউম্যাটিক ফিবার; (চ) হাইপার টেনশন।
৩। স্নায়ুতন্ত্রের পীড়া: (ক) লিজানস অব আপার মটর নিউরন ও লেয়ার মটর নিউরন; (খ) এক্সট্রোরিমিডার ও সেরিব্রালার লিজন; (গ) নিউরালজিয়া ও নিউরাইটিস; (ঘ) মেনিনজাইটিস; (ঙ) কার্ডিও-ভাসকুলার এক্সিডেন্ট ও সেরিব্রাল হেমারেজ; (চ) লাম্বাগো সায়েটিকা; (ছ) ইপিলেপ্সি; (জ) মাইগ্রেন; (ঝ) ফেসাল পালসি; (ঞ) প্যারাপ্লাজিয়া; (ট) হেমাপ্লাজিয়া (প্যারালাইসিস)।
৪। মানসিক রোগ: (ক) সাইকোনিরোসিস; (খ) হিসাটোরিয়া; (গ) মাইকোক্রেনিয়া; (ঘ) ম্যানিকডেপ্রসিভ সাইকোসিস।
৫। অস্থি ও অস্থিসন্ধির পীড়া: (ক) রিউমিটয়েড আর্থ্রাইটিস; (খ) গাউট; (গ) অষ্ট মাইজোক্রেনিয়া।
৬। সংক্রোমক ব্যধিসমূহ: (ক) ডিপথেরিয়া; (খ) হুপিং কাশি; (গ) হাম; (ঘ) মাম্পস; (ঙ) ইনফ্লুয়েঞ্জা; (চ) বসন্ত; (ছ) পানি বসন্ত; (জ) টাইফয়েড জ্বর; (ঝ) কলেরা; (ঞ) ডিসেনট্রি; (ট) টিটেনাস; (ঠ) পলিও মায়েলাইটিস; (ড) যৌন ব্যাধি সমূহ।
৭। পুষ্টি সংক্রান্ত পীড়া সমূহ: (ক) রিকেটস; (খ) স্কার্ভি; (গ) বেরিবেরি; (ঘ) ম্যারাসমাস; (ঙ) কোয়াশিওরকর।
৮। রক্ত সংক্রান্ত পীড়া সমূহ: (ক) রক্তস্বল্পতা; (খ) লিউকোমিয়া; (গ) থেলাসেমিয়া।
পঞ্চম পত্র: চিকিৎসা আইনবিদ্যা (ফরেনসিক মেডিসিন বা মেডিক্যাল জুরিসপ্রুডেন্স)
১। চিকিৎসা আইনবিদ্যার সংজ্ঞা।
২। আদালত ও তাদের বৈধ কর্তৃত্ব।
৩। মেডিকেল রেজিষ্ট্রেশনের সাথে আইনগত সম্পর্ক এবং চিকিৎসক ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক।
৪। মেডিকেল সার্টিফিকেট ও ব্যক্তির সনাক্তকরণ।
৫। ময়না তদন্তের পরীক্ষা সমূহ (কটপসি)।
৬। মৃত্যু, ডেথ কোমার ধরণ, মুর্চ্ছা, শ্বাসরুদ্ধ মৃত্যুর চিহ্ন এবং লক্ষণসমূহ, আকস্মিক মৃত্যুর কারণ।
৭। ক্ষত, ক্ষতের শ্রেণীবিভাগ এবং ক্ষতের বর্ণনা। যথা- (ক) এব্রেশন; (খ) ব্রুইজ; (গ) ইনসাইজড উন্ডস; (ঘ) পেনিট্রেশন বা পারফোরেশন ক্ষতসমূহ; (চ) গলাকাটা ক্ষতসমূহ; (ছ) বন্দুকের গুলির জখম।
৮। ঝলসানো, অগ্নিদগ্ধ. লাইটর্নি, তড়িতাহত।
৯। আত্মহত্যা ও নরহত্যা. ফাঁসি. ষ্ট্র্যাংগুলেশন, সাফোকেশন, পানিতে ডুবে মরা।
১০। যৌন অপরাধ সমূহ: ধর্ষন, সডোমি।
১১। এ্যাবরশন, ক্রিমিনাল এ্যাবরশন, থেরাপিউটিক এ্যাবরশন।
বিষ বিজ্ঞানঃ
১। বিষ, বিক্রিয়ার সাধারণ চিকিৎসা প্রণালী, চিহ্ন ও লক্ষণাবলী।
২। গ্লাসিয়ার এসিটিক এসিড, কার্বনিক এসিড, সালফিউরিক এসিডের ক্ষয়কারক বিষক্রিয়া।
৩। অজৈব বিষ: ফসফরাস, আর্সেনিক, ডিডিটি, এনড্রিন।
৪। সেরিব্রাল বিষ: এলকোহল, ক্লোরোফরম, ধুতরা, কেনাবিস ইন্ডিকা, সায়ানাইডস।
৫। কার্ডিয়াক বিষ: একোনাইট, ডিজিটালিস, হলুড অরিয়েন্ডার।
৬। এসফাইক্সয়ান্ট বা শ্বাসরোধ- কেরোসিন তেল, সাপের বিষ।
ব্যবহারিকঃ
বিভিন্ন প্রকার অন্ত্র-মন্ত্র সনাক্তকরণ, বিষাক্ত দ্রব্যাদি, উদ্ভিদসমূহ, মেডিকো-লিগ্যার ইন্টারেষ্ট এর এক্স-রে ফিল্মের ব্যবহার।
ষষ্ঠ পত্র: শৈল্যবিদ্যা বা সার্জারি
১। হোমিওপ্যাথিতে সার্জারীর অবস্থান এবং সার্জিক্যাল রোগসমূহ ও তাদের ব্যবস্থাপনায় এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য।
২। বীজ দূষণ, এন্টিসেপটিক মিজারস ও জীবাণুমুক্তকরণ।
৩। রক্তক্ষরণ, শক, রক্তদান, তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা।
৪। ক্ষতসমূহ, অগ্নিদগ্ধ ও ঝলসানের, ফোঁড়া, সেলুলাইটিস, বয়েলস, কার্বাঙ্কাল এবং গ্যাংগ্রীন।
৫। অগ্নিচুর্ণের আঘাতসমূহ এবং উর্ধাঙ্গ ও নিম্নাঙ্গের স্থানচ্যুতি, মাথার আঘাত, মেরুদন্ডের আঘাত।
৬। সংক্রমন এবং অস্থি ও অস্থিসন্ধির টিউমার।
৭। স্তন সংক্রমন এবং স্তনের টিউমার।
৮। পৌষ্টিকতন্ত্রের রোগসমূহ: অন্ননারীর ক্যান্সার, পেপটিক আলসার, আন্ত্রিক ছিদ্র, পাইলোরিক ষ্টেনোসিস, এ্যাপেনডিসাইটিস, এনাল ফিসার, ভগন্দর, এনারেকটাল, ফোড়া, অর্শ, সরালান্ত্রের নির্গমনের রোগ সমূহ।
৯। পরিপাকযন্ত্রের রোগ সমূহ: যকৃত ফোড়া, লিভারের ক্যান্সার, গরষ্টেনস, কালিসিস্টাইটিস, প্যানক্রিয়াটাইটিস।
১০। হার্নিয়া ও হার্নিয়ার প্রকারসমূহ।
১১। মূত্রাঞ্চলের রোগসমূহ: রেনাল ক্যালকুলি, হাইড্রোনেপ্রোসিস, রিটেনশন অব ইউরিন, ভেসিক্যার ক্যারিকুরি, ব্লাডারের নিউপ্লাজম, এনলার্জ প্রোষ্টেট, মূত্রনালীর আঘাত, মূত্রনালীর কুঞ্চন।
১২। পুং জননেন্দ্রিয়ের রোগসমূহ: ফিমোসিস, প্যারাফিমোসিস, অন্ডদ্বয়ের ইম্পারপেক্ট ডিসেন্ট, টরশন অব টেষ্টিন, ইনোপ্লাজম অব টেসটিস, হাইড্রোসিল।
১৩। কান, নাক ও গলার রোগ: অটাইটিস মিডিয়া, বাহির হাতে কান, নাক ও গলায় কিছু প্রবেশ করা, নাক দিয়ে রক্তপড়া, নাকের পলিপাস, টনসিলাইটিস, ল্যারিংজাস ক্যান্সার।
১৪। চোখের রোগ সমূহ: চোখ উঠা, কর্ণিয়াল আলসার, চোখে ছানি পড়া, গ্লোকোমা, জ্বালা যন্ত্রণা বিহীন পানিপড়া।
ব্যবহারিকঃ
সার্জিক্যাল কেসের ডাক্তারী পরীক্ষা সমূহ-
১। আঘাতজনিত স্ফিতি বা টিউমারের পরীক্ষা।
২। একিউট এ্যাবডোমেনের পরীক্ষা।
৩। এ্যাবডোমিনাল লাম্পের পরীক্ষা।
৪। ইনগুইনাল স্ক্রেরাল সুয়েলিং এর পরীক্ষা।
৫। রেকটাল কেসের পরীক্ষা।
৬। স্তনের পরীক্ষা।
প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা-
১। ক্ষতের সেলাই;
২। ব্যান্ডেজ ও ড্রেসিং;
৩। কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস;
৪। কার্ডিয়াক ম্যাসেজ।